বাংলাদেশের সঙ্গে সরাসরি বিমান যোগাযোগে আগ্রহী ভিয়েতনাম

সময় ট্রিবিউন | ৬ অক্টোবর ২০২১, ০১:১০

ছবি: সংগৃহীত

পর্যটক ও দুই দেশের জনগণের যাতায়াতের সুবিধার্থে বাংলাদেশ ও ভিয়েতনামের মধ্যে হ্যানয়-ঢাকা-হ্যানয় রুটে সরাসরি ফ্লাইট চালুর আগ্রহ প্রকাশ করেছে ভিয়েতনাম।

মঙ্গলবার সচিবালয়ে বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী মো. মাহবুব আলীর সঙ্গে সাক্ষাতে বাংলাদেশে নিযুক্ত ভিয়েতনামের রাষ্ট্রদূত ফাম ভিয়েত চেইন এ আগ্রহের কথা জানান।

ভিয়েতনামের মুক্তির সংগ্রামে ভিয়েতনামের জনগণের প্রতি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সমর্থনের কথা কৃতজ্ঞতার সঙ্গে স্মরণ করে এ সময় রাষ্ট্রদূত বলেন, বাংলাদেশ ও ভিয়েতনাম দুটি দেশেই মুক্তির জন্য দীর্ঘ সংগ্রামের পথ পাড়ি দিয়েছে। আকাশ পথে সরাসরি যোগাযোগ প্রতিষ্ঠিত হলে এ দুই দেশের জনগণের মধ্যে সম্পর্ক আরো বৃদ্ধি পাবে। ফাম ভিয়েত চেইন আরো বলেন, বাংলাদেশের প্রকৃতি, সমৃদ্ধ সংস্কৃতি, ঐতিহ্য ও বন্ধুসুলভ জনগণ বাংলাদেশের পর্যটন শিল্পের বড় সম্পদ। বিশ্বের অন্যতম জনপ্রিয় পর্যটন গন্তব্যে পরিণত হওয়ার সব সম্ভাবনা বাংলাদেশের রয়েছে। ভবিষ্যতে দুই দেশের সহযোগিতার ক্ষেত্র উন্নয়নে পর্যটন ও সিভিল এভিয়েশন খাত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।

সাক্ষাৎকালে বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী মো. মাহবুব আলী বলেন, পর্যটন শিল্প ও এভিয়েশন খাতের উন্নয়নে দুই দেশের একসঙ্গে কাজ করার অনেক সুযোগ রয়েছে। বাংলাদেশ ও ভিয়েতনামের মধ্যে সরাসরি ফ্লাইট চালু হলে তা দুই দেশের মধ্যে ব্যবসা-বাণিজ্যের প্রসার ঘটানোর পাশাপাশি জনগণের মধ্যে সংযোগ হিসেবে কাজ করবে।

প্রতিমন্ত্রী আরো বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বহুমাত্রিক ও গতিশীল নেতৃত্বে বাংলাদেশের পর্যটন শিল্পকে আন্তর্জাতিক মানে উন্নয়নের কাজ চলমান রয়েছে। পর্যটন শিল্পের সামগ্রিক উন্নয়নের জন্য পর্যটন মহাপরিকল্পনা প্রণয়ন করা হচ্ছে। পদ্মা সেতু, মেট্রোরেল, কক্সবাজারে ঘুমদুম পর্যন্ত রেললাইন স্থাপন, হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের তৃতীয় টার্মিনালসহ নানা অবকাঠামোগত উন্নয়ন কাজ চলমান রয়েছে, যা পর্যটন শিল্পের বিকাশে সহায়ক ভূমিকা রাখবে। দেশের প্রধান পর্যটন নগরী কক্সবাজারে অবস্থিত বিমানবন্দরকে আন্তর্জাতিক মানে উন্নয়নের কাজ চলছে। এর ফলে বিশ্বের যেকোনো দেশ থেকে পর্যটকেরা সরাসরি কক্সবাজার আসতে পারবেন।


আপনার মূল্যবান মতামত দিন: