দ্রুত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছি: প্রধানমন্ত্রী

সময় ট্রিবিউন | ২ সেপ্টেম্বর ২০২১, ২১:২৪

সংসদে বক্তব্য রাখছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা-ফাইল ছবি

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, দ্রুত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়ার জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সে অনুযায়ী ব্যবস্থাও নেওয়া হচ্ছে।

বৃহস্পতিবার জাতীয় সংসদ অধিবেশনে সিরাজগঞ্জ-৬ আসনে আওয়ামী লীগ থেকে নির্বাচিত সংসদ সদস্য হাসিবুর রহমানের মৃত্যুতে শোক প্রস্তাবের ওপর আলোচনায় অংশ নিয়ে সংসদ নেতা শেখ হাসিনা এ কথা বলেন।

শেখ হাসিনা বলেন, শিক্ষকদের টিকা দেওয়া হয়েছে। শিক্ষকদের পাশাপাশি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে যারা কর্মরত তাদের পরিবারের সদস্যদেরও যেন টিকা দেওয়া হয় সে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।

তিনি আরও বলেন, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার নির্দেশনা মেনে স্কুলের ছেলে-মেয়েদের টিকা দেওয়ার ব্যবস্থাও নেওয়া হচ্ছে। এ জন্য ফাইজারের কিছু টিকা ইতোমধ্যে এসে পৌঁছেছে এবং আরও আসবে। মডার্নার টিকার জন্যও চেষ্টা চলছে।

স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে আয়োজিত অধিবেশনের শুরুতেই শোক প্রস্তাবটি উত্থাপন করা হয়।

ইতোমধ্যে ছয় কোটি টিকার টাকা অগ্রিম দেওয়া হয়েছে বলেও সংসদকে জানিয়েছে তিনি।

শেখ হাসিনা বলেন, টিকা দেওয়ার পরও অনেকের করোনা হয়। এ কারণে সবাইকে সচেতন থাকতে হবে।

তিনি বলেন, করোনা থেকে ভালো হওয়ার পরও নানা জটিলতা থেকে যায়। যাদের অন্যান্য রোগ আছে, তাদের ক্ষেত্রে করোনা ঝুঁকি বাড়ায়। এ জন্য সবাইকে নিজের ভালো নিজেকে বুঝে চলতে হবে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, 'সরকারের পক্ষ থেকে যা যা করা দরকার আমরা করে যাচ্ছি।'

তিনি বলেন, 'আমি জানি অনেকে অনেক কিছুই বলেন। কিন্তু বাস্তব চিত্রটা যদি দেখেন, অন্য দেশের সঙ্গে যদি তুলনা করেন, আমাদের এই ঘন বসতিপূর্ণ এলাকা, সেই জায়গায় এটা নিয়ন্ত্রণে আমরা যেভাবে ব্যবস্থা নিয়েছি অনেক উন্নত দেশও কিন্তু নিতে পারেনি, এটা হলো বাস্তবতা।'

শেখ হাসিনা বলেন, ‘এখানে আমি বলবো যার যার নিজেরও সজাগ থাকা, নিজেকে সুরক্ষিত রাখা ও নিজে সাবধানে থাকা উচিত। স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার দিকেও সবাইকে দৃষ্টি দিতে হবে।'

প্রধানমন্ত্রী বলেন, 'করোনার প্রকোপ এখন কমেছে কিন্তু সবাইকে সচেতন থাকতে হবে। স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে।'

এখন ডেঙ্গুর প্রকোপও বাড়ছে উল্লেখ করে সংসদ নেতা সবাইকে ঘর-বাড়ি ও আশপাশ পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখার পরামর্শ দেন।

হাসিবুর রহমানের আত্মার মাগফিরাত কামনা করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, 'তিনি ছিলেন কর্মীবান্ধব। মানুষের জন্য কাজ করার আন্তরিকতা তার একটি বড় গুণ ছিল। তার এই অকাল মৃত্যু দেশের জন্য ক্ষতি। এই সংসদে বেশ কয়েকজন সদস্যকে হারাতে হয়েছে। বারবার শোক প্রস্তাব নিতে হচ্ছে, এটা নিয়ে বলার ভাষা নেই আমার।'

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, করোনা মোকাবিলায় আওয়ামী লীগ, ছাত্রলীগ, যুবলীগসহ অঙ্গসংগঠনগুলোর নেতা-কর্মীরা অক্লান্ত পরিশ্রম করছেন। অনেকে আপনজনের মরদেহ দাফন করেনি। ছাত্রলীগ, যুবলীগের নেতা-কর্মীরা দাফন করেছে। মানুষের ঘরে অক্সিজেন সরবরাহ করা, খাবার পৌঁছে দেওয়ার কাজ তারা করেছে।'

শোক প্রস্তাবের ওপর আওয়ামী লীগ ছাড়াও বিএনপি ও জাতীয় পার্টির একাধিক সংসদ সদস্য অংশগ্রহণ নেন।

আলোচনা শেষে শোক প্রস্তাবটি সর্বসম্মতভাবে গৃহীত হয়।



আপনার মূল্যবান মতামত দিন: