আসন্ন ঈদ-উল-ফিতরের আগে ৩ দিন ও ঈদের পরে ৩ দিন নিত্য প্রয়োজনীয় ও দ্রুত পচনশীল পণ্যবাহী ট্রাক ব্যতীত সাধারণ ট্রাক ও কাভার্ড ভ্যান ফেরীতে পারাপার বন্ধ রাখা হবে এবং আবহাওয়া সংকেত অনুসরণপূর্বক লঞ্চ পরিচালনা নিশ্চিত করা হবে।
বুধবার (১৩ মার্চ) নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত ঈদ ব্যবস্থাপনা কমিটির সভায় পবিত্র ঈদ-উল-ফিতর উপলক্ষ্যে ফেরী, স্টিমার, লঞ্চসহ জলযানসমূহ সুষ্ঠুভাবে চলাচল এবং যাত্রীদের নিরাপত্তা নিশ্চিতে কর্মপন্থা গ্রহণের লক্ষ্যে বিভিন্ন সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।
এসময় অন্যান্যের মধ্যে নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মো. মোস্তফা কামাল উপস্থিত ছিলেন।
সভায় সিদ্ধান্ত গৃহীত হয় যে, এবারের ঈদ-উল-ফিতর উদযাপন কালবৈশাখী মৌসুমে বিধায় অধিকতর সতর্কতার সাথে নৌযান পরিচালনা নিশ্চিত করতে হবে। রাতের বেলায় সকল প্রকার বালুবাহী বাল্কহেড চলাচল সম্পূর্ণভাবে বন্ধ রাখার বিষয়টি কঠোরভাবে তদারকির মাধ্যমে নিশ্চিত করতে হবে। এছাড়া আগামী ৬ এপ্রিল থেকে ১৬ এপ্রিল পর্যন্ত দিন রাত সার্বক্ষণিক সকল বালুবাহী বাল্কহেড চলাচল সম্পূর্ণভাবে বন্ধ রাখতে হবে।
অন্যদিকে অভ্যন্তরীণ নৌপথে ফিটনেস বিহীন নৌযান ও ফেরী চলাচল সম্পূর্ণভাবে বন্ধ করতে হবে, অভ্যন্তরীণ নৌপথে যাত্রি সাধারণের সুষ্ঠু ও নির্বিঘ্নে যাতায়াতের স্বার্থে ঢাকা ও গাজীপুর মেট্রোপলিটন এলাকায় গার্মেন্টস ও নিটওয়ার সেক্টরের নিয়োজিত কর্মীদের এলাকা ভিত্তিক বা পর্যায়ক্রমে ছুটি প্রদানের ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। নৌপথে চলাচলকারী যাত্রী সাধারণকে যে কোনো জরুরি প্রয়োজনে ও সেবা সংক্রান্ত বিষয়ে বিআইডব্লিউটিএ’র হটলাইন নম্বরঃ ১৬১১৩-তে যোগাযোগ করতে বলা হয়েছে।
সকল প্রকার যাত্রী হয়রানি বন্ধ করার জন্য সংশ্লিষ্ট জেলা প্রশাসন, জেলা পুলিশ ও বিআইডব্লিউটিএ থেকে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। লঞ্চের অনুমোদিত ভাড়ার চেয়ে বেশি বা কম ভাড়া আদায় করা যাবে না। এক্ষেত্রে বেশি বা কম ভাড়া আদায় করা হলে সংশ্লিষ্ট লঞ্চ মালিক বা চালকের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। কোন ক্রমেই লঞ্চের যাত্রী ও মালামাল ওভারলোড করা যাবে না, ঈদের আগে ৫ (পাঁচ) দিন সদরঘাট হয়ে নির্গমনকারী সকল যাত্রীবাহী নৌযানে মালামাল পরিবহন সম্পূর্ণরূপে বন্ধ এবং ঈদের পরে ৫ (পাঁচ) দিন অন্যান্য নদী বন্দর থেকে সদরঘাটে আগমনকারী সকল যাত্রীবাহী নৌযানে মালামাল পরিবহন সম্পূর্ণ বন্ধ রাখতে হবে। ঈদের আগে ও পরে লঞ্চের মাধ্যমে মটর সাইকেল পরিবহণ করতে পারবে। তবে এক্ষেত্রে গত বছরের ঈদ-উল-আযহা উপলক্ষ্যে বিআইডব্লিউটিএ নির্ধারিত হারে প্রতিটি লঞ্চে মোটরসাইকেল পরিবহনের জন্য ভাড়া আদায় করতে হবে।
যাত্রীদের নিরাপত্তা নিশ্চিতে রাতের বেলায় স্পিডবোট চলাচল সম্পূর্ণভাবে বন্ধ রাখার এবং দিনের বেলায় স্পিডবোট চলাচলের সময় যাত্রীদের লাইফ জ্যাকেট পরিধানের বিষয়টি কঠোরভাবে তদারকির মাধ্যমে নিশ্চিত করতে হবে, নদীর মাঝপথ থেকে নৌকা দিয়ে লঞ্চে বা নৌযানে যাত্রী উঠানো যাবে না। এ বিষয়ে নৌপুলিশ ও বাংলাদেশ কোস্ট গার্ড সার্বক্ষণিক টহল দিয়ে কার্যকরী ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। নদীর মাঝপথে নৌকাযোগে যাত্রী উঠালে সংশ্লিষ্ট লঞ্চ মালিক বা চালকের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: