জুমার নামাজ পড়ে বাসায় ফেরার পথে নোয়াখালীর সদর উপজেলা প্রাথমিক সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তা আবদুর রবকে (৪৭) প্রকাশ্যে হাতুড়িপেটা করেছে চাঁদাবাজি ও চুরি মামলায় হাজত খাটা আসামিরা। পরে তিনি ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়ে বাসায় অবস্থান করছেন।
শুক্রবার (৩ জুন) দুপুর পৌনে ২টর দিকে নোয়াখালী পৌরসভার রশিদ কলোনির রিফাত ভবনের সামনে এ হামলার ঘটনা ঘটে। চাঁদাবাজি ও চুরি মামলা করার বিরোধের জের ধরে এ হামলা হয় বলে মন্তব্য করেন ভুক্তভোগী উপজেলা সহকারী প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা।
হামলার শিকার আবদুর রব জানান, চলতি বছরের শুরুতে নোয়াখালীে পৌরসভার রশিদ কলোনি এলাকায় তিনি একটি বাসা নির্মাণের কাজ শুরু করেন। বাসার কাজ শুরু করলে স্থানীয় ফজলে এলাহী ওরফে এলমান ও মৃত সুলতান আহমদের ছেলে বাবু আমার থেকে চাঁদা আদায়ের চেষ্টা করে। চাঁদা না পেয়ে তাঁরা আমার বেশ কিছু নির্মাণসামগ্রী চুরি করে। এ ঘটনায় গত ২২ ফেব্রুয়ারি সুধারাম মডেল থানায় তাদেরকে আসামি করে আমি একটি চাঁদাবাজি ও চুরির মামলা করলে পুলিশ ফজলে এলাহীকে গ্রেফতার করে।
তিনি অভিযোগ করে আরো বলেন, কয়েক দিন আগে এলাহী জামিনে ছাড়া পেয়ে নানাভাবে আমাকে প্রাণনাশের হুমকি দেয়। শুক্রবার দুপুরে জুমার নামাজ শেষে ছেলেকে সঙ্গে করে তিনি বাসায় ফিরছিলেন। এ সময় আগে থেকে ওঁৎ পেতে থাকা ফজলে এলাহী ও বাবুসহ কয়েকজন যুবক আমার পথরোধ করে হাতুড়ি দিয়ে মাথায় আঘাত করে। আমি হাত দিয়ে প্রতিরোধ করতে গেলে আমার দুই হাত গুরুত্বর রক্তাক্ত জখম হয়। হাতুড়ি দিয়ে পেটানোয় দুই হাতে কালশিরা ও রক্তাক্ত হয়ে গেছে। একপর্যায়ে মুসল্লিরা এগিয়ে এলে হামলাকারীরা পালিয়ে যান। এ ঘটনায় রাত সাড়ে ১১টার দিকে সুধারাম থানায় লিখিত অভিযোগ দেওয়া হয়েছে বলেও জানান তিনি।
সুধারাম মডেল থানার ওসির দায়িত্বে থাকা পরিদর্শক (তদন্ত) মিজানুর রহমান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেন। তিনি বলেন, খবর পেয়ে পুলিশ তাৎক্ষণিক ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে এবং শিক্ষা কর্মকর্তার মৌখিক অভিযোগের ভিত্তিতে অভিযুক্ত আসামিকে গ্রেফতার করতে পুলিশ অভিযান চালায়। অভিযুক্ত আসামিরা ঘটনার পর পরই গা ঢাকা দিয়েছে।
পরিদর্শক তদন্ত আরো জানায়, শিক্ষা কর্মকর্তাকে লিখিত অভিযোগ দিতে বলা হয়েছে। লিখিত পেলে জড়িতদের চিহ্নিত করে দ্রুত আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: