শীতলক্ষ্যায় লঞ্চডুবি: ২০ জনের মরদেহ উদ্ধার

সময় ট্রিবিউন | ৫ এপ্রিল ২০২১, ২১:৪৫

সোমবার দুপুর ১টার দিকে উদ্ধারকারী জাহাজের সহায়তায় ডুবে যাওয়া লঞ্চটি তীরে আনা হয়-ছবি: সংগৃহীত

নারায়ণগঞ্জের শীতলক্ষ্যা নদীতে মালবাহী কার্গোর ধাক্কায় অর্ধশত যাত্রী নিয়ে লঞ্চডুবির ঘটনায় শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত ২০ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। গতকাল লঞ্চডুবির পর সারারাতে ৫ জন এবং সোমবার (০৫ এপ্রিল) দুপুর ১ টার সময় আরও ১৫ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

দুপুর দেড়টার দিকে বিষটি নিশ্চিত করেছেন নিশ্চিত করেছেন বন্দর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শুক্লা সরকার।   

এর আগে দুপুর ১টার দিকে উদ্ধারকারী জাহাজের সহায়তায় ডুবে যাওয়া লঞ্চটি তীরে আনা হয়। এরপরই লঞ্চটির ভেতর থেকে মরদেহ বের করতে শুরু করেন উদ্ধারকারীরা।

এর আগে রোববার (৪ এপ্রিল) সন্ধ্যায় শীতলক্ষ্যা নদীতে মালবাহী কার্গোর ধাক্কায় অর্ধশত যাত্রী নিয়ে সাবিত আল হাসান নামের লঞ্চটি ডুবে যায়। পরে রাতভর অভিযান চালিয়ে পাঁচজনের মরদেহ উদ্ধার করে উদ্ধারকর্মীরা। এ নিয়ে এ ঘটনায় মোট ২০ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হলো।

জানা গেছে, দুর্ঘটনার পর সাঁতরে ২৬ জন যাত্রী তীরে উঠেছেন। ঘটনাস্থলে নিখোঁজ যাত্রীদের উদ্ধারে কাজ করছেন বিআইডব্লিউটিএ, কোস্টগার্ড, দমকল বাহিনী, নৌ ও থানা পুলিশের উদ্ধারকর্মীরা। এ ঘটনায় নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসন ও বিআইডব্লিউটিএ দুটি পৃথক তদন্ত কমিটি গঠন করেছে।

রোববার মধ্যরাতে নারায়ণগঞ্জের জেলা প্রশাসক মোস্তাইন বিল্লাহ জানিয়েছিলেন, লঞ্চডুবির ঘটনায় পাঁচ নারীর মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। সরকারের পক্ষ থেকে নিহতদের পরিবারকে ২৫ হাজার টাকা করে দেওয়া হচ্ছে। পাশাপাশি আহতদের প্রশাসনের পক্ষ থেকে চিকিৎসার ভার নেওয়া হয়েছে। এ ঘটনায় অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট তাহেরা খানম ববিকে প্রধান করে সাত সদস্য বিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। আগামী পাঁচ কার্যদিবসের মধ্যে কমিটিকে রিপোর্ট দিতে বলা হয়েছে।

এদিকে নৌ পরিবহন মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা জাহাঙ্গীর আলম খান জানিয়েছেন, দুর্ঘটনার কারণ জানতে বিআইডব্লিউটিএর পরিচালক নৌ নিরাপত্তা ও ট্রাফিক মো. রফিকুল ইসলামকে প্রধান করে চার সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।



আপনার মূল্যবান মতামত দিন: