বিশ্ব বাঘ দিবস আজ

সময় ট্রিবিউন | ২৯ জুলাই ২০২১, ১৮:৩৪

ফাইল ছবি

বিশ্ব বাঘ দিবস আজ। প্রতিবছরের ২৯ জুলাই বিশ্ব বাঘ দিবস পালন করা হয়। ২০১০ সালে সেন্ট পিটার্সবার্গে অনুষ্ঠিত বাঘ অভিবর্তনে এই দিবসটির সূচনা হয়। পুরো বিশ্বজুড়ে দিবসটি পালন করা হলেও বাংলাদেশ, ভারত, নেপালসহ ১৩টি দেশে বাঘের ঘনত্ব বেশি থাকায় এসব দেশে গুরুত্ব সহকারে দিবসটি পালিত হয়।

দিবসটির এবারের প্রতিপাদ্য ‘বাঘ বাঁচাবে সুন্দরবন, সুন্দরবন বাঁচাবে লক্ষ প্রাণ’। বৈশ্বিক মহামারী করোনার প্রাদুর্ভাবের কারণে এ বছর বাঘ দিবসের অনুষ্ঠান হচ্ছে না। তবে ভার্চুয়ালি আয়োজন করা হচ্ছে দিবসটির।

বনের পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষায় বাঘের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। বাঘের সংখ্যা কমে গেলে বনের পরিবেশের ভারসাম্য হারাবে। ২০১৫ সালের বাঘশুমারির প্রতিবেদন অনুসারে সুন্দরবনের বাংলাদেশ অংশে বাঘের সংখ্যা ছিল ১০৬টি। ২০১৭-১৮ বাঘশুমারিতে সেই সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১১৪টিতে। বন বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, আবারও বাঘশুমারি হবে।

এদিকে, ভারতের অংশে ২০১৯ সালের জরিপ অনুসারে বাঘ আছে ৯৬টি। দুই বছর আগে অর্থাৎ ২০১৭ সালে ছিল ৮৭টি।

বন বিভাগের তথ্যে জানা যায়, স্বাধীনতার পর ১৯৭৫ সালের জরিপে সুন্দরবনে বাঘ ছিল ৩৫০টি। এরপর ১৯৮২ সালে জরিপে ৪২৫টি এবং এর দুই বছর পর ১৯৮৪ সালে সুন্দরবন দক্ষিণ বন্যপ্রাণী অভয়ারণ্যের ১১০ বর্গ কিলোমিটার এলাকায় জরিপ চালিয়ে ৪৩০ থেকে ৪৫০টি বাঘ থাকার কথা জানানো হয়।

১৯৯২ সালে ৩৫৯টি বাঘ থাকার তথ্য জানায় বন বিভাগ। পরের বছর ১৯৯৩ সালে সুন্দরবনের ৩৫০ বর্গ কিলোমিটার এলাকায় প্যাগমার্ক পদ্ধতিতে জরিপ চালিয়ে ধন বাহাদুর তামাং ৩৬২টি বাঘ রয়েছে বলে জানায়। ২০০৪ সালের জরিপে বাঘের সংখ্যা পাওয়া যায় ৪৪০টি। ১৯৯৬-৯৭ সালে বাঘের সংখ্যা উল্লেখ করা হয় ৩৫০টি থেকে ৪০০টি। ওই সময়ে বাঘের পায়ের ছাপ পদ্ধতিতে গণনা করা হয়।

একশ’ বছর আগেও পুরো বিশ্বে প্রায় এক লাখের মতো বাঘের বসবাস ছিল। সময়ের সাথে সাথে বনাঞ্চল ধ্বংস, কালোবাজারি ও চোরাকারবারীদের দৌরাত্ম্যে বাঘ হত্যাসহ বিভিন্ন কারণে এই সংখ্যা হ্রাস পেতে পেতে বর্তমানে বিশ্বে প্রায় ৪ হাজার বাঘের অস্তিত্ব টিকে আছে।

দিবসটির এবারের আন্তর্জান্তিক প্রতিপাদ্য বা স্লোগান নির্ধারণ করা হয়েছে ‘তাদের বেঁচে থাকা আমাদের হাতে’।

সুন্দরবন খুলনা রেঞ্জের সহকারী বন সংরক্ষক (এসিএফ) মো. আবু সালেহ বলেন, বর্তমান সরকার বাঘের সংখ্যা বাড়াতে নানামুখী পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। এরই অংশ হিসেবে সুন্দরবন দস্যুমুক্ত করা হয়েছে। যার সুফল কিন্তু দেখা যাচ্ছে। বিগত তিন বছরে বাঘের সংখ্যা বেড়েছে। বন বিভাগ বাঘ সুরক্ষায় যেভাবে কাজ করছে সুন্দরবনে বাঘের সংখ্যা দিন দিন আরও বৃদ্ধি পাবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।



আপনার মূল্যবান মতামত দিন: