মহামারি করোনাভাইরাসের (কোভিড-১৯) সংক্রমণ ও মৃত্যুর মিছিল ক্রমেই দীর্ঘ হচ্ছে। গত ২৪ ঘণ্টায় করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে আরও ১৯৯ জনের মৃত্যু হয়েছে, যা দেশে এক দিনে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ মৃত্যু। এ পর্যন্ত করোনায় দেশে মোট মৃত্যু হয়েছে ১৫ হাজার ৭৯২ জনের। এছাড়াও গত ২৪ ঘণ্টায় করোনায় আক্রান্ত হিসেবে নতুন করে শনাক্ত হয়েছেন আরও ১১ হাজার ৬৫১ জন। ফলে মোট শনাক্ত রোগীর সংখ্যা দাঁড়াল নয় লাখ ৮৯ হাজার ২১৯ জনে।
বৃহস্পতিবার (৮ জুলাই) স্বাস্থ্য অধিদফতরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
এর আগে, বুধবার (৭ জুলাই) ২০১ জন মারা যান, যা একদিনে সর্বোচ্চ মৃত্যু। সোমবার মারা যান ১৬৪ জন, যা দেশে একদিনে করোনায় তৃতীয় সর্বোচ্চ মৃত্যু। মঙ্গলবার মারা যান চতুর্থ সর্বোচ্চ ১৬৩ জন। এছাড়া, কয়েকদিন ধরে করোনায় মৃত্যুর নতুন নতুন রেকর্ড হচ্ছে। গত ১ জুলাই ১৪৩, ২ জুলাই ১৩২, ৩ জুলাই ১৩৪ এবং ৪ জুলাই ১৫৩ জনের মৃত্যু হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ২৪ ঘণ্টায় নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে ৩৮ হাজার ২৪ জনের। পরীক্ষা করা হয়েছে ৩৬ হাজার ৮৫০টি। নমুনা পরীক্ষার তুলনায় শনাক্তের হার ৩১ দশমিক ৬২ শতাংশ। দেশে এ পর্যন্ত মোট নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে ৬৮ লাখ ৬৬ হাজার ৬৮২টি। মোট পরীক্ষার তুলনায় শনাক্তের হার ১৪ দশমিক ৪১ শতাংশ।
গত ২৪ ঘণ্টায় মারা যাওয়া ১৯৯ জনের মধ্যে ৬৫ জনই ঢাকার। এছাড়া চট্টগ্রামে ৩৭, রাজশাহীতে ১৫, খুলনায় ৫৫, বরিশালে ৩, সিলেটে ৫, রংপুরে ৯ এবং ময়মনসিংহে ১০ জন মারা গেছেন।
মারা যাওয়াদের মধ্যে ১৩৩ জন পুরুষ এবং ৬৬ জন নারী। এদের মধ্যে ১২ জন বাসায় মারা গেছেন। বাকিরা হাসপাতালে মারা গেছেন। এ পর্যন্ত ভাইরাসটিতে মোট মারা যাওয়া ১৫ হাজার ৭৯২ জনের মধ্যে পুরুষ ১১ হাজার ১৩৫ জন এবং নারী ৪ হাজার ৬৫৭ জন।
বয়সভিত্তিক বিশ্লেষণে দেখা গেছে, গত ২৪ ঘণ্টায় মারা যাওয়াদের মধ্যে ১০৭ জনের বয়স ৬০ বছরের বেশি। এছাড়া ৫১ থেকে ৬০ বছরের ৪৭, ৪১ থেকে ৫০ বছরের ২৮, ৩১ থেকে ৪০ বছরের ৬, ২১ থেকে ৩০ বছরের ৯ এবং ১১ থেকে ২০ বছরের ২ জন রয়েছেন।
গত বছরের ৮ মার্চ দেশে প্রথম ৩ জনের দেহে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়। এর ১০ দিন পর ১৮ মার্চ দেশে এ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে প্রথম একজনের মৃত্যু হয়।
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: