একাদশ জাতীয় সংসদের মেয়াদ থাকাকালীন দ্বাদশের নির্বাচিত সংসদ সদস্যদের শপথগ্রহণ নিয়ে যে বিতর্ক সৃষ্টি হয়েছে সেটি প্রয়োজনে স্পষ্টীকরণের কথা জানিয়েছেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক।
মন্ত্রী বলেন, দ্বাদশ জাতীয় সংসদের নির্বাচিত সংসদ সদস্যদের শপথসংক্রান্ত বিষয়ে যা হয়েছে, তা সবকিছুই সাংবিধানিকভাবে হয়েছে। তারপরও নীতিনির্ধারকেরা সংবিধানের এ সংক্রান্ত বিষয়ে স্পষ্টীকরণের প্রয়োজন মনে করলে বিষয়টি দেখা হবে।
বৃহস্পতিবার সচিবালয়ে বাংলাদেশে নিযুক্ত সৌদি রাষ্ট্রদূত ইসা বিন ইউসুফ আল-দুহাইলানের সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে আইনমন্ত্রী একথা বলেন।
একাদশ জাতীয় সংসদের মেয়াদ থাকাকালীন দ্বাদশের নির্বাচিত সংসদ সদস্যদের শপথগ্রহণ নিয়ে বিএনপিসহ কেউ কেউ প্রশ্ন তুলে বলছেন, এখন দেশে সংসদ সদস্য ৬ শতাধিক। এ বিষয়ে সাংবাদিকরা আইনমন্ত্রীর কাছে জানতে চান, বলা হচ্ছে এখন সংসদে ৬৪৮ জন সংসদ সদস্য। এটি নিয়ে আলোচনা-সমালোচনা হচ্ছে। মন্ত্রীরা যখন শপথ নেন তখন আগের মন্ত্রিসভা বাতিল হয়ে যায়। কিন্তু সংসদ সদস্যরা শপথ নিলেও আগের সংসদ বাতিল হয় না। সেক্ষেত্রে আইনের অস্পষ্টতা আছে বলে আপনি মনে করেন কি না?
জবাবে মন্ত্রী বলেন, সংবিধানে এখন যা আছে, সেভাবেই দেশ চলছে। এটি আজকে সংবিধানে সন্নিবেশিত করা হয়নি। এটি চতুর্দশ সংশোধনীতে সংযোজন করা হয়েছিল। এখন যে বিষয়টি নিয়ে আলাপ করা হচ্ছে, এটির বোধ হয় খুব একটা গুরুত্ব নেই।
আইনমন্ত্রী হিসেবে বিষয়টি স্পষ্টীকরণের প্রয়োজনীয়তা আছে বলে মনে করেন কি না, এমন প্রশ্ন রাখলে তিনি বলেন, আমি তো বললাম নীতিনির্ধারকেরা যদি মনে করেন স্পষ্টীকরণের প্রয়োজন আছে তাহলে দেখা যাবে। কিন্তু আমার মনে হয়, এখন যা হয়েছে, সবকিছুই সাংবিধানিকভাবে হয়েছে।
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: