দিনাজপুরে জার্মান প্রযুক্তিতে পাথর গুঁড়া ও সিমেন্ট দিয়ে কারখানায় তৈরি হচ্ছে পরিবেশবান্ধব অত্যাধুনিক ইট। জেলা সদরের পুর্ণভবা নদীর তীরে গড়ে উঠেছে জ্বালানি ও মাটির ব্যবহার ছাড়াই ইট তৈরির কর্মযজ্ঞ। ইট তৈরিতে ব্যবহার করা হচ্ছে সিমেন্ট, স্টোন ডাস্ট, নুড়ি পাথর, ফ্রেশ বালি ও এডমিক্সার।
মাত্র কয়েক মিনিটের ব্যবধানে সারি সারিভাবে মেশিন থেকে বেরিয়ে আসে পরিবেশবান্ধব ব্রিকস। কংক্রিকেট ব্রিকস ছাড়াও তৈরি হয় হলো ব্লক, ইউনি পেভার ও পার্কিং টাইলস। পরিবেশ দূষণমুক্ত এ কারখানায় কর্মসংস্থানের সৃষ্টি হওয়ায় খুশি শ্রমিকরা।
ভবন, স্থাপনা নির্মাণে কংক্রিট ব্রিকস ব্যবহারে সাধারণ মানুষের আগ্রহের বেড়েছে উত্তরের বিভিন্ন জেলায়।
মার্কেটিং কর্মকর্তা সোহেল আল মেহেদী বলেন, আমরা যথেষ্ট অর্ডার পাচ্ছি। আমাদের কারখানায় প্রতিদিন প্রায় ২০ হাজার ব্রিক উৎপাদন হচ্ছে।
সরকারি পৃষ্ঠপোষকতা ও নির্দেশনা মানা হলে এ ধরনের উদ্যোগে এগিয়ে আসবেন অনেকে বলে জানালেন গ্রিন বেরী ব্রিক ইন্ডাস্ট্রির পরিচালক ইসফাকুর রহমান গালিব।
তিনি বলেন, আমাদের এই ব্রিকস দিয়ে কেউ যদি গৃহ নির্মাণ করে, ৪০ শতাংশ পর্যন্ত খরচ সাশ্রয়ী হবে, যা সচরাচর মাটি দিয়ে তৈরি ইটে সম্ভব না।
পরিবেশ অদিদপ্তরের কর্মকর্তা সামিউল আলম মনে করেন, পরিবেশবান্ধব ও দূষণমুক্ত কংক্রিটের ব্রিক কৃষিজমি ধ্বংসের পাশাপাশি রক্ষা করবে জমির উর্বরতা।
তিনি বলেন, কংক্রিটের ব্রিকে পরিবেশের ক্ষতির কোনো আশঙ্কা নেই। সরকার বেশকিছু নীতিমালা গ্রহণ করেছে, যাতে এই কংক্রিট ব্রিকের ব্যবহারটা বাড়ে।
প্রতিষ্ঠানটিতে প্রতিদিন গড়ে ২০ হাজার কংক্রিটের ব্রিক তৈরি হয়। কংক্রিটের ব্রিক ব্যবহারে নির্মাণ ব্যয় ২০ শতাংশ সাশ্রয়ী হবে।
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: