মাত্র ৪৫০০ টাকায় প্রধানমন্ত্রীর ফ্লাট, থাকবেন বস্তিবাসীরা

সময় ট্রিবিউন | ৩ আগষ্ট ২০২১, ০৫:৩২

ছবিঃ সংগৃহীত

মিরপুর ১১ নম্বর সেকশনে বস্তিবাসীর জন্য সর্বমোট দশ হাজার ফ্ল্যাট নির্মিত হচ্ছে। মঙ্গলবার তিনশ পরিবারের হাতে বরাদ্দপত্র দেওয়ার পর দ্বিতীয় পর্যায়ে দেওয়া হবে আরও এক হাজার একটি পরিবারকে। ওই বস্তিতে থাকা দশ হাজার পরিবার নতুন ফ্ল্যাটে থাকার সুযোগ পাবেন।২০১৭ সালে এ পরিকল্পনা গ্রহণ করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ওই বছর ২৬ অক্টোবর এ প্রকল্পের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করা হয়। জাতীয় গৃহায়ন কর্তৃপক্ষের নিজস্ব ১৪৮ কোটি টাকা ব্যয় হচ্ছে এ প্রকল্পে। 

 বস্তিবাসীরা পাবেন আধুনিক সুযোগ-সুবিধা সম্বলিত বহুতল ভবনে চার হাজার ৫০০ টাকা মাসিক ভাড়ায় ৬৭৩ স্কয়ার ফুটের নতুন ফ্ল্যাট। প্রতিদিন ১৫০ টাকা কিংবা সপ্তাহে এক হাজার ৫০ টাকা করেও ফ্ল্যাটের ভাড়া পরিশোধ করা যাবে।

 মঙ্গলবার(৩ আগস্ট) মিরপুর-১১ নম্বর সেকশনে জাতীয় গৃহায়ন কর্তৃপক্ষ কর্তৃক বস্তিবাসীর জন্য নির্মিত তিনশ ফ্ল্যাটের বরাদ্দপত্র হস্তান্তর করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। 

মঙ্গলবার বস্তিবাসীদের হাতে বরাদ্দপত্র দেওয়া ছাড়াও উদ্বোধন করা হবে সরকারি কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের দুই হাজার ৪৭৪টি ফ্ল্যাট এবং মাদারীপুর সমন্বিত অফিস ভবন। এ প্রকল্পের অধীনে ছয় বিঘা জমির ওপর ১৪৯ কোটি টাকা ব্যয়ে ১৪ তলার পাঁচটি ভবন নির্মাণ করা হয়। এখানকার ফ্ল্যাটগুলো দুই কক্ষবিশিষ্ট এবং আয়তন ৬৭৩ থেকে ৭২০ বর্গফুট। 

প্রতিটি ভবনে রয়েছে কমিউনিটি হল, দুটি লিফট ও প্রশস্ত সিঁড়ি। এ ছাড়াও রয়েছে অগ্নিনির্বাপণ ও সৌর বিদ্যুতের ব্যবস্থা, ৪০ কেভিএ জেনারেটর ও ২৫০ কেভিএ সাব-স্টেশন সুবিধা। মঙ্গলবার আনুষ্ঠানিকভাবে বরাদ্দপত্র হস্তান্তর করা হবে। বরাদ্দপ্রাপ্তরা আগামী ডিসেম্বরের মধ্যে ফ্ল্যাটে বসবাস করতে পারবেন। বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে আয়োজিত ফ্ল্যাটের বরাদ্দপত্র বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হবেন। প্রধানমন্ত্রী সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জন্য রাজধানীর মতিঝিল, আজিমপুর, মিরপুর, মালিবাগ ও তেজগাঁও এলাকায় পাঁচটি আবাসন প্রকল্প উদ্বোধন করবেন। এ প্রকল্পের অধীনে আজিমপুর সরকারি কলোনিতে ১৭টি ২০ তলা ভবনে এক হাজার ২৯২টি, মিরপুর ৬ নম্বর সেকশনে ২৮৮টি, মালিবাগে চারটি ২০ তলা ভবনে ৪৫৬টি এবং মতিঝিলে পাঁচটি ২০ তলা ভবনে ৩৮০টি ফ্ল্যাট রয়েছে। এছাড়াও উদ্বোধনের তালিকায় রয়েছে রাজধানীর তেজগাঁওয়ে আটতলার দুটি আবাসিক ভবন। এগুলো প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে কর্মরত সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জন্য বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।



আপনার মূল্যবান মতামত দিন: