পরমাণু যুগে প্রবেশ করে পুরো বিশ্বকে তাক লাগিয়ে দিয়েছে বাংলাদেশ। দেশের একের পর এক অগ্রগতি দেখে বিশ্ব এখন আমাদের প্রশংসা করছে।
রোববার (১০ অক্টোবর) সকালে গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের প্রথম ইউনিটের চুল্লির উদ্বোধন শেষে প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এ কথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ২০০১ সালে বিএনপি সরকার ক্ষমতার মসনদে বসে একের পর এক দুর্নীতির ফন্দি করতে থাকে। এর মধ্যে বিদ্যুৎখাত ছিল অন্যতম। ১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এসে বিদ্যুৎ ৪ হাজার ৩০০ মেগাওয়াটে উন্নীত করলেও বিএনপি ২০০১ সালে ক্ষমতায় এসে ৩ হাজার মেগাওয়াটে নিয়ে আসে। যেটি বিদ্যুৎখাতের জন্য অশনিসংকেত ছিল।
তিনি বলেন, এক ফোটা বিদ্যুৎও তারা বাড়ায়নি। আজ আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আছে। তাই দেশের উন্নয়ন অগ্রগতি অব্যাহত রয়েছে। বিএনপি দুর্নীতিতে বিশ্বাসী আর আমরা উন্নয়নে বিশ্বাসী। পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ তার বড় প্রমাণ।
প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের বাংলাদেশ গড়ে তোলার জন্য দিনরাত পরিশ্রম করছি। ক্ষুধা-দারিদ্র্যমুক্ত সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ে তুলতে চেয়েছিলেন জাতির পিতা। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট জাতির পিতাকে হত্যা করে সেই স্বপ্ন মুছে দিতে চেয়েছিল একটি গোষ্ঠী। কিন্তু তাদের সেই দুঃস্বপ্ন পূরণ হয়নি। তারা ভেবেছিল তাকে হত্যা করলেই আমরা সফল হতে পারব। তাদের সেই বিশ্বাসঘাতকতা বাঙালি ভুলে যায়নি।
তিনি বলেন, দেশে শতভাগ বিদ্যুতায়ন হয়েছে। গ্রামগঞ্জের বাড়িতে বাড়িতে এখন বিদ্যুৎ। পারমাণবিকের কাজ সম্পন্ন হয়ে গেলে গ্রামগঞ্জ অর্থনৈতিকভাবে আরও সমৃদ্ধ হবে। এ লক্ষ্যে দক্ষিণাঞ্চল আরও একটি পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র গড়ে তোলার পরিকল্পনা হাতে নিয়েছি।
জাতির পিতার স্বপ্ন ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নয়নশীল দেশে পরিণত হবে বাংলাদেশ। এই উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে আর কোনো শকুনের থাবা পড়তে দেওয়া হবে না বলে জানান প্রধানমন্ত্রী।
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: