অভিনেত্রী কবরীর মৃত্যুতে রাষ্ট্রপতি-প্রধানমন্ত্রীর শোক

সময় ট্রিবিউন | ১৭ এপ্রিল ২০২১, ২০:৪৬

রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ, অভিনেত্রী সারাহ বেগম কবরী এবং  প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা- ফাইল ছবি

বাংলা চলচ্চিত্রের বিখ্যাত অভিনেত্রী, নির্মাতা ও সাবেক এমপি সারাহ বেগম কবরীর মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

শনিবার (১৭ এপ্রিল) পৃথক বার্তায় এ শোক প্রকাশ করেন তারা। রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী সারাহ বেগম কবরীর রুহের মাগফিরাত কামনা করেন এবং তার শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান।

এক শোকবার্তায় রাষ্ট্রপতি বলেন, কবরী ছিলেন বাংলা চলচ্চিত্রের এক উজ্জ্বল নক্ষত্র। তার মৃত্যু দেশের চলচ্চিত্র অঙ্গনের জন্য এক অপূরণীয় ক্ষতি। বাংলা চলচ্চিত্রের বিকাশে তার অবদান মানুষ আজীবন শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করবে।

এছাড়া এক শোকবার্তায় প্রধানমন্ত্রী বলেন, এ দেশের চলচ্চিত্রে কবরী এক উজ্জ্বল নক্ষত্র। অভিনয়ের পাশাপাশি রাজনীতি ও সংস্কৃতি অঙ্গনে তার অবদান স্মরণীয় হয়ে থাকবে।

করোনায় আক্রান্ত হয়ে ১৩ দিনের মাথায় শুক্রবার (১৬ এপ্রিল) দিবাগত রাত ১২টা ২০মিনিটে রাজধানীর শেখ রাসেল গ্যাস্ট্রোলিভার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন বাংলা সিনেমার কিংবদন্তি অভিনেত্রী সারাহ বেগম কবরী। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৭০ বছর।

গত ৫ এপ্রিল করোনা রিপোর্ট পজিটিভ আসার পরপরই রাজধানীর কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল কবরীকে। পরে শারীরিক অবস্থার অবনতি ঘটলে ৮ এপ্রিল তাকে শেখ রাসেল গ্যাস্ট্রোলিভার ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) স্থানান্তর করা হয়। সেখান চিকিৎসাধীন অবস্থায় চিরবিদায় নিলেন এই কিংবদন্তি অভিনেত্রী।

১৯৫০ সালে চট্টগ্রামের বোয়ালখালীতে জন্ম নেওয়া কবরী ১৯৬৩ সালে মাত্র ১৩ বছর বয়সে নৃত্যশিল্পী হিসেবে মঞ্চে আবির্ভূত হন। ১৯৬৪ সালে সুভাষ দত্তের পরিচালনায় ‘সুতরাং' ছবির নায়িকা হিসেবে চলচ্চিত্রে পা রাখেন। তারপর আর তাকে ফিরে তাকাতে হয়নি।

একের পর এক জনপ্রিয় সিনেমা উপহার দিয়ে দর্শকদের মনে শক্ত অবস্থান করে নিয়েছেন এই অভিনেত্রী। অভিনয় জীবনে নায়িকা হিসেবে কবরী শতাধিক সিনেমা করেছেন। ১৯৭৩ সালে ঋত্বিক ঘটক পরিচালিত ‘তিতাস একটি নদীর নাম’ ছবিতে অভিনয় করেন তিনি। নায়ক রাজ্জাকের সঙ্গে ‘রংবাজ’ পায় বেশ জনপ্রিয়তা।

১৯৭৫ সালে নায়ক ফারুকের সঙ্গে করা 'সুজন সখী' ছবিটি তাকে জনপ্রিয়তার তুঙ্গে পৌঁছে দেয়। পরবর্তীতে তিনি রাজ্জাক, সোহেল রানা, ফারুক, উজ্জ্বল, জাফর ইকবালের মতো অভিনেতাদের সঙ্গে কাজ করেছেন।

২০০৮ সালে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ থেকে জাতীয় সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন কবরী। অভিনয়ের জন্য জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার, মেরিল-প্রথম আলো আজীবন সম্মাননাসহ বহু পুরস্কার ও সম্মাননা পেয়েছেন তিনি।



আপনার মূল্যবান মতামত দিন: