১৮০ একর চাষের জমি হারানোর শঙ্কায় গ্রামবাসী

চুয়াডাঙ্গা প্রতিনিধি | ১ জুলাই ২০২২, ১১:৫৯

সংগৃহীত

চুয়াডাঙ্গার জীবননগর উপজেলার কৃষ্ণপুর গ্রামে তিনফসলী জমিতে বিদেশী কোম্পানীর সৌর বিদ্যুতকেন্দ্র স্থাপনের পরিকল্পনায় চাষের জমি হারানোর শঙ্কায় পড়েছেন স্থানীয় চাষীরা। ৫০ মেগাওয়াট ক্ষতমাসম্পন্ন এ প্রকল্প বাস্তবায়ন হলে এলাকার অনেকেই কর্মহীন হয়ে পড়বে। এমন অবস্থায় সরকারের সুদৃষ্টি কামনা করেছেন গ্রামবাসী। তাদের দাবী প্রকল্প বাস্তবায়নের জন্য পতিত জমি নির্বাচন করা হোক।

গ্রামবাসী জানায়, কৃষ্ণপুর গ্রামের কৃষি জমির পরিমাণ প্রায় ৩৬০ একর। যার বেশির ভাগই তিন ফসলী। এসব জমিতে ধান, পাট, গম, আলু, ভুট্টা, বাদাম, পেয়ারা, ডালসহ বিভিন্ন ধরনের শাকসবজি উৎপাদন হয়। এর মধ্যে ১৮০ একর জমিতে সৌর বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপনের পরিকল্পনা করেছে সিঙ্গাপুর ভিত্তিক বহুজাতিক প্রতিষ্ঠান ‘সাইক্লেক্ট এনার্জি পিটিই লিমিটেড’। সেলক্ষে পরিকল্পনা মতো পছন্দের জমি কবজা করতে নানা পরিকল্পনা করছে তারা। স্থানীয় একটি প্রভাবশালী মহল এসব তিন ফসলী জমিকে ‘পতিত জমি’ প্রমাণ করতেও পরিকল্পনা করছে। গ্রামবাসীর অভিযোগ, স্থানীয় প্রভাবশালীরা জমি বিক্রির জন্য গ্রামবাসীকে চাপ দিচ্ছে। 

গ্রামের জাহাঙ্গীর আলম, সাজ্জাদ হোসেন, মেহেদী হাসান, হবিবর রহমান, নবিছদ্দিন, জহিরুল ইসলাম বলেন, গ্রামটি প্রত্যন্ত এলাকায় হওয়ায় এখানকার শতভাগ মানুষ কৃষিতে যুক্ত। এ অবস্থায় গ্রামের মোট কৃষি জমির অর্ধেক হাতছাড়া হলে অন্তত তিন হাজার মানুষ কর্মহীন হয়ে পড়বে। তাছাড়া গ্রামের বেশিরভাগ মানুষ অশিক্ষিত-অর্ধশিক্ষিত হওয়ায় কৃষিই তাদের একমাত্র অবলম্বন। গ্রামবাসীর দাবী, সরকার সঠিক পর্যবেক্ষণের মাধ্যমে এলাকার মানুষের কল্যাণে যুগোপযোগী সিদ্ধান্ত নেবেন।

ইতিমধ্যেই গ্রামবাসী প্রকল্প বাতিলের দাবীতে দফায় দফায় মানববন্ধন, প্রতিবাদ সমাবেশ, প্রধানমন্ত্রী বরাবর স্মারকলিপি প্রদানসহ নানা কর্মসূচি পালন করেছেন।

এ বিষয়ে চুয়াডাঙ্গা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক বিভাস চন্দ্র সাহা বলেন, তিন ফসলী জমিতে বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপনা করা হলে সেটি হবে আত্মঘাতি। এটি কোনো পতিত জমিতে করা হলে স্থানীয় কৃষকদের তিন ফসলী জমিগুলো রক্ষা পাবে। এমনকি এটি হলে চুয়াডাঙ্গার কৃষির জন্যও কল্যাণকর হবে।



আপনার মূল্যবান মতামত দিন: