রামপুরার দুর্ঘটনা পরিকল্পিত: তথ্যমন্ত্রী

সময় ট্রিবিউন | ২ ডিসেম্বর ২০২১, ০৭:০৫

ছবিঃ সংগৃহীত

রামপুরার ঘটনাটি কী দুর্ঘটনা নাকি পরিকল্পিত ছিল? এতো অল্প সময়ের মধ্যে এতো তাড়াতাড়ি লাইভে গেলো, গাড়িতে আগুন দেওয়া হলো। এটি কী দুর্ঘটনা নাকি পরিকল্পিত, সে প্রশ্ন থেকেই যায়।

বুধবার (১ ডিসেম্বর) সচিবালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এ প্রশ্ন তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ডা. হাছান মাহমুদ।

তথ্যমন্ত্রী বলেন, নিরাপদ সড়কের দাবিতে শিক্ষার্থীরা আন্দোলন করছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এই দাবির প্রতি সহানুভূতিশীল হয়ে বিআরটিসি বাসে হাফ ভাড়া কার্যকরের নির্দেশনা দিয়েছেন। ইতোমধ্যে ঢাকার বাস মালিক সমিতি আজ থেকে ঢাকায় হাফ ভাড়া কার্যকর করবে।

ড. হাছান মাহমুদ বলেন, পরশুদিন রাতে একটি দুঃখজনক ঘটনা ঘটেছে। রামপুরায় অনাবিল পরিবহনের বাসের চাপায় একজন ছাত্র নিহত হয়েছে। তার আত্মার মাগফিরাত কামনা করছি। এ ঘটনা একটু বিশ্লেষণ করলে আমরা দেখতে পাই, এই ঘটনা থেকে কিছু প্রশ্ন উঠে এসেছে। প্রত্যক্ষদর্শীর তথ্যানুযায়ী ঘটনাটি ঘটে রাত ১০টা ৪৫ মিনিটে। এর ১২ মিনিট পর ১০টা ৫৭ মিনিটে ‘নিরাপদ সড়ক চাই’ তাদের ফেসবুক পেইজ থেকে লাইভ করে। রাত ১১টায় জামায়াত পরিচালিত টেলিগ্রাম চ্যানেলে খবরটি প্রকাশিত হয়। সেখান থেকে সব সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে খবরটি ছড়িয়ে পড়ে।

তিনি বলেন, এখন প্রশ্ন হচ্ছে, ১২ মিনিটেই নিরাপদ সড়ক চাই পেজের অ্যাডমিন সেখানে কীভাবে পৌঁছালো, সেখান থেকে লাইভ কীভাবে করলো? ‘বাঁশের কেল্লা’ কীভাবে ১৫ মিনিটের মধ্যে এই খবর পেল এবং সেখন থেকে প্রচার করলো? ঘটনার ১৫ মিনিটের মধ্যেই ১০/১২টি গাড়িতে আগুন দেওয়া হলো।

তিনি বলেন, ঘটনার ১৫ মিনিটের মধ্যে এতো সংখ্যক ছাত্র সেখানে পৌঁছায়নি। প্রশ্ন হচ্ছে, যারা ফেসবুক পেজে লাইভ দিয়েছে, তারা কি ঘটনা সম্পর্কে আগে থেকেই অবহিত ছিল কি না? ১২ মিনিটের মধ্যে যারা লাইভে গেছে এবং ১৫ মিনিটের মধ্যে লোকজন যোগাড় করে বাসে যে আগুন দেওয়া হলো, তাতে আগে থেকে নিশ্চয়ই প্রস্তুত ছিল। এতো অল্প সময়ের মধ্যে সেনাবাহিনী সেখানে পৌঁছাতে পারে না অথচ তারা পৌঁছে গেল, এই প্রশ্নগুলো উঠে এসেছে।

হাছান মাহমুদ বলেন, ‘ছাত্রদের আন্দোলনে ভর করে একটি মহল দেশে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করার অপচেষ্টা চালাচ্ছে, গত পরশু রাতের ঘটনা থেকে সেটি স্পষ্ট। ছাত্রদের গায়ে তারা কালিমা লেপন করার চেষ্টা চালাচ্ছে। ছাত্ররা অনেক দিন ধরে আন্দোলন করছে, তারা কিন্তু কোনো জায়গায় গাড়িতে আগুন দেয়নি। এমনকি ভাংচুরের ঘটনাও ঘটেনি। অথচ সেদিন ঘটনার ১৫ মিনেটের মধ্যে ১২-১৫টি বাসে আগুন দেওয়া হলো, এগুলো দুস্কৃতিকারীরা করেছে, যারা দেশে কোনোকিছুর ওপর ভর করে অতীতে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করার অপচেষ্টা নিয়েছে, আজকেও এই ছাত্রদের ওপর ভর করে দেশে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করার অপচেষ্টার উদ্দেশ্যে এই ঘটনাগুলো ঘটিয়েছে। এদের ব্যাপারে সতর্ক থাকতে হবে।’

এক প্রশ্নের জবাবে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘বিআরটিসি বাসে ছাত্রদের হাফ ভাড়া যেভাবে সারাদেশে কার্যকর করা হয়েছে, আমি আশা করবো চট্টগ্রামসহ অন্যান্য শহরেও বাস মালিকরা একই ধরনের সিদ্ধান্ত নেবেন।’

 

 



আপনার মূল্যবান মতামত দিন: