চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গায় বীর মুক্তিযোদ্ধাদের আবাসন ‘বীর নিবাস’ নির্মাণ কাজে অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। উপজেলার কুমারী গ্রামের দুই মুক্তিযোদ্ধার ঘর তৈরিতে নিম্নমানের নির্মাণ সামগ্রী ব্যবহারের অভিযোগ করেছেন উপকারভোগীরা। প্রকল্প কর্মকর্তা দাবী করেছেন, কোন ক্রমেই অনিয়মের সুযোগ দেয়া হবে। তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, ২০২০-২১ অর্থ বছরে মুক্তিযোদ্ধা মন্ত্রণালয় থেকে আলমডাঙ্গা উপজেলায় ৪৯ জন বীর মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের আবাসন (বীর নিবাস) নির্মাণের জন্য ৬৫ কোটি ৮০ লাখ ৭ হাজার টাকা বরাদ্দ পাওয়া যায়। যার প্রতিটি ঘরের নির্মাণের জন্য ব্যয় ধরা হয় ১৩ লাখ ৪৩ হাজার টাকা। উন্মুক্ত দরপত্রের মাধ্যমে নীলমণিগঞ্জের মেসার্স বখতিয়ার উদ্দীন বীর মুক্তিযোদ্ধা ইউসুফ আলী ও ফরোজ আলীর পরিবারের জন্য দুটি বীর নিবাস নির্মাণের ঠিকাদার নির্বাচিত হন।
বীর মুক্তিযোদ্ধা ইউসুফ আলী ও ফরোজ আলী অভিযোগ করেন, তাদের জন্য নির্মাণাধীন ঘরে এক নম্বর ইটের পরিবর্তে দুই নম্বর ইট এবং সিমেন্ট-বালির মিশ্রণে অনিয়ম করা হচ্ছে।
সংশ্লিষ্ট ঠিকাদার বখতিয়ার উদ্দীন বলেন, ‘কাজটি আমি করছি না। আমার নিকট থেকে কিনে নিয়ে মহাসিন নামের এক ব্যক্তি কাজটি করছেন। নির্মাণ কাজে দুই নং ইট ব্যবহার করা হলে তা প্রত্যাহার করে এক নং ইট দিয়ে নির্মাণ করা হবে।’
উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা এনামুল হক বলেন, ‘বীর নিবাস নির্মাণে একটি ঘরেও নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহারের অভিযোগ পেলে সেটি মেনে নেওয়া হবে না। কোনো ঘরে এ ধরনের অভিযোগ পেলে তদন্তসাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। ইটসহ নিম্নমানের নির্মাণ সামগ্রী গ্রহণযোগ্য হবে না।’
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: