ঢাবিতে সাড়ে ১৭ লাখ টাকার কাজে অনিয়ম: তদন্ত কমিটি গঠন

সময় ট্রিবিউন | ২ সেপ্টেম্বর ২০২১, ২১:১২

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় লোগো-ফাইল ছবি

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কয়েকটি হল ও আবাসিক ভবনে বৈদ্যুতিক সরঞ্জাম লোড ব্রেক সুইচ (এলবিএস) স্থাপনের প্রায় সাড়ে ১৭ লাখ টাকার কাজে অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। অভিযোগ তদন্তে তিন সদস্যের কমিটি করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। আগামী তিন কার্যদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে কমিটিকে।

ঢাবি উপাচার্য মো. আখতারুজ্জামান বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিকল্পনা ও উন্নয়ন পরিচালককে প্রধান করে তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি করা হয়েছে। কমিটির অন্য দুই সদস্য হলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান প্রকৌশলী আবুল কালাম সিকদার ও একজন তড়িৎ প্রকৌশলী। যন্ত্র কেনা, স্থাপন বা বিল ওঠানোর ক্ষেত্রে কোনো অনিয়ম হয়েছে কি না, হয়ে থাকলে এর পেছনে কারা জড়িত, তদন্ত কমিটিকে এসব খুঁজে বের করতে বলা হয়েছে। কমিটিকে তিন কার্যদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে।

গণমাধ্যমে প্রকাশিত সংবাদ থেকে জানা গেছে, যেসব ভবনে এলবিএস স্থাপন করার কথা, তার বেশির ভাগ জায়গায় তা পৌঁছায়নি। কোথাও দু-একটি যন্ত্রাংশ পাল্টে দিয়ে পুরোনো এলবিএসকে রং করে দেওয়া হয়েছে। কাজের বিষয়ে গ্রাহক বা ব্যবহারকারীর মতামত নেওয়ার কথা থাকলেও তা করা হয়নি। কাজ শেষ না হতেই ঠিকাদারকে তড়িঘড়ি করে চূড়ান্ত বিল পরিশোধের চেষ্টা চলছে।

এলবিএস মূলত একটি সুইচিং ডিভাইস। সাধারণত বিদ্যুৎ বিতরণ কোম্পানি থেকে যে এইচটি (হাই টেনশন) বিদ্যুৎ আসে, সেটি চাইলে ট্রান্সফরমারে সরাসরি ইনপুট দেওয়া যায়। কিন্তু প্রতিকূল বা জরুরি মুহূর্তে সেটি বিপজ্জনক হতে পারে। তাই সেটিকে নিয়ন্ত্রণের জন্য ট্রান্সফরমারের ক্ষমতা অনুযায়ী লোড ব্রেক সুইচ বা ভ্যাকুয়াম সার্কিট ব্রেকার ব্যবহার হয়। ৫০০ কিলো ভোল্ট অ্যাম্পিয়ারের চেয়ে কম ক্ষমতার ট্রান্সফরমারে লোড ব্রেক সুইচ ব্যবহার করা হয়।

বিশ্ববিদ্যালয়ের পাঁচটি হল ও আবাসিক ভবনে নষ্ট এলবিএস পরিবর্তন শীর্ষক কাজের আওতায় শামসুন নাহার হল, অমর একুশে হল, জগন্নাথ হলের অক্টোবর স্মৃতি ভবন, সুইমিং পুল ও এ এন এম মুনীরুজ্জামান ভবনে নষ্ট হয়ে যাওয়া এলবিএস পরিবর্তন করে সম্পূর্ণ নতুন এলবিএস স্থাপনের কথা।

নথিপত্র অনুযায়ী, মার্সনস ইলেকট্রিক ইঞ্জিনিয়ারিং লিমিটেড নামের একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান কাজটি পেয়েছে। ছাত্রলীগের একজন সাবেক নেতা এই প্রতিষ্ঠানের পরিচালক। কাজ শেষ না হওয়া সত্ত্বেও গত জুনে এ-সংক্রান্ত বিলটি ‘পাস করা যায়’ বলে মতামত দেন বিশ্ববিদ্যালয়ের তত্ত্বাবধায়ক ও নির্বাহী প্রকৌশলী মো. লুৎফর রহমান।



আপনার মূল্যবান মতামত দিন: