দিনাজপুরে লোহার খনির সম্ভাবতা যাচাই ও জরিপের জন্য আনুষ্ঠানিকভাবে কূপ খনন (ড্রিলিং) কাজ শুরু করেছে বাংলাদেশ ভূ-তাত্ত্বিক জরিপ অধিদপ্তর (জিএসবি)।
অবস্থান নিশ্চিত হওয়ার পর শুক্রবার আনুষ্ঠানিকভাবে কূপ খনন (ড্রিলিং) কাজ শুরু করেছে জিএসবির একটি টিম।
শুক্রবার বিকালে চিরিরবন্দর উপজেলার ১০নং পুনট্রি ইউনিয়নের কেশবপুর মৌজায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে এই কূপ খননকাজের উদ্বোধন করেন বাংলাদেশ ভূ-তাত্ত্বিক জরিপ অধিদপ্তর-জিএসবির মহাপরিচালক ড. মো. শের আলী।
জিএসবির মহাপরিচালক ড. মো. শের আলী বলেন, পাশের কিছু এলাকায় আকরিক লোহার অস্তিত্ব পাওয়া গেছে। সেই তথ্য বিবেচনা করে এখানে আকরিক লোহার রেশ থাকার সম্ভাবনা রয়েছে। এ সম্ভাব্যতা যাচাইয়ে এখানে জরিপ করার জন্য খননকাজ শুরু করা হয়েছে।
জিএসবি সূত্রে জানা গেছে, খনির সম্ভাব্যতা যাচাইয়ে কূপ খননের কাজে একটি অনুসন্ধানী দল কাজ করছে। প্রথম তিন মাস কূপ খনন করে চালানো হবে খনিজ সম্পদের অনুসন্ধানের কাজ। নতুন খনিতে লোহার কাঁচামাল আকরিকের পুরুত্ব অনেক বেশি থাকায় লোহার সঙ্গে তামাসহ অন্যান্য মূল্যবান সম্পদ পাওয়ার আশা করছেন ভূ-তাত্ত্বিক জরিপ অধিদপ্তর জিএসবি।
২০০১ সালের এক জরিপে আকরিক লোহার অস্তিত্ব সম্পর্কে নিশ্চিত হওয়ার পর এখানে লোহার খনির সন্ধানে এ খননকাজ শুরু করেছে জিএসবি।
দিনাজপুর জেলায় ইতোমধ্যে বড়পুকুরিয়ায় কয়লা খনি এবং মধ্যপাড়ায় পাথর খনির উত্তোলন কাজ অব্যাহত রয়েছে। ইতোমধ্যেই লাভজনক প্রতিষ্ঠানে পরিণত হয়েছে এই দুটি খনি। এছাড়াও ফুলবাড়ী ও নবাবগঞ্জের দিঘীপাড়ায় আরও দুটি কয়লা খনি এবং ২০১৯ সালে হাকিমপুরের ইসবপুর ও মুর্শিদপুরে একটি উন্নতমানের আকরিক লোহার খনি সম্পর্কে নিশ্চিত হয়েছে বাংলাদেশ ভূতাত্ত্বিক জরিপ অধিদপ্তর।
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: