সোনালি আমন শস্যভান্ডার খ্যাত শেরপুরের নালিতাবাড়ী উপজেলায় চলতি আমন আবাদে লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে বেশি আবাদ হয়েছে। এতে বাম্পার ফলনের সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানিয়েছে কৃষি বিভাগ। ইতোমধ্যে বেশ কিছু এলাকায় আগাম জাতের ধান কাটা শুরু হয়েছে। হেমন্তের শুরুতেই এমন ধান কাটা শুরু হওয়ায় কৃষকের মুখে হাসি ফুটে উঠেছে।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, চলতি আমন আবাদে লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছিল ২২ হাজার ৬৮৫ হেক্টর। আবাদ হয়েছে ২৩ হাজার ২০০ হেক্টর। লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ৫১৫ হেক্টর জমিতে বেশি ধান আবাদ হয়েছে।
এরমধ্যে হাইব্রিড জাতের ধান আবাদ হয়েছে ৫ হাজার ৭৩২ হেক্টর, উফশী জাতের ধান আবাদ হয়েছে ৬ হাজার ৮৩৫ হেক্টর ও স্থানীয় জাতের ধানের আবাদ হয়েছে ১০ হাজার ৬৩৩ হেক্টর জমিতে। আন্ধারুপাড়া গ্রামের কৃষক নজরুল ইসলাম বলেন, এবার আমি স্থানীয় সেন্টু পাইজাম জাতের ধান তিন একর জমিতে লাগিয়েছি। আবাদও খুব সুন্দর হয়েছে। ইতোমধ্যে খেতের ধান বের হতে শুরু করেছে। আশা করছি এই জাতের ধান একরে ৬০ মণ হারে পাব।
নালিতাবাড়ী উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা আনোয়ার হোসেন বলেন, আমন আবাদ বৃদ্ধি ও বাম্পার ফলনের লক্ষ্যে আমরা কৃষকের মাঠ চষে বেড়িয়েছি। তাই আবাদের লক্ষণও খুব ভালো। কিছু এলাকায় আগাম জাতের বিনা ধান ১৭ কাটা শুরু হয়েছে। এতে অভাবের সময় ধান বিক্রি করলে কৃষকের একটি আর্থিক সাপোর্ট হবে। এমনকি ওই জমিতে তারা আবার সরিষার আবাদ করবেন।
নালিতাবাড়ী উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আব্দুল ওয়াদুদ বলেন, চলতি আমন আবাদে চারা রোপণের প্রথম দিকে কম বৃষ্টিপাত হওয়ায় কৃষকের চারা রোপণ করা কিছুটা সমস্যা হচ্ছিল। আমরা উপজেলা কৃষি বিভাগ সমন্বিত সেচ ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে চারা রোপণের ব্যবস্থা করেছি। যে কারণে নালিতাবাড়ীতে লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ৫১৫ হেক্টর জমিতে বেশি ধান আবাদ হয়েছে। আশা করছি এবারের আমন আবাদেও ধানের বাম্পার ফলন পাবেন কৃষকরা।
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: