আওয়ামী লীগ থেকে অব্যাহতি পাওয়া হেলেনা জাহাঙ্গীরের ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলায় জামিন আবেদন নাকচ করে দিয়েছেন হাইকোর্ট। মঙ্গলবার বিচারপতি মো. রেজাউল হক ও বিচারপতি মো. বদরুজ্জামানের বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
জামিন আবেদনের পক্ষে আদালতে ছিলেন আইনজীবী জেডআই খান পান্না ও মোমতাজউদ্দিন আহমদ মেহেদী। রাষ্ট্রপক্ষে অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল শেখ মোহাম্মদ মোরশেদ ছিলেন।
গত ৩০ জুলাই হেলেনার বিরুদ্ধে গুলশান থানায় মামলাটি করে র্যাব-১। মামলায় ডিজিটাল প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার করে সরকারের মন্ত্রী ও সংস্থাকে কটূক্তি করে দেশের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তির ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করার অভিযোগ আনা হয়েছে তার বিরুদ্ধে।
এ মামলায় গত ২১ সেপ্টেম্বর ঢাকা মহানগর দায়রা জজ কেএম ইমরুল কায়েশ তার জামিন আবেদন নামঞ্জুর করেন। পরবর্তীতে তিনি হাইকোর্টে জামিন চেয়ে আবেদন করেন।
হেলেনা জাহাঙ্গীরের বিরুদ্ধে করা অন্য সব মামলায় নিম্ন আদালত থেকে জামিন পেয়েছেন। ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের এই মামলায় জামিন পেলে তিনি মুক্তি পেতেন।
উল্লেখ্য গত ৩০ জুলাই গুলশান থানায় হেলেনা জাহাঙ্গীরের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা হয়। এ ছাড়া গুলশান থানায় মাদক, বিশেষ ক্ষমতা, মিরপুর থানায় প্রতারণা মামলা এবং পল্লবী থানার টেলিযোগাযোগ আইনে মামলাও হয় তার বিরুদ্ধে।
২৯ জুলাই রাত ৮টার দিকে হেলেনা জাহাঙ্গীরের গুলশান-২ এর বাসায় অভিযান চালায় র্যাব। দীর্ঘ প্রায় চার ঘণ্টা অভিযান শেষে রাত ১২টার দিকে তাকে আটক করা হয়। পরে র্যাব সদরদপ্তরে নিয়ে যাওয়া হয়।
হেলেনা জাহাঙ্গীরকে আটকের পর তার প্রতিষ্ঠান জয়যাত্রা টেলিভিশন কার্যালয়েও অভিযান চালায় র্যাব। ওই অভিযানের পর র্যাব জানায় জয়যাত্রা টেলিভিশন কোনো ধরনের বৈধ কাগজপত্র ছাড়াই চলত।
হেলেনা জাহাঙ্গীর তার জয়যাত্রা টেলিভিশনের জন্য সারাদেশে প্রতিনিধি নিয়োগ করেছিলেন। প্রবাসী প্রতিনিধি নিয়োগের নামে তিনি ব্যাপক অর্থ হাতিয়ে নিয়েছেন।
ডিজিটাল প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার করে মিথ্যাচার, অপপ্রচার ও বিভ্রান্তিকর তথ্য ছড়িয়ে রাষ্ট্রীয় গুরুত্বপূর্ণ সংস্থা ও ব্যক্তিদের সম্মানহানি করার অপচেষ্টার অভিযোগে হেলেনা জাহাঙ্গীরকে গ্রেফতার দেখানো হয় ৩০ জুলাই।
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: