এখন চৈত্র মাস, সদরপুর ভূবেনশ্বর নদী ও তার আশেপাশের মাইলের পর মাইল শুধু চোখে পড়েছে বাদামী রঙের পেয়াজ বীজের ক্ষেত।
এইতো কিছুদিন আগেও পেয়াজের কদম নামের ফুলগুলো ছিলো ধবধবে সাদা। আর এখন সেই সাদা ফুল পাক ধরে বাদামী বর্ণ ধারণ করে ভিতরে লুকিয়ে আছে ব্লাক ডায়মন্ড খ্যাত পেয়াজের বীজ। এমুহূর্তে মাঠে মাঠে কৃষাণ-কৃষাণীরা একই গাছ থেকে বীজ তোলার পাশাপাশি পেয়াজ সমগ্র করতেও ব্যস্ত সময় পার করছেন!
এ বীজের ধরন ভেদে বাজারে প্রতি মন ৬০ হাজার থেকে ২ লক্ষ টাকা পর্যন্ত বিক্রি হয়ে থাকে। কালো বর্ণের এ বীজগুলো অধিক মূল্য থাকায় তাইতো ব্লাক ডায়মন্ড বলে অভিহিত করা হয়।
কার্তিক মাসের শেষের দিকে ক্ষেত প্রস্তুতের পর পেয়াজের চারা রোপণ করে প্রয়োজনীয় পানি সেচ, সার, কীটনাশক প্রয়োগ ও আগাছা পরিষ্কার করে কৃষকদের প্রায় ৬ মাস কেটে যায়।
উল্লেখ্য, অনুকূল আবহাওয়া ও ভূমির উর্বরতা ফরিদপুর জেলাকে পেয়াজ বীজ চাষে আদর্শ মনে করা হয়। তাইতো দেশের উৎপাদিত মোট পেয়াজ বীজের মধ্যে প্রায় ৮০ ভাগ-ই ফরিদপুর জেলায় জোগান দিয়ে থাকে। এরমধ্যে সদরপুর উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়ন হতে সিংহভাগ সরবরাহ করা হয়।
কৃষকদের উৎপাদিত বীজ সরবরাহ করতে নগরকান্দা, আলফাডাঙ্গা, বোয়ালমারী, মধুখালি ছাড়াও দেশের বিভিন্ন জেলা পাবনা, কুষ্টিয়া ও রাজশাহী থেকে ব্যবসায়ীরা সদরপুরে এসে থাকেন।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা বিধান রায় বলেন, "সদরপুরে চলতি বছরে প্রায় ৩৭০ হেক্টর জমিতে পেয়াজের বীজ চাষ করা হয়েছে। এরমধ্যে হাইব্রিড, কিং ও বিআরডিসি উল্লেখযোগ্য। অন্যবারের তুলনায় এবার বীজের ফলন বেশ ভালো হয়েছে বলে তিনি এ মন্তব্যও করেন। "
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: