আজ ৭ জুন, সোমবার বিশ্ব নিরাপদ খাদ্য দিবস । এ বছর দিবসটির প্রতিপাদ্য নির্ধারিত হয়েছে ‘সেফ ফুড নাউ ফর এ হেলদি টুমোরো’। দিবসটি উপলক্ষে বিভিন্ন সংগঠন বিস্তারিত কর্মসূচি গ্রহণ করেছে।বিশ্ব নিরাপদ খাদ্য দিবস উপলক্ষ্যে সবার জন্য নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিত করার উদ্দেশ্যে খাদ্যে ট্রান্সফ্যাট নিয়ন্ত্রণ বিষয়ক প্রবিধানমালা চূড়ান্তকরণ ও বাস্তবায়নের দাবি জানিয়েছে অ্যাডভোকেসি ও গবেষণা প্রতিষ্ঠান প্রজ্ঞা (প্রগতির জন্য জ্ঞান)।
রোববার (৬ জুন) সংগঠনটির পক্ষ থেকে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তি বলা হয়, ‘নিরাপদ খাদ্য উৎপাদন ও গ্রহণ স্বল্প এবং দীর্ঘমেয়াদে জনগণ, অর্থনীতি তথা গোটা পৃথিবীর জন্য সুফল বয়ে আনে।’বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, শিল্পোৎপাদিত ট্রান্সফ্যাট খাদ্যের একটি বিষাক্ত উপাদান যা হৃদরোগজনিত অকাল মৃত্যু ঝুঁকি বাড়িয়ে দেয়। প্রতিবছর সারা পৃথিবীতে প্রায় পাঁচ লাখ মানুষ ট্রান্সফ্যাটঘটিত হৃদরোগে মৃত্যুবরণ করে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ২০২৩ সালের মধ্যে বিশ্বের খাদ্য সরবরাহ শৃঙ্খল থেকে ট্রান্সফ্যাট নির্মূলের লক্ষ্য নির্ধারণ করেছে।
বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ ‘খাদ্যদ্রব্যে ট্রান্সফ্যাটি এসিড নিয়ন্ত্রণ প্রবিধানমালা, ২০২১’ তৈরি করলেও সেটি চূড়ান্ত করার কাজ এখনও চলমান বলেও বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়। এই প্রবিধানমালা দ্রুত চূড়ান্ত করে বাস্তবায়নের দাবি জানিয়েছে গবেষণা প্রতিষ্ঠান প্রজ্ঞা।
বিশ্ব নিরাপদ খাদ্য দিবস উপলক্ষ্যে এক প্রতিক্রিয়ায় প্রজ্ঞা’র নির্বাহী পরিচালক এবিএম জুবায়ের বলেন, ‘একটি সুস্থ প্রজন্ম গড়ে তুলতে নিরাপদ খাদ্যের বিকল্প নেই। খাদ্যে ট্রান্সফ্যাট নির্মূলের মাধ্যমে অসংখ্য প্রাণ বাঁচানো সম্ভব এবং যা একইসাথে সরকারের জন্য একটি ব্যয়সাশ্রয়ী পদক্ষেপ। দ্রুততম সময়ের মধ্যে খাদ্য শৃঙ্খল থেকে ট্রান্সফ্যাট নির্মূল করে নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিত করতে হবে।
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: