ভোলাহাটে বারোমাসি তরমুজ চাষে সফলতা

বদিউজ্জামান রাজাবাবু, চাঁপাইনবাবগঞ্জ প্রতিনিধি | ৬ সেপ্টেম্বর ২০২২, ০৫:১৬

সংগৃহীত

চাঁপাইনবাবগঞ্জের ভোলাহাটে বারোমাসি ফসল হিসেবে তরমুজ চাষে সফল হয়েছেন আমিরুল ইসলাম। ভোলাহাট উপজেলার পোল্লাডাংগা গ্রামের নামোটোলার মোঃ মুসলিম আলীর ছেলে মোঃ আমিরুল ইসলাম (৪৫) ভোলাহাট উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের সার্বিক সহযোগিতায় পোল্লাডাংগা ব্লকের আওতাধীন মোট ২৫ শতাংশ জমির উপর ব্ল্যাক বেবি নামক জাতের হাইব্রিড তরমুজ চাষ শুরু করেন এই কৃষক।

তরমুজচাষী আমিরুল ইসলাম জানান চলতি বছরের গত জুলাই মাসের শুরুতে আমি ভোলাহাট কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের সার্বিক সহযোগিতায় তরমুজের বীজ বপন করে সেপ্টেম্বরের শুরুতে তা বাজারজাত করতে সক্ষম হই। তিনি আরও জানান, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের সরবরাহকৃত বীজ এবং পলিথিন মালচিং প্রয়োগের মাধ্যমে অল্প সময়ের মধ্যে ভালো মুনাফা অর্জন হবেন বলে আশাবাদী। তিনি বলেন আমার উৎপাদিত তরমুজগুলো বাজারজাত শেষ হলে আবারও একই জমিতে ব্লাক বেবি নামক জাতের হাইব্রিড তরমুজের বীজ বপন করবেন যা শীতের পূর্বেই বাজারজাত করতে পারবেন। তিনি কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে বলেন, বীজ এবং পলিথিন মালচিং পদ্ধতি ছাড়া মাত্র ২৫ হাজার টাকা বিনিয়োগ করে দুই মাসের ব্যবধানে প্রায় লক্ষাধিক টাকা উপার্জন করবেন বলে আশা করেন। একদিকে যেমন ফলন ভালো অন্যদিকে স্বাদে গন্ধে অতুলনীয় বলে জানান আমিরুল ইসলাম।

এবিষয়ে ভোলাহাট উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মোঃ সুলতান আলী জানান, আমরা ভোলাহাট উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে আমিরুল ইসলামকে যথাসাধ্য সহযোগিতা করার চেষ্টা করেছি যা আগামীতে অব্যাহত থাকবে। ভোলাহাট উপজেলায় মোট প্রায় ১০০ শতাংশ জমিতে অসময়ে তরমুজ উৎপাদনে কাজ করছি। এছাড়াও বিভিন্ন মৌসমী ফসল সহ বারোমাসি ফসল ফলানোর লক্ষে কৃষি সেক্টরে ভুমিকা রাখতে সকল পর্যায়ের কৃষককে আধুনিকায়ন পদ্ধতিতে উৎপাদনমুখী ফসল ফলানোর জন্য সকল প্রকার সুবিধা দিব। দেশকে খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ করতে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর নিরলস ভাবে কাজ করছে।



আপনার মূল্যবান মতামত দিন: