অতিমারি করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে রাজশাহী সিটি করপোরেশন এলাকায় আজ শুক্রবার থেকে বিকাল থেকে ৭ দিনের সর্বাত্মক লকডাউন শুরু হবে।
বিকেল ৫টা থেকে চলা এই সর্বাত্মক লকডাউন চলবে ১৭ জুন মধ্যরাত পর্যন্ত।
গতকাল বৃহস্পতিবার জেলা সার্কিট হাউসে রাত ৯টা থেকে রাত পৌনে ১০টা পর্যন্ত এক জরুরি সভা শেষে সাংবাদিকদের এই সিদ্ধান্তের কথা জানান বিভাগীয় কমিশনার মো. হুমায়ুন কবীর।
বিভাগীয় কমিশনার বলেন, বেশ কয়েক সপ্তাহ ধরে রাজশাহীতে বিশেষ করে রাজশাহী সিটি করপোরেশনে করোনা পরিস্থিতি কিছুটা ঊর্ধ্বমুখী। এ কারণে সার্বিক দিক বিবেচনা করে রাজশাহী সিটি করপোরেশনকে সর্বাত্মক লকডাউন ঘোষণা করা হয়েছে। এ সময় জরুরি ওষুধ ও খাদ্যদ্রব্য পরিবহন পরিষেবা বাদে সব ধরনের গণপরিবহন বন্ধ থাকবে।
এদিকে রাজশাহী মহানগরে লকডাউন দেওয়ায় দেশের উত্তরের এই জনপদে ট্রেন চলাচল বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। তবে আম পরিবহনের জন্য চালু করা বিশেষ ট্রেন চলাচল বন্ধের নির্দেশনা আসেনি বলে জানিয়েছেন রাজশাহী রেল স্টেশনের ম্যানেজার আব্দুল করিম।
বিভাগীয় কমিশনার এক ঘোষণায় জানান, ঢাকা–রাজশাহী রুটে চলাচলকারী পদ্মা এক্সপ্রেস ও বনলতা এক্সপ্রেস, রাজশাহী–চিলাহাটি রুটের তিতুমীর এক্সপ্রেস, রাজশাহী–বীমুসিই রুটের বাংলাবান্ধা এক্সপ্রেস এবং রাজশাহী–ঢালারচর রুটের ঢালারচর এক্সপ্রেসের যাত্রা বাতিল করা হয়েছে।
এছাড়া রহনপুর–খুলনা–রাজশাহী রুটে চলাচলকারী মহানন্দা এক্সপ্রেস এবং পার্বতীপুর–রাজশাহী রুটের উত্তরা এক্সপ্রেসও বাতিল করা হয়েছে।
উদ্ভূত পরিস্থিতি উত্তরাঞ্চলে চলাচলকারী কয়েকটি ট্রেনের রুট সংক্ষিপ্ত করেছে রেল কর্তৃপক্ষ। রাজশাহীতে লকডাউনের এই সময়ে রাজশাহী–খুলনা রুটে চলাচলকারী সাগরদাঁড়ী এক্সপ্রেস ঈশ্বরদী থেকে খুলনা পর্যন্ত চলবে। রাজশাহী–ভাঙা রুটের মধুমতি এক্সপ্রেসও ভাঙা থেকে ঈশ্বরদী পর্যন্ত চলাচল করবে। রাজশাহী থেকে গোবরা রুটে চলাচলকারী টুঙ্গিপাড়া এক্সপ্রেসও গোবরা থেকে ঈশ্বরদী পর্যন্ত চলাচল করবে। আর রাজশাহী–চিলাহাটি রুটের বরেন্দ্র এক্সপ্রেস চলবে চিলাহাটি থেকে আব্দুলপুর পর্যন্ত।
বৃহস্পতিবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নিয়মিত বুলেটিনে আগের ২৪ ঘণ্টায় রাজশাহী বিভাগে সবচেয়ে বেশি সংখ্যক করোনা রোগী শনাক্ত হওয়ার খবর জানানো হয়। তার মধ্যে সবচেয়ে রোগী শনাক্ত হয়েছে রাজশাহী জেলায়, ৩৫৩ জন।
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: