চাকরিজীবী ছেলে-মেয়ের মধ্যে বিয়ে বন্ধ করতে বললেন এমপি

সময় ট্রিবিউন | ৪ সেপ্টেম্বর ২০২১, ২১:৪৭

ছবি : ইন্টারনেট

চাকরিজীবী ছেলে বা মেয়ে একে অপরে কোন চাকরিজীবীকে বিয়ে করতে পারবেন না। এমন একটি আইন করতে সংসদে প্রস্তাব দিয়েছেন স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য রেজাউল করিম বাবলু।

তিনি বলেছেন, বেকারত্ব কমানো ও গৃহকর্মীদের দ্বারা শিশু নির্যাতন বন্ধে তিনি এমন প্রস্তাব দিয়েছেন। অবশ্য আইনমন্ত্রী এ ধরনের আইনকে অসাংবিধানিক উল্লেখ করে বলেছেন, বাক স্বাধীনতার সুযোগ নিয়ে যা কিছু তাই বলা যেতে পারে। কিন্তু জনপ্রতিনিধি হিসেবে আমি যা খুশি তাই গ্রহণ করতে পারবো না।

শনিবার (৪ সেপ্টেস্বর) জাতীয় সংসদে ‘জাতীয় সংসদের নির্বাচনী এলাকার সীমানা নির্ধারণ বিল-২০২১ টির সংশোধনী প্রস্তাবের ওপর আলোচনাকাল অপ্রসঙ্গিত হিসেবে বাবলু প্রস্তাবটি করেন। বাবলুর এই প্রস্তাবেবর সময় সংসদে হাসির রোল পড়ে যায়।

তিনি বলেন, করোনার কারণে চার কোটি জনগোষ্ঠী বেকার হয়েছে। আমাদের দেশে প্রচলিত সামাজিজক রেওয়াজ আছে। চাকরীজীবী কোন পুরুষ চাকরিজীবী নারীকে বিয়ে করতে চান। আবার চাকরিজীবী নারীও একজন চাকরিজীবী পুরুষকে বিয়ে করতে চান। এতে কিন্তু বেকার সমস্যার সমাধান হয় না।

তিনি বলেন, এখানে আইনমন্ত্রী আছেন উনাকে নিবেদন করবো। এমন একটি আইন উনি সুবিধাজজনক ভাবে করবেন যে কোন চাকরিজীবী নারী কোন চাকরিজীবী পুরুষকে বিয়ে করতে পারবেন না। এবং কোন চাকরিজীবী পুরুষ কোন চাকরিজীবী নারীকে বিয়ে করতে পারবেন না। তাহলে আমাদের বেকার সমস্যাটা অনেক পরিমাণে লাঘব হবে। এই প্রস্তাবটি আমলে নিয়ে চার কোটি বেকারের কিছুটা হলেও লাঘব হবে।

প্রস্তাবের পেছনে যুক্তি তুলে ধরে তিনি বলেন, আমার প্রস্তাবের পেছনে আরো একটি কারণ আছে। যখন চাকরিজীবী দম্পত্তি অফিসে যান তাদের শিশু সন্তানরা গৃহকর্মীদের দ্বারা দারুণভাবে নির্যাতিত হয়।

ওই প্রস্তবাবের জবাব দিতে গিয়ে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেন, সংসদ সদস্য বললেন স্বামী চাকরি করলে চাকরিজীবী মেয়ের সাথে তাকে বিয়ে দেয়া যাবে না। এ রকম প্রস্তাব নিয়ে আমি এখান থেকে দু’কদমও হাটতে পারবো না। এটা অসাংবিধানিক প্রস্তাব। কীভাবে এই প্রস্তাব এখানে এলো বুঝতে পারলাম না। আমাদের বাকস্বাধীনতা রয়েছে। উনি যা খুশি তাই বলতে পারেন। নিশ্চয় উনি যা খুশি তাই এর মধ্যে আছেন। কিন্তু আমি যা খুশি তাই গ্রহণ করতে পারবো না। কারণ আমি জনগণের প্রতিনিধি।

 



আপনার মূল্যবান মতামত দিন: