যুক্তরাজ্যের সঙ্গে বাংলাদেশের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক নতুন করে গড়ে তোলার এটাই সময়। আমাদের অংশীদারিত্বকে দেখার ক্ষেত্রে প্রচলিত দৃষ্টিভঙ্গি পরিবর্তন ঘটানো প্রয়োজন বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
বুধবার (৪ অক্টোবর) লন্ডনের ওয়েস্টমিনিস্টারে স্পিকার্স হাউস স্টেট রুমে ‘বাংলাদেশ অ্যাট ৫০: দি রিজিলেন্ট ডেল্টা’ শীর্ষক অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে ভূমিকা রাখতে যুক্তরাজ্যকে আহ্বান জানান প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, নিরাপত্তা ও মর্যাদা নিশ্চিত করে রোহিঙ্গা শরণার্থীদের তাদের জন্মভূমি মিয়ানমারে ফেরত পাঠাতে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সক্রিয় ভূমিকা পালন করা উচিত। এ সঙ্কট সমাধানে যুক্তরাজ্যের ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ।
তিনি আরও বলেন, রোহিঙ্গা সংকট নিরসনের মাধ্যমে বাংলাদেশ ২০১৭ সালের আগষ্ট থেকে এই অঞ্চলে স্থিতিশীলতা প্রতিষ্ঠা করেছে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, সত্যিকার অর্থেই দু’দেশের সম্পর্ক বর্তমানে কৌশলগত হওয়া উচিত। এ ক্ষেত্রে শান্তিরক্ষা, সন্ত্রাস দমন, সামুদ্রিক ও বিমান পরিবহন নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে তাদের সহযোগিতার ওপর দৃষ্টি দিতে হবে।
যুক্তরাজ্যে নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদের নিয়ে তিনি বলেন, আমাদের অভিবাসীদের নিয়ে আমরা গর্ববোধ কর্রি। ওয়েস্টমিনিস্টারে তাদের ক্রমবর্ধমান প্রতিনিধিত্ব দেখে আমি আনন্দিত। আবার তাদের সবাই নারী। আমি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি বৈচিত্রপূর্ণ এই মহান পার্লামেন্টে তাদের আরও অনেকে নির্বাচিত হবেন।
সরকারের সফলতার কথা তুলে ধরে লন্ডনের পার্লামেন্টে শেখ হাসিনা বলেন, সরকার গত এক দশকে দারিদ্রতার হার ৩১ দশমিক ৫ ভাগ থেকে ২০ দশমিক ৫ ভাগে কমিয়ে এনেছে। মানুষের গড় আয়ু বেড়ে হয়েছে ৭৩ বছর।
তিনি আরও বলেন, মাথাপিছু আয় ২০০৮ সাল থেকে তিন গুন বৃদ্ধি পেয়ে এ বছরে হয়েছে ২২২৭ মার্কিন ডলার। অপর দিকে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ সাত গুন বেড়ে ২০২১ সালে হয়েছে ৪৮ বিলিয়ন মার্কিন ডলার।
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: