ঋতু পরিবর্তনে শিশুদের প্রতি যত্নবান হওয়া আবশ্যক

সৈয়দ ময়নুল কবরী | ১৭ এপ্রিল ২০২৩, ২১:৩৮

প্রতীকী ছবি

চৈত্রের প্রখরতায়, গ্রীষ্মের আবির্ভাবে ধেয়ে আসছে নানাবিধ রোগের উৎপত্তি। ঋতুপরিবর্তনের সাথে সাথে পরিবর্তন হচ্ছে শারীরিক অবস্থারও। এই প্রখর গরমে বেড়ে চলছে জ্বর, সর্দি, কাশি, নিউমোনিয়াসহ নানা রোগ।

এই রোগগুলো প্রাপ্তবয়স্কদের ক্ষেত্রে যতোটা প্রভাব ফেলছে, তার চেয়ে দ্বীগুণ প্রভাব ফেলছে শিশুদের শরীরে। বর্তমান সময়ে সমীকরণে দেখা যায় প্রতি একশোজন শিশুদের মধ্যে সত্তোরজন শিশু জ্বর, সর্দি, কাশি ও নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত।

সুতরাং, আমাদেরকে একটু সচেতন থাকতে হবে। এবং এই রোগগুলো দেখা দেওয়া মাত্রই শিশুদের প্রতি সোচ্চার হয়ে যত্ন নেয়া অত্যাবশ্যকীয়। আপনার /আমার শিশুদের ভালো মন্দ দেখভাল করা আমাদের /আপনাদের একান্ত কর্তব্য ও দায়িত্ব।

একটা শিশুর শরীরে যখন জ্বর আসে, সাথে সাথে তাকে ডাক্তারের কাছে নিয়ে যান। ডাক্তারের পরামর্শ মেনে চলার চেষ্টা করুন। এবং পাশাপাশি এই পদক্ষেপ গুলো গ্রহণ করুন_

১. আপনার বাচ্চাকে জোর করে কোনো কিছু খাওয়াবেন না, কেননা জোর করে কোনো কিছু খাওয়ালে বাচ্চার বমি হতে পারে, আর অতিরিক্ত বমি হলে বাচ্চার শরীরেরে পানিশূন্যতা দেখা দিতে পারে।

২. আপনার বাচ্চাকে বেশিবেশি ভিটামিন সি জাতীয় খাবার খাওয়ান, যেমন_তরমুজ, মালটা, কমলা, লেবুরস, আঁখেররস, পেঁপে ইত্যাদি।

৩. আপনার বাচ্চাকে নিয়ে দূরপাল্লায় ভ্রমণ থেকে বিরত থাকুন, কেননা দূরপাল্লা ভ্রমণের ফলে আপনার বাচ্চার শরীরে ব্যাকটেরিয়া ও ভাইরাস সংঘটিত হতে পারে!

সুতরাং ঘরেই থাকুন,  ঘরে আলো বাতাস ঢোকার জন্য দরজা জানালা খোলা রাখুন।

৪. আপনার বাচ্চাকে নিয়মিত গোসল করান এবং হালকা গরম পানি দিয়ে মাথা ও শরীর ঘনঘন মুঁছে দেন। শরীরের ঘাম শরীরে শুকানো যাবে না। এ বিষয়ে সোচ্চার ভূমিকা রাখবেন।

৫. বাচ্চার শরীরে জ্বর, সর্দি, কাশি বা নিউমোনিয়া হলে, সাথে সাথে কোনো এন্টিবায়োটিক বা যে কোনো ধরনের ঔষধ ডাক্তারের পরামর্শ ব্যাতিত খাওয়াবেন না। সাথে সাথে ডাক্তারের পরামর্শ গ্রহণ করুন।

৬. অতিরিক্ত গরম বা ঠান্ডা পানিতে গোসল করানো থেকে বিরত থাকুন। এবং পাখা বা ফ্যান ছেড়ে দিয়ে গায়ে বাতাস লাগতে দিন। অতিরিক্ত শরীর ঢেকে রাখবেন না। পাতলা সুতিকাপড়ের জামা পরিধান করান। শরীরে আলো বাতাস লাগাতে সাহায্য করুন।

প্রতিটি জ্বরে আক্রান্ত শিশুদের ক্ষেত্রে ব্যাকটেরিয়া তাড়াতে আলো এবং বাতাস সোচ্চার ভূমিকা রাখে। সুতরাং শরীরমুড়িয়ে কাপড় পড়াবেন না।


আজকের শিশু আগামীর ভবিষ্যৎ, শিশুদের প্রতি যত্নবান হওয়া আবশ্যক।


লেখক

কবি,গীতিকার ও প্রাবন্ধিক


আপনার মূল্যবান মতামত দিন: