স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের অর্জন চোখে দেখা যায় না: পরিকল্পনামন্ত্রী

সময় ট্রিবিউন | ২৭ জুন ২০২১, ০৮:০১

ফাইল ছবি

স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের অর্জন চোখে দেখা যায় না বলে মন্তব্য করেছেন পরিকল্পনামন্ত্রী এমএ মান্নান। শনিবার ‘দ্য ন্যাশনাল বাজেট ২০২১-২২ : প্রাইভেট সেক্টর পাসপেকটিভ’ শীর্ষক এক ওয়েবিনার আলোচনা সভায় তিনি এ মন্তব্য করেন।

বাংলাদেশ ইন্টার প্রাইজ ইনস্টিটিউট এবং ইন্টারন্যাশনাল বিজনেস ফোরাম অব বাংলাদেশ (আইবিএফবি) যৌথভাবে এ আলোচনা সভার আয়োজন করে।

আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, স্বাস্থ্যের অর্জন চোখে দেখা যায় না। যেমন কোনো মন্ত্রণালয় একটা রাস্তা করলে দেখা যায়। কোনো মন্ত্রণালয় আকাশে স্যাটেলাইট উড়ালে চোখে পড়ে। কিন্তু মাতৃ মৃত্যু ও শিশু মৃত্যুর হার কমানোর মতো কাজ সাধারণ মানুষের চোখে পড়ে না। এজন্য স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের কাজ গভীরে গিয়ে দেখতে হবে। সেই সঙ্গে তাদের বরাদ্দ যে কম সেটিও একটি বিষয়।

এ সময় মন্ত্রী কৃষি নিয়েও কথা বলেন। তিনি বলেন, কৃষি হচ্ছে আমাদের অর্থনীতির মেইন পিলার। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ কৃষককে বাদ দিয়ে কিছু চিন্তা করতে পারে না। কৃষি ও কৃষকদের উন্নয়নে কাজ করে যাচ্ছে সরকার। তবে সম্পদের সীমাবদ্ধতার বিষয়টিও আমাদের মাথায় রাখতে হবে।

তিনি আরও বলেন, আমাদের কৃষিক্ষেত্রে মধ্যস্বত্বভোগী আছেনই। এদের বাদ দেওয়া যাবে না। এদের সঙ্গে নিয়েই কীভাবে এদের সঙ্গে বসবাস করা যায় সেটি ভাবতে হবে।

এমএ মান্নান বলেন, বাজেট বাস্তবায়নের ঘাটতি আছে এ কথা ঠিক। কিন্তু আগের তুলনায় যে বেড়েছে সেটিও অস্বীকার করা যাবে না। আমাদের আমলাতন্ত্রকে সংস্কারের প্রয়োজন আছে। সেটি আমাদেরকেই করতে হবে। প্রকল্প বাস্তবায়নে টাইম ওভার রান আছে। কিন্তু সেটি এখন কমে আসছে।

তিনি বলেন, প্রবাসী আয়ে ২ শতাংশ প্রণোদনা দেওয়ার ক্ষেত্রে ঢালাওভাবে এ সুযোগ দেওয়া ঠিক হয়নি। এখানে যারা স্বল্প রেমিটেন্স পাঠান, প্রকৃত প্রবাসী শুধু তাদের জন্য সুবিধা দিতে হবে। সেটি না হলে আমার ভয় করছে মনে হয় এই সুযোগ অন্য কেউ নিচ্ছে।

পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, এদেশে দুর্নীতি আছে। এটাকে কীভাবে কমানো যায় সেটি নিয়ে সরকার কাজ করছে। এ ছাড়া দেশের অর্থনীতির ড্রাইভার হচ্ছে বেসরকারি খাত। অর্থনীতির ৮০-৮৫ ভাগ বেসরকারি খাতের হাতে। তাই তাদের সুযোগ-সুবিধার দিকটি নিশ্চিত করা হচ্ছে।

আইবিএফবির প্রেসিডেন্ট হুমায়ুন রশীদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় মূল প্রবন্ধে গবেষণা সংস্থা সিপিডির সিনিয়র রিসার্স ফেলো ড. তৌফিক ইসলাম খান, জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের সাবেক চেয়ারম্যান আব্দুল মজিদ, ড. মোহাম্মদ মাশরুর রিয়াজ। আলোচনায় আরও যারা বক্তব্য দেন তারা হলেন- বিভিন্ন খাতের উদ্যোক্তাদের মধ্যে এমএস সিদ্দিকী, হাফিজুর রহমান খান, লে. জে. (অব.) এম হারুন অর রশীদ, ড. হোসনে আরা, ড. আলী আফজাল প্রমুখ।



আপনার মূল্যবান মতামত দিন: