কক্সবাজারে গণধর্ষণের শিকার সেই নারীকে ধর্ষণ করা হয়নি

মান্নান, জাবি প্রতিনিধি | ২৬ ডিসেম্বর ২০২১, ০৪:৫৩

ছবিঃ সংগৃহীত

কক্সবাজারে গণধর্ষণের শিকার সেই নারীকে জোরপূর্বক তুলে নিয়ে যাওয়া হয়নি বলে দাবি করেছেন কক্সবাজারের ট্যুরিস্ট পুলিশের সুপার জিল্লুর রহমান।

শনিবার (২৫ ডিসেম্বর) গণমাধ্যমকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে কক্সবাজারের ট্যুরিস্ট পুলিশ সুপার জিল্লুর রহমান এ দাবি করেন।

তিনি বলেন, এখানে জোরপূর্বক তাকে তুলে নিয়ে যাওয়া বা ৪/৫জন মিলে জোর করে গাড়িতে উঠিয়ে নিয়ে যাওয়ার মতো কোনো ঘটনা আমরা পাইনি।

কক্সবাজারের আলোচিত পর্যটক নারীকে ধর্ষণে অভিযুক্ত সন্ত্রাসীদের গ্রেফতারে পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে বলে জানান তিনি। 

পুলিশ সুপার বলেন, প্রচারটা এমনভাবে করা হয়েছে যে, সব মিডিয়ায় তাদের বক্তব্যটা এসেছে। সোশ্যাল মিডিয়ায় তাদের (সন্ত্রাসীদের) নাম ও ছবি প্রকাশ করা হয়েছে। এই লোকগুলো যেহেতু ক্রিমিনাল, এরপর ওরা তো আর বসে থাকেনি। তারা এখন গা ঢাকা দিয়েছে। 

ভুক্তভোগীর জবানবন্দির বরাত দিয়ে পুলিশ সুপার বলেন, ওই নারী কক্সবাজারে ৩ মাস ধরে টানা অবস্থান করছেন। তার অবস্থান কল লিস্টে পরীক্ষা করেও এ তথ্য নিশ্চিত হয়েছি আমরা। তিনি বিভিন্ন হোটেলে থেকেছেন। ওই নারী তার সন্তানের হার্টে ছিদ্র থাকায় তার ৩ থেকে সাড়ে ৩ লাখ টাকা প্রয়োজন। এই টাকার জন্য সে বিভিন্ন জায়গায় হাত পাতছে, সে টাকা পায়নি। এজন্য তারা সন্তানকে বাঁচানোর জন্য এরকম সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এগুলো হচ্ছে পারিপার্শ্বিক বিষয়। এটার সঙ্গে ধর্ষণের বিষয় সম্পূর্ণ আলাদা। আশিক নিজে ওই হোটেলে নিয়ে তাকে ধর্ষণ করেছে।

তিনি বলেন, কারো অসম্মতিতে মিলন করা মানে তাকে ধর্ষণ করা হয়েছে। সবচেয়ে বড় কথা হচ্ছে তিনি দাবি করেছেন তাকে ধর্ষণ করা হয়েছে। এখন আমরা সব বিষয় মাথায় রেখে মামলাটি তদন্ত করছি। একই সঙ্গে সন্ত্রাসীদেরকে গ্রেফতার করার জন্য অভিযান অব্যাহত রয়েছে।

 



আপনার মূল্যবান মতামত দিন: