প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ৭৫তম জন্মদিন আজ

সময় ট্রিবিউন | ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২১, ০৯:৩৬

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা-ফাইল ছবি

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জ্যেষ্ঠকন্যা আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জন্মদিন আজ (২৮ সেপ্টেম্বর)। এদিন ৭৫ বছরে পদার্পণ করলেন বাংলাদেশের চারবারের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তার বলিষ্ঠ নেতৃত্বে টানা তৃতীয়বারের মতো সরকার গঠন করে দেশ পরিচালনা করছে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ।

৭৪ বছরের জীবনে অর্ধেক সময় বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের মতো একটি বৃহৎ রাজনৈতিক দলের সভাপতির দায়িত্বভার বয়ে চলছেন। অক্লান্ত এই পথচলার নিজের বয়স বাড়ার দিকটি তাই বারবার দলের নেতাকর্মীদের স্মরণ করিয়ে দেন তিনি। বৈশ্বিক করোনা মহামারি পরিস্থিতিতেও তার দক্ষ নেতৃত্ব দেশে-বিদেশে ভূয়সী প্রশংসা পেয়েছেন। তার নেতৃত্বাধীন সরকার এবং দল দক্ষতা, সততা, মানবিকতার নেতৃত্ব নিয়ে জীবন-জীবিকার চাকা সচল রাখার অগ্নিপরীক্ষার উত্তীর্ণ হয়েছে বলে দাবি করছে আওয়ামী লীগ।

করোনাভাইরাসের জন্য বৈশ্বিক মহামারি পরিস্থিতির কারণে গতবার জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের ৭৫তম অধিবেশনে যোগ দিতে পারেননি শেখ হাসিনা। কিন্তু এবার করোনা সংক্রমণ পরিস্থিতির নিম্নগতির কারেণ জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের ৭৬তম অধিবেশনে যোগ দিয়েছেন। বর্তমানে তিনি যুক্তরাষ্ট্রেই অবস্থান করছেন। তাই এবারের জন্মদিনটি বিদেশের মাটিতেই কাটাবেন বঙ্গবন্ধুকন্যা। যুক্তরাষ্ট্রেই একান্ত ঘরোয়া পরিবেশে পরিবারের সদস্যদের নিয়ে জন্মদিন পালন করতে পারেন আওয়ামী লীগ সভাপতি।

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্ম মধুমতি নদীবিধৌত গোপালগঞ্জ জেলার টুঙ্গিপাড়া গ্রাম। সেই নিভৃত পল্লীতেই ‘দেশভাগে’র বছর ১৯৪৭ সালের ২৮ সেপ্টেম্বর জন্মগ্রহণ করেন বড় মেয়ে শেখ হাসিনা। জাতির পিতা ও বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন নেছা মুজিব দম্পতির প্রথম সন্তান তিনি।

শেখ হাসিনার শৈশব-কৈশোর কেটেছে বাইগার নদীর তীরে টুঙ্গিপাড়ায় বাঙালির চিরায়ত গ্রামীণ পরিবেশে। বাঙালির মুক্তি আন্দোলনে ব্যস্ত পিতার দেখা পেতেন কখনো কখনো। পাঁচ ভাইবোনের মধ্যে শেখ হাসিনা সবার বড়। তার অন্যান্য ভাইবোনরা হলেন- শেখ কামাল, শেখ জামাল, শেখ রেহানা ও শেখ রাসেল। পঁচাত্তরের ১৫ আগস্টের এক কলঙ্কিত রাতে মা-বাবাসহ ভাইদের সবাইকেই হারিয়েছেন শেখ হাসিনা। বোন শেখ রেহানাই কেবল জীবিত রয়েছেন। ওই সময় স্বামীর কর্মস্থল জার্মানিতে অবস্থান করেছিলেন দুই বোন।

শেখ হাসিনার শিক্ষাজীবন শুরু হয় টুঙ্গিপাড়ার এক পাঠশালায়। ১৯৫৪ সালের নির্বাচনে শেখ মুজিবুর রহমান প্রাদেশিক পরিষদের সদস্য (এমপিএ) নির্বাচিত হওয়ার পর তিনি তার পরিবারকে ঢাকায় নিয়ে আসনে। পুরানো ঢাকার মোগলটুলির রজনী বোস লেনে বসবাস শুরু করেন তারা। পরে যুক্তফ্রন্ট মন্ত্রিসভার সদস্য নির্বাচিত হলে আবাস স্থানান্তরিত হয় ৩ নম্বর মিন্টো রোডের সরকারি বাসভবনে।

১৯৫৬ সালে শেখ হাসিনা ভর্তি হন টিকাটুলির নারীশিক্ষা মন্দির বালিকা বিদ্যালয়ে। ধানমন্ডির ঐতিহাসিক ৩২ নম্বর রোডের বাড়িতে বসবাস শুরু করেন ১৯৬১ সালের ১ অক্টোবর। এ সময় শেখ হাসিনা ১৯৬৫ সালে আজিমপুর বালিকা বিদ্যালয় থেকে মাধ্যমিক পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন। ১৯৬৭ সালে উচ্চ মাধ্যমিক পাশ করেন ঢাকার বকশী বাজারের ইন্টারমিডিয়েট গভর্নমেন্ট গার্লস কলেজ (বর্তমান বদরুন্নেসা সরকারি মহিলা মহাবিদ্যালয়) থেকে। ওই সময় তিনি কলেজ ছাত্র সংসদের সহ-সভানেত্রী (ভিপি) পদে নির্বাচিত হন। একই বছর ভর্তি হন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে।

রাজনৈতিক পরিবারে জন্মগ্রহণ করার কল্যাণে কিশোর বয়স থেকেই স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয় জীবনে বিভিন্ন রাজনৈতিক আন্দোলনে সক্রিয় ছিলেন শেখ হাসিনা। ১৯৬৬ সালে বঙ্গবন্ধু উত্থাপিত ছয় দফা দাবিতে ওই সময়ের পূর্ব পাকিস্তানে এক অভূতপূর্ব গণজাগরণ তৈরি হলে তৎকালীন শাসকগোষ্ঠী বঙ্গবন্ধুকে গ্রেফতার করে। কারাগারে আটক অবস্থায় বঙ্গবন্ধুর বিরুদ্ধে পাকিস্তানি শাসকগোষ্ঠী দায়ের করেন আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলা। তার জীবন ও পরিবারের ওপর নেমে আসে গভীর শঙ্কা, অনিশ্চয়তা ও অসহনীয় দুঃখ-কষ্ট। এই ঝড়ো দিনগুলোর মধ্যেও কারাবন্দি পিতার আগ্রহে ১৯৬৭ সালের ১৭ নভেম্বর পরমাণু বিজ্ঞানী ড. এম এ ওয়াজেদ মিয়ার সঙ্গে শেখ হাসিনা বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন। বিয়ের কিছুদিন পর শুরু হয় বাঙালি জাতির ১১-দফা আন্দোলন, ৬৯-এর গণঅভ্যুত্থান। শেখ হাসিনা ছাত্রলীগ নেত্রী হিসেবে তাতে সক্রিয়ভাবে অংশ নেন।

১৯৭১ সালের ২৫ মার্চের কাল রাতে বঙ্গবন্ধুকে যখন পাকহানাদার বাহিনী গ্রেফতার করে পাকিস্তানের করাচিতে নিয়ে যায়, তখন বঙ্গবন্ধুর গোটা পরিবারকে ঢাকার এক বাড়িতে গৃহবন্দি করে রাখা হয়। ওই সময় গৃহবন্দি থাকা অবস্থাতেই ১৯৭১ সালের ২৭ জুলাই শেখ হাসিনার প্রথম সস্তান সজীব ওয়াজেদ জয় জন্মগ্রহণ করেন। ১৯৭১ সালের ১৭ ডিসেম্বর মুক্তিযুদ্ধে বিজয় অর্জনের পর পরিবারের অন্য সদস্যদের সঙ্গে তিনি মুক্ত হন। ১৯৭২ সালের ৯ ডিসেম্বর তিনি জন্ম দেন একমাত্র কন্যা সায়মা ওয়াজেদ পুতুলকে। ১৯৭৩ সালে শেখ হাসিনা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক ডিগ্রি অর্জন করেন।

১৯৭৫-এর ১৫ আগস্ট কালরাতে ঘাতকের নির্মম বুলেট জাতির পিতাকে সপরিবারে হত্যা করলে আর দেশে ফিরতে পারেননি দুই বোন শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানা। শুরু হয় তাদের প্রবাস জীবন। তবে ১৯৮১ সালে ঢাকার ইডেন হোটেলে আওয়ামী লীগের এক ঐতিহাসিক কাউন্সিলে তার অনুপস্থিতিতেই তাকে দলের সভাপতি নির্বাচিত করা হয়। সেই ডাকে সাড়া দিয়ে তৎকালীন সামরিক শাসকদের রক্তচক্ষু ও নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে ১৯৮১ সালের ১৭ মে স্বদেশ প্রত্যাবর্তন করেন বঙ্গবন্ধুকন্যা। এরপর দীর্ঘ ২১ বছর ধরে সামরিক জান্তা, স্বৈরশাসন ও দুঃশাসনের বিরুদ্ধে লড়াই সংগ্রাম আন্দোলন করে দিকহারা আওয়ামী লীগকে ঐক্যবদ্ধ করে ১৯৯৬ সালের ১২ জুন অনুষ্ঠিত জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের জন্য বিজয় ছিনিয়ে আনেন। এর মধ্য দিয়ে প্রথমবারের মতো বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হন তিনি।

পাঁচ বছর দেশ পরিচালনার পর ২০০১ সালের জাতীয় নির্বাচনে জয় পায় বিএনপি-জামায়াত জোট। এ সময় আবার সারাদেশে আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের ওপর চরম দমন-নিপীড়ন শুরু হয়। ২০০৪ সালে ২১ শে আগস্ট তদানীন্তন বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের মদদে আওয়ামী লীগের শান্তি সমাবেশে চালানো হয় পরিকল্পিত নারকীয় গ্রেনেড হামলা। ওই হামলার প্রধান লক্ষ্য ছিলেন তৎকালীন বিরোধীদলীয় নেতা শেখ হাসিনা। নেতাকর্মীরা মানবঢাল তৈরি করলে সেদিন প্রাণে বেঁচে যান তিনি। তবে তার শ্রবণশক্তি মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। সেদিনের হামলায় আওয়ামী লীগ নেত্রী আইভি রহমানসহ ২৪ জন নেতাকর্মী নিহত হন।

২০০৬ সালে ২৮ অক্টোবর বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের শাসনের অবসান হলেও সংবিধান লঙ্ঘন করে বিএনপির রাষ্ট্রপতি ইয়াজউদ্দীন আহমেদ নিজেই তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধান উপদেষ্টার পদ দখল করেন। শুরু হয় নির্বাচনে ষড়যন্ত্রের প্রস্তুতি। শেখ হাসিনা নির্বাচন বর্জনের ঘোষণা দিলে শুরু হয় গণআন্দোলন। বাতিল হয় পাতানো নির্বাচন। প্রধান উপদেষ্টার পদ থেকে সরে দাঁড়াতে বাধ্য হন ইয়াজউদ্দিন। আসে জরুরি অবস্থার ঘোষণা। ফখরুদ্দীন আহমেদের নেতৃত্বে গঠিত হয় নতুন তত্ত্বাবধায়ক সরকার। এরপর আবার নতুন ষড়যন্ত্র। ওয়ান-ইলেভেনের কুশীলবরা শেখ হাসিনাকে রাজনীতি থেকে সরিয়ে দিতে হাজির করেন ‘মাইনাস টু ফর্মুলা’। কিন্তু শেখ হাসিনা সরকারি নিষেধাজ্ঞা, ষড়যন্ত্র উপেক্ষা করে ২০০৭ সালের ৭ মে ফিরে আসেন দেশে। এরপর মাত্র দু’মাস পর ২০০৭ সালের ১৬ জুলাই নিজ বাসভবন সুধাসদন থেকে শেখ হাসিনাকে গ্রেফতার করা হয়। জাতীয় সংসদ এলাকায় একটি অস্থায়ী কারাগারে তাকে বন্দি করে রাখা হয়। তার বিরুদ্ধে দায়ের করা হয় একের পর এক ষড়ন্ত্রমূলক মিথ্যা মামলা। এমনকি কারাগারেও তার জীবননাশের ষড়যন্ত্র চলে। তিনি গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েন। দেশে আওয়াজ ওঠে শেখ হাসিনাকে বাদ দিয়ে কোনো নির্বাচন নয়। তাই রাজনৈতিক নেতাদের মুক্তি দিতে বাধ্য হয় সেনা সমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক সরকার।

২০০৮ সালের ২৯ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত হয় নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচন। এককভাবে আওয়ামী লীগই লাভ করে তিন-চতুর্থাংশের বেশি আসন। ২০০৯ সালের ৬ জানুয়ারি দ্বিতীয়বারের মতো দেশের প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্বভার গ্রহণ করেন মহাজোট নেত্রী শেখ হাসিনা। এরপর ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারি দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে সরকার গঠন করে শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন আওয়ামী লীগ। তার নেতৃত্বাধীন সরকার আজ সফলতার সঙ্গে টানা তৃতীয় মেয়াদে চতুর্থবারের মতো দেশ পরিচালনা করছে।

এক বর্ণাঢ্য সংগ্রামমুখর জীবন শেখ হাসিনার। মুক্তিযুদ্ধের নয় মাস ছিলেন গৃহবন্দি। সামরিক স্বৈরশাসনামলেও বেশ কয়েকবার তাকে কারানির্যাতন ভোগ ও গৃহবন্দি থাকতে হয়েছে। বার বার তার জীবনের ওপর ঝুঁকি এসেছে। অন্তত ২১ বার তাকে হত্যার অপচেষ্টা করা হয়েছে। জীবনের ঝুঁকি নিয়েও তিনি অসীম সাহসে লক্ষ্য অর্জনে থেকেছেন অবিচল। একজন সফল রাষ্ট্রনায়ক হিসেবে তার অবদান আজ আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত। ’৭৫ পরবর্তী বাঙালি জাতির যা কিছু মহৎ অর্জন, তা বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বেই অর্জিত হয়েছে। শেখ হাসিনার জন্মদিন তাই গোটা বাঙালি জাতির জন্য একটি তাৎপর্যপূর্ণ দিন।

বিভিন্ন খাতে অবদানের জন্য এর আগেও বিশ্বজুড়ে বিভিন্ন সম্মানসূচক ডিগ্রি, পদক ও স্বীকৃতি দিয়ে শেখ হাসিনাকে সম্মানিত করা হয়েছে। নিখাদ দেশপ্রেম, দূরদর্শিতা, দৃঢ় মানসিকতা ও মানবিক গুণাবলী তাকে আসীন করেছে বিশ্ব নেতৃত্বের আসনে। তিনিই আজ বাঙালির জাতীয় ঐক্য প্রতীক এবং আশা-ভরসার নিরাপদ আশ্রয়স্থল। শেখ হাসিনার সুদক্ষ নেতৃত্বে বাংলাদেশের অভূতপূর্ব উন্নয়ন ও অমিত সম্ভবানার শক্তিশালী ভিত রচিত হওয়ায় জনপ্রিয়তার অনন্য উচ্চতায় পৌঁছে যান শেখ হাসিনা।

অমিত সম্ভাবনার দেশ হিসেবে বাংলাদেশ এগিয়ে চলেছে এক অপ্রতিরোধ্য গতিতে। বঙ্গবন্ধুকন্যার নেতৃত্বে সকল প্রতিবন্ধকতা সমস্যা-সংকট ও চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করে বাংলাদেশ স্বপ্লোন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল রাষ্ট্রে উন্নীত হয়েছে। সকলের জন্য বিনামূল্যে ভ্যাকসিন প্রাপ্তি নিশ্চিত করা হচ্ছে। ইতোমধ্যে চার কোটিরও বেশি ভ্যাকসিন ডোজ সম্পন্ন হয়েছে। জাতিসংঘের ৭৬তম অধিবেশনে তিনি বিশ্বের সকল মানুষের জন্য ভ্যাকসিন প্রাপ্তির সমান সুযোগ নিশ্চিত করতে বিশ্ব নেতাদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।

গত ২১ সেপ্টেম্বর জাতিসংঘের সাসটেইনেবল ডেভেলপমেন্ট সল্যুশনস নেটওয়ার্ক (এসডিএসএন) দারিদ্র্য দূরীকরণ, পৃথিবীর সুরক্ষা এবং সকলের জন্য শান্তি ও সমৃদ্ধি নিশ্চিত করতে পদক্ষেপ গ্রহণের সর্বজনীন আহ্বানে সাড়া দিয়ে বাংলাদেশের সঠিক পথে অগ্রসরের জন্য প্রধানমন্ত্রীকে ‘এসডিজি অগ্রগতি পুরস্কার’ প্রদান করে। সাসটেইনেবল ডেভেলপমেন্ট সল্যুশনস নেটওয়ার্কের পক্ষ থেকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ‘ক্রাউন জুয়েল’ বা ‘মুকুট মণি’ অভিধায় ভূষিত করা হয়েছে।

বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার জন্মদিন বাঙালি জাতি তাৎপর্যপূর্ণ দিন হিসেবে পালন করে। এবারও তার দল বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ দিনটি যথাযোগ্য মর্যাদার সাথে নানা কর্মসূচির মধ্য দিয়ে পালন করবে। মঙ্গলবার (২৮ সেপ্টেম্বর) সকাল সাড়ে ১০টায় বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে এক আলোচনা সভার আয়োজন করেছে দলটি। আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করবেন দলের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য সৈয়দা সাজেদা চৌধুরী এমপি।

এছাড়াও কেন্দ্রীয়ভাবে বাদ জোহর জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমসহ দেশের সকল মসজিদে দোয়া ও মিলাদ মাহফিল হবে। এর বাইরে বিভিন্ন উপাসানালয়ে বিশেষ প্রার্থনা অনুষ্ঠিত হবে। এসব কর্মসূচি পালন করার জন্য আওয়ামী লীগসহ সকল সহযোগী সংগঠন, সামাজিক, সাংস্কৃতিক সংগঠন এবং সংস্থাগুলোর সকল স্তরের নেতাকর্মী, সমর্থক ও সর্বস্তরের জনগণের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।



আপনার মূল্যবান মতামত দিন: