বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস বলেন, আওয়ামী লীগকে রাজনীতি করার লাইসেন্স বিএনপি দিয়েছিল। অথচ আজ আওয়ামী লীগ বিএনপির দেওয়া সেই সুযোগের অপব্যবহার করে খালেদা জিয়াকে আটকে রেখেছে।
মঙ্গলবার (১৯ অক্টোবর) নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের নিচতলায় খালেদা জিয়ার রোগমুক্তি কামনায় স্বেচ্ছাসেবক দল ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আয়োজিত দোয়া মাহফিলে তিনি এসব কথা বলেন।
মির্জা আব্বাস বলেন, শুনলাম আওয়ামী লীগ মিছিল করবে। কিন্তু তারা মিছিলে কি দাবি জানাবে, কার কাছে দাবি জানাবে। তারাইতো ক্ষমতায়। আমরা মিছিল করতে পারি, সরকারের কাছে কৈফিয়ত চাইতে পারি। আওয়ামী লীগ কার কাছে কি দাবি করবে? যেখানে সরকারের দায়িত্ব হলো দেশের সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বজায় রাখা। তারাই যদি মিছিল নিয়ে নামে তাহলে আমি মনে করি, মিছিল নিয়ে নয়, গদি ছেড়ে আপনারা রাস্তায় নেমে যান। নির্বাচন দেন, সেই নির্বাচনে যারা ক্ষমতায় আসবে আমরা তাদের মেনে নেব। আওয়ামী লীগ এলেও মেনে নেব। কিন্তু রাতের অন্ধকারে নির্বাচন দেবেন না। তত্ত্বাবধায়ক সরকার ছাড়া নির্বাচন হবে না।
তিনি বলেন, এ সরকার খালেদা জিয়াকে এত ভয় পায় যে তাকে ছাড়লে কি যেন হয়ে যাবে। এ ভয়ে তাকে মুক্ত করে না আওয়ামী লীগ। তিনি গণতন্ত্রের নেত্রী। গণতন্ত্রের বাইরে কোনো কাজ তিনি করবেনও না। এত ভয়ের কি আছে। এ খালেদা জিয়াই আপনাদের রাজনীতি করার অধিকার দিয়েছিল। তারই স্বামী প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান বাকশাল থেকে বহুদলীয় গণতন্ত্র কায়েম করে এ আওয়ামী লীগকে পুনর্জন্ম দিয়েছিলেন। আওয়ামী লীগকে রাজনীতি করার লাইসেন্স দিয়েছিলেন বিএনপি-জিয়াউর রহমান। অথচ সেই সুযোগকে অপব্যবহার করে আজ খালেদা জিয়াকে আটকে রেখেছে আওয়ামী লীগ।
তিনি আরও বলেন, নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য, গ্যাস-পানি-বিদ্যুতের মূল্যবৃদ্ধি থেকে দৃষ্টি ফেরানোর জন্য আজ আওয়ামী লীগ সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা সৃষ্টি করছে। অন্যদিকে এখন বিএনপির বিরুদ্ধে মামলা দেওয়া হচ্ছে। গ্রেফতার করা হচ্ছে। এসব হামলা-মামলা গ্রেফতার করে বিএনপিকে দমিয়ে রাখা যাবে না। বিএনপি তিনবারের দেশপ্রেমিক পরীক্ষিত একটি দল, যে দল দেশকে ভালোবাসে। আজ আমরা যদি এসব প্রতিহত করতে না পারি তাহলে দেশের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব রাখা যাবে না। দেশে সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা শুরু হলে স্বাধীনতা থাকে না। সেজন্য আমাদের সবাইকে সজাগ থাকতে হবে।
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: