গেল বছরের তুলনায় এবার আমের ফলন আকাঙ্ক্ষার চেয়েও বেশি হয়েছে। কিন্তু যতই দিন যাচ্ছে ততই আশায় গুড়েবালি। ঝরে পড়ছে থোকা থোকা আম। নিচের অংশ কালো হয়ে ফেটে পঁচে পড়ে যাচ্ছে। কোন প্রকার স্প্রে বা ওষুধ ছিটিয়েও মিলছেনা ফল। কৃষি বিভাগ থেকেও সাড়া পাওয়া যাচ্ছে না বলে জানা গেছে।
উপমহাদেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় ফল হচ্ছে আম। কারণ এ ফলের বৈচিত্র্যময় ব্যবহার, পুষ্টিমান ও স্বাদে গন্ধে অতুলনীয়। বাংলাদেশের উত্তরাঞ্চলে এ আমের ব্যাপক বাণিজ্যিক চাষ হলেও সারা দেশেই আম গাছ রয়েছে ও কমবেশি আমের চাষ হচ্ছে।
আম চাষিরা জানিয়েছেন- 'অন্যান্য বছরের তুলনায় এ বছর আম কালো হয়ে ফেটে পড়া তারা আর দেখেননি। গাছে প্রচুর ফলন এলো তবে তা ঝরে পড়ে গাছ শুন্য হয়ে যাচ্ছে।' পঁচে ফেটে পড়া আমগুলো খাওয়া বা আমসত্ত্ব দেয়া অনুপোযোগী বলেও আমচাষিরা জানিয়েছেন।
লক্ষ্মীপুর কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন এ বছর খরা হওয়ার কারণে আমে মোড়ক লেগেছে। যথাসময়ে ঔষধ, পানি ছিটালে এর ক্ষতির হাত থেকে রক্ষা পাওয়া যায়।
কর্মকর্তারা আরও জানিয়েছেন ফলন্ত আম গাছের পরিচর্যা, পরগাছা দমন, সার প্রয়োগ, সেচ প্রয়োগ, পুরনো বাগান নবায়নের মাধ্যমে আম গাছ ও ফল দুটোই রক্ষা করা সম্ভব।
নাটোর সিটি কলেজের কৃষি বিভাগের প্রভাষক কৃষিবিদ এম এ মজিদ মুঠোফোনে এ প্রতিবেদককে জানিয়েছেন-'মাটির নিচে রসের অভাবে আমের গুটি ঝরে গেলে গাছের চারপাশে নিয়মিত সেচ দিতে হবে। বৃষ্টি না হওয়া পর্যন্ত ১৫ দিন পর পর সেচ দিলে আমের গুটি ঝরা রোধ হয়।'
তিনি আম গাছে 'অ্যানথ্রাক্স' নামের তরল ঔষধ স্প্রে করার পরামর্শ দিয়েছেন আমচাষীদের।
এই বিভাগের অন্যান্য খবর
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: