দরিদ্র হয়ে জন্ম নেওয়া অপরাধ নয়, দরিদ্র হয়ে বেঁচে থাকা অভিশাপ

সময় ট্রিবিউন | ৩ সেপ্টেম্বর ২০২১, ০৫:০০

ছবিঃ সংগৃহীত

সুইজারল্যান্ডের জেনেভার জাতিসংঘ কার্যালয়ে এলডিসি-৫ সম্মেলনের প্রস্তুতির জন্য উচ্চ পর্যায়ের এশিয়া-প্যাসিফিক অঞ্চল পর্যালোচনা সভায় সমাপনী বক্তব্যে অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেছেন, দরিদ্র হয়ে জন্ম নেওয়া অপরাধ নয়, কিন্তু দরিদ্র হয়ে বেঁচে থাকা এবং মারা যাওয়া অভিশাপ। কেননা দারিদ্র্য থেকে আমাদের মুক্তি পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

তিনি বলেন, জন্মগতভাবে আমরা সবাই সমান নয়, কিন্তু আমাদের অবস্থার উন্নতির জন্য রয়েছে এক বা ভিন্ন ভিন্ন রকমের সুযোগ ও সক্ষমতা। আমরা যদি একটু পেছনে ফিরে তাকাই, বিশেষ করে ২০০ বছর পূর্বেও দেখি, আজকের উন্নত দেশগুলো বর্তমান অবস্থায় ছিল না। তাদের এখনকার সুযোগ সুবিধাগুলো তখন ছিল না। তখন দরিদ্র এবং দরিদ্র নয় এমন অবস্থা ছিল ৮০ এবং ২০ অনুপাতে। আর এখন এটি সম্পূর্ণ বিপরীত অবস্থায় বিরাজমান। কেউ যদি তার পরিস্থিতি পরিবর্তনের চেষ্টা না করে, তাহলে কেউই তাকে দারিদ্র্য থেকে বেরিয়ে আসতে সাহায্য করবে না। আর যদি সত্যিই অবস্থার পরিবর্তন করতে চায়, অবশ্যই সফলতা আসবে।

অর্থমন্ত্রী বলেন, কাঙ্ক্ষিত অর্থনৈতিক পরিবর্তনে সকলকে কঠোর পরিশ্রম করতে হবে। সকল জাতিকে বিভেদ নিরসনে সকল উন্নত এবং উন্নয়নশীল দেশকে পারস্পরিক আন্তরিক সহযোগিতার হাত প্রসারিত করতে হবে। কাউকে পেছনে ফেলে নয়, সকলকে একসঙ্গে নিয়েই উপরে উঠতে হবে। এ জন্য ২০২২ সালের জানুয়ারিতে কাতারের দোহায় অনুষ্ঠিতব্য পঞ্চম জাতিসংঘ সম্মেলনকে অত্যন্ত ফলপ্রসূ করতে সকলের প্রতি আহ্বান জানান তিনি।

মন্ত্রী আরও বলেন, বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বলেছেন, কারো মুখাপেক্ষী হয়ে নয় বরং নিজেদের স্বয়ংসম্পূর্ণ করে উন্নতি করতে হয়। আমাদের জাতির পিতার সুযোগ্য উত্তরাধিকার বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও একই নীতিতে বিশ্বাস করেন। তার গতিশীল নেতৃত্বে বাংলাদেশ গত এক দশকে অভূতপূর্ব অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির সম্মুখীন হয়েছে এবং ইতোমধ্যে এলডিসি থেকে উত্তরণের চূড়ান্ত সুপারিশ লাভ করেছে। এটা অত্যন্ত দুঃখজনক যে, ইস্তাম্বুল কর্মসূচির মেয়াদ (২০১১-২০২০) শেষেও ২০২০ সালের মধ্যে এলডিসির সংখ্যা অর্ধেকে নামিয়ে আনার লক্ষ্য পূরণ হয়নি। মাত্র চারটি দেশ উত্তরণ লাভ করেছে এবং বাকি পাঁচটি উত্তরণের প্রক্রিয়ায় রয়েছে।

 



আপনার মূল্যবান মতামত দিন: