স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে দেশব্যাপী দুই কোটি ২৭ লাখ ৫৩ হাজার ৩২১টি কৃষক পরিবারকে ‘কৃষক স্মার্ট কার্ড’ দেবে কৃষি মন্ত্রণালয়। সেই লক্ষ্যে মন্ত্রণালয়টি উত্তম কৃষিচর্চা সার্টিফিকেশনের মাধ্যমে তিন লাখ হেক্টর ফল ও সবজি আবাদি জমি বৃদ্ধি, জলবায়ু অভিঘাত সহনশীল উচ্চ ফলনশীল নতুন ধান ও ধান ছাড়া অদানাদার ফসলের জাত উদ্ভাবনসহ মোট চার লাখ আবাদি জমির পরিমাণ বৃদ্ধি, উন্নত ও আধুনিক সেচ প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে এক লাখ হেক্টর নতুন আবাদি জমি সেচের আওতায় আনবে।
প্রোগ্রাম অন অ্যাগ্রিকালচার অ্যান্ড রুরাল ট্রান্সফরমেশন ফর নিউট্রিশন এন্টারপ্রেনারশিপ অ্যান্ড রেসিলিয়েন্স ইন বাংলাদেশ (পার্টনার) প্রকল্পের মাধ্যমে এই উদ্যোগ বাস্তবায়ন করা হবে।
বৃহস্পতিবার (১৪ ডিসেম্বর) নগরীর খুলনার সিএসএস আভা সেন্টারে দিনব্যাপী আঞ্চলিক কর্মশালায় এ তথ্য জানানো হয়।
বর্তমান কৃষিকে ভবিষ্যৎ বাংলাদেশের জন্য টেকসই ও নিরাপদ বাণিজ্যিক কৃষিতে রূপান্তরের মাধ্যমে খাদ্য ও পুষ্টি নিরাপত্তা নিশ্চিতের লক্ষ্যে কৃষি খাতে এ কর্মসূচি নেওয়া হয়েছে। প্রকল্পের ব্যয় ধরা হয়েছে প্রায় সাত হাজার কোটি টাকা। যা কৃষির উন্নয়নে দেশের সবচেয়ে বড় প্রকল্প।
কর্মশালায় জানানো হয়, পাঁচ বছর মেয়াদি প্রকল্পটির অধীনে ৬৪ জেলার ৪৯৫ উপজেলায় কৃষি মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে মন্ত্রণালয়ের অধীন সাতটি সংস্থা কাজ করবে।
এ ছাড়া স্ট্র্যাটেজিক পার্টনার থাকবে আরো আটটি সংস্থা। এতে মোট ব্যয় ধরা হয়েছে ছয় হাজার ৯১০ কোটি টাকা। এর মধ্যে সরকার বরাদ্দ দিচ্ছে এক হাজার ১৫১ কোটি টাকা। প্রকল্প সহায়তা হিসেবে বিশ্বব্যাংক ও ইফাদের অর্থায়ন যথাক্রমে পাঁচ হাজার ৩০০ কোটি টাকা ও ৫০০ কোটি টাকা।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক বাদল চন্দ্র বিশ্বাসের সভাপতিতে কর্মশালায় প্রধান অতিথি ছিলেন কৃষি মন্ত্রণালয়ের সচিব ওয়াহিদা আক্তার, বিএডিসির চেয়ারম্যান আব্দুল্লাহ সাজ্জাত, বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কাউন্সিলের নির্বাহী চেয়ারম্যান ড. শেখ মোহাম্মদ বখতিয়ার, বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক ড. মো. শাহজাহান কবির, বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক ড. দেবাশীষ সরকার, কৃষি মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মো. মাহবুবুল হক পাটওয়ারী, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের পরিচালক সরেজমিন উইং পরিচালক মো. তাজুল ইসলাম পাটোয়ারী, কৃষি মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব ড. সাবিনা ইয়াসমিন, নাজিয়া শিরিন, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর খুলনা অঞ্চলের অতিরিক্ত পরিচালক মোহন কুমার ঘোষ, কর্মসূচি সমন্বয়ক মো. মিজানুর রহমান, কর্মসূচির খুলনা অঞ্চলের সিনিয়র মনিটরিং অফিসার মো. মোছাদ্দেক হোসেন প্রমুখ।
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: