ডিজিটাল থেকে স্মার্ট বাংলাদেশে উত্তরণের প্রত্যয়ে

আওয়ামী লীগের নির্বাচনী ইশতেহার ঘোষণা

সময় ট্রিবিউন | ২৭ ডিসেম্বর ২০২৩, ১৯:৫৮

আওয়ামী লীগের নির্বাচনী ইশতেহার ঘোষণা

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ সভাপতি   শেখ হাসিনা আজ স্থানীয় একটি হোটেলে তাঁর দলের পক্ষ থেকে নির্বাচনী ইশতেহার ঘোষণা করেছেন। 

ডিজিটাল থেকে স্মার্ট বাংলাদেশে উত্তরণের মাধ্যমে ২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে ক্ষুধা-দারিদ্র্যমুক্ত স্মার্ট সোনার বাংলা হিসেবে গড়ে তোলার প্রত্যয়ে এই নির্বাচনী ইশতেহার ঘোষণা করা হয়। 
এই উপলক্ষে আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার প্রদত্ত ভাষণের পূর্ণ বিবরণ তুলে ধরা হলো- 

“বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম
প্রিয় দেশবাসী,
উপস্থিত সুধিম-লী,
    আসসালামু আলাইকুম, 
    আপনাদের সবাইকে বিজয়ের মাসের শুভেচ্ছা জানাচ্ছি। 
    দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের নির্বাচনী ইশতেহার ঘোষণা অনুষ্ঠানে উপস্থিত সবাইকে শুভেচ্ছা জানাচ্ছি। টেলিভিশন, রেডিও এবং সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের সহায়তায় দেশের অভ্যন্তরে এবং বাইরে যাঁরা এই অনুষ্ঠানের সঙ্গে যুক্ত হয়েছেন তাঁদেরও শুভেচ্ছা এবং আন্তরিক ধন্যবাদ জানাচ্ছি।
    বাংলাদেশের ইতিহাসে গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় ধারাবাহিকভাবে রাষ্ট্র পরিচালনার একটানা ১৫ বছর পূর্ণ হতে চলেছে। পাঁচ বছর মেয়াদি সংসদীয় সরকার ব্যবস্থা স্থিতিশীল থাকায় আমরা বাংলাদেশের অভূপূর্ব উন্নতি সাধন করতে পেরেছি। বাংলাদেশ আজ স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশে উন্নীত হয়েছে।
    জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে বাংলাদেশ স্বাধীনতা অর্জন করে। তাঁর স্বপ্ন ছিল ক্ষুধা-দারিদ্র্যমুক্ত, উন্নত-সমৃদ্ধ ‘সোনার বাংলা’ গড়ে তোলা। 
    যুদ্ধবিধ্বস্ত, ক্ষুধা-দারিদ্র্যে জর্জরিত একটি দেশের শাসনভার তিনি নিয়েছিলেন। তিনি হাতে সময় পেয়েছিলেন মাত্র ৩ বছর ৭ মাস ৩ দিন। ১৯৭২ সালে বাংলাদেশের মাথাপিছু আয় ছিল ৯১ মার্কিন ডলার। জাতির পিতা মাত্র ৩ বছরে ১৯৭৫ সালে তা ২৭৭ মার্কিন ডলারে উন্নীত করেন। প্রবৃদ্ধি ৯ ভাগ অর্জন করেন। এই স্বল্প সময়ে ধ্বংসস্তুপ থেকে টেনে তুলে বাংলাদেশকে স্বল্পোন্নত দেশের মর্যাদায় উন্নীত করেন। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট ঘাতকদের নির্মম বুলেটে জাতির পিতা নির্মমভাবে নিহত হন। সেই সঙ্গে ঘাতকেরা কেড়ে নেয় বাংলাদেশের অগ্রযাত্রার সব সম্ভাবনাকে, মহান স্বাধীনতার চেতনা ও আদর্শকে।
    আমি পরম শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করছি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে। শ্রদ্ধা জানাই জাতীয় চার নেতার প্রতি। ৩০ লাখ শহিদ ও ২ লাখ নির্যাতিতা মা-বোনকে শ্রদ্ধা জানাই। বীর মুক্তিযোদ্ধাদের জানাচ্ছি সালাম।      

অত্যন্ত বেদনার সঙ্গে স্মরণ করছি- আমার মা বঙ্গমাতা ফজিলাতুন নেছা মুজিব, ছোট তিন ভাই- বীর মুক্তিযোদ্ধা ক্যাপ্টেন শেখ কামাল, বীর মুক্তিযোদ্ধা লে. শেখ জামাল, আমার দশ বছর বয়সী ছোট্ট ভাই শেখ রাসেল; কামাল ও জামালের নবপরিণীতা বধুঁ সুলতানা কামাল, পারভীন জামাল, আমার একমাত্র চাচা পঙ্গু বীর মুক্তিযোদ্ধা শেখ আবু নাসের, রাষ্ট্রপতির সামরিক সচিব ব্রিগেডিয়ার জেনারেল জামিল উদ্দীন আহমেদ, পুলিশ কর্মকর্তা এএসআই সিদ্দিকুর রহমানসহ ১৫ আগস্টে নির্মমভাবে নিহত সকল শহিদকে। আমি তাঁদের বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করছি।
সুধিম-লী,
    আজকের এ দিনে আমি শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করছি এই উপমহাদেশের অন্যতম প্রাচীন রাজনৈতিক দল আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি মওলানা আব্দুল হামিদ খান ভাসানী, প্রতিষ্ঠাতা সাধারণ সম্পাদক শামসুল হক, গণতন্ত্রের মানসপুত্র হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী, মাওলানা আবদুর রশীদ তর্কবাগীশসহ আওয়ামী লীগের প্রয়াত সকল নেতৃবৃন্দকে। মাতৃভাষা বাংলার মর্যাদা রক্ষার জন্য যাঁরা অকাতরে জীবন দিয়েছেন সেই ভাষা শহিদদের প্রতি আমি গভীর শ্রদ্ধা জানাচ্ছি। 
    স্মরণ করছি, ২০০৪ সালের ২১-এ আগস্টের গ্রেনেড হামলায় নিহত আওয়ামী লীগ নেত্রী আইভী রহমানসহ ২২ জন নেতা-কর্মীকে।
    স্বাধীনতার পূর্বে এবং স্বাধীনতার পরবর্তীকালে বিভিন্ন গণতান্ত্রিক এবং ভোট ও ভাতের অধিকার আদায়ের সংগ্রামে যাঁরা নিহত হয়েছেন তাঁদের স্মরণ করছি।  
প্রিয় দেশবাসী,
    ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট সপরিবারে জাতির পিতাকে হত্যার সময় আমি এবং আমার ছোটবোন বিদেশে ছিলাম। সে কারণে আমরা প্রাণে বেঁচে যাই। দীর্ঘ ৬ বছর আমরা রিফিউজি হিসেবে প্রবাস জীবন কাটাতে বাধ্য হই। তৎকালীন সামরিক শাসক জিয়াউর রহমান আমাদের দেশে আসতে বাধা দেয়। ১৯৮১ সালে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ ও জনগণের সমর্থন নিয়ে আমি দেশে ফিরে আসি। অবৈধভাবে ক্ষমতাসীন সরকার, জাতির পিতার হত্যাকারী ও ষড়যন্ত্রকারী এবং যুদ্ধাপরাধীদের সকল রক্ত চক্ষু উপেক্ষা করেই আমি দেশে ফিরে আসি। শুরু করি জনগণের ভোট ও ভাতের অধিকার প্রতিষ্ঠার সংগ্রাম। এজন্য বার বার আমার উপর আঘাত এসেছে। জনগণের গণতান্ত্রিক অধিকার আদায়ের লক্ষে সামরিক শাসকের বিরুদ্ধে আন্দোলন করেছি, বার বার গ্রেফতার হয়েছি। আমাকে অন্তত ১৯ বার হত্যার চেষ্টা করা হয়েছে। কিন্তু আমি দমে যাইনি। অবশেষে মানুষের ভোটের অধিকার জনগণের হাতে ফিরিয়ে দিতে সক্ষম হই। ১৯৭৫ সালের বিয়োগান্তক ঘটনার ২১ বছর পর ১৯৯৬ সালের ১২ জুনের সাধারণ নির্বাচনে বিজয়লাভের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ সরকার গঠন করে। অবসান হয় হত্যা, ক্যু ও সামরিক শাসনের। 
    ১৯৯৬ সালের ২৩ জুন থেকে ২০০১ সালের ১৫ জুলাই - এই ৫ বছর পূর্ণ করে ২৬ বছর পর আওয়ামী লীগ সরকার বাংলাদেশের ইতিহাসে সর্বপ্রথম শান্তিপূর্ণভাবে ক্ষমতা হস্তান্তর করে। ১৯৯৬-২০০১ মেয়াদে আমরা ধান ও দানাদার শস্য উৎপাদন বৃদ্ধি করে দেশকে খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ করি। স্বাক্ষরতার হার বৃদ্ধি, বিদ্যুৎ উৎপাদন বৃদ্ধি, সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচি গ্রহণ, বয়স্ক, বিধবা, স্বামী নিগৃহীতা ও প্রতিবন্ধী ভাতা প্রবর্তন এবং বর্গাচাষীদের বিনা জামানতে কৃষি ঋণ প্রদান করি।

২০০১ সালের ১লা আক্টোবরে অনুষ্ঠিত জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দেশের একমাত্র প্রাকৃতিক সম্পদ গ্যাস বিক্রির প্রতিশ্রুতি দিয়ে এবং নানা চক্রান্তের ফসল হিসেবে বিএনপি জামাত-জোট ক্ষমতার মসনদে আরোহন করে। ক্ষমতায় বসেই চরম দুর্নীতি, দুঃশাসন, হত্যা, নারী ধর্ষণ, হিন্দু-মুসলমান-খ্রিস্টান-বৌদ্ধসহ আওয়ামী লীগের অগণিত নেতাকর্মীর উপর আমানবিক নির্যাতন, লাশ গুমসহ সমগ্র দেশে হত্যা, ত্রাস ও গুমের রাজত্ব কায়েম করে।
    ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট আওয়ামী লীগের শান্তি সমাবেশে গ্রেনেড হামলা করে ২২ নেতা-কর্মীকে হত্যা এবং ৫০০’র বেশি মানুষকে আহত করে। জেলায় জেলায় বোমা হামলা, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে অস্ত্রের ঝনঝনানি, সেসন জট, ছাত্রছাত্রীদের অনিশ্চিত জীবন ছিল বিএনপি-জামাত জোট সরকারের সময়কার সাধারণ চালচিত্র। জঙ্গিবাদ, সন্ত্রাস, অস্ত্র চোরাকারবারি, মানি লন্ডারিং, ব্যাংকের টাকা আত্মসাৎ, হাওয়া ভবনের দ্বৈত শাসনে জনজীবন দুর্বিসহ হয়ে উঠেছিল।
    মেয়াদ শেষে ২০০৬ সালে ক্ষমতা হস্তান্তর করে নির্বাচন দেওয়ার কথা থাকলেও বিএনপি-জামাত জোট ক্ষমতাকে চিরস্থায়ী করতে নানা ছলচাতুরির আশ্রয় নিতে থাকে। নির্বাচনে কারচুপির উদ্দেশ্যে ১ কোটি ২৩ লাখ ভুয়া ভোটারসমেত ভোটার তালিকা প্রণয়ন এবং আজ্ঞাবহ নির্বাচন কমিশন গঠন করে। তাদের এসব কর্মকা- বাংলাদেশকে অন্ধকারের পথে ধাবিত করে। যার ফলে দেশে জরুরি অবস্থা জারি হয়। সামরিক বাহিনী অন্তরালে থেকে ক্ষমতা দখল করে। ইয়াজুদ্দীন, ফখরুদ্দীন, মইনুদ্দীনের এই সরকার জনগণের অধিকার হরণ করে তাঁদের উপর স্টিমরোলার চালানো শুরু করে। প্রতিষ্ঠিত রাজনৈতিক দলগুলোকে ভেঙে ফেলার উদ্যোগ নেয়। আমাকে এবং আমার দলের বহু নেতাকর্মীসহ অন্যান্য দলের নেতাকর্মীদের বন্দি করা হয়। ভিন্ন দল গঠন করার চেষ্টা করে নির্বাচন অনুষ্ঠানের উদ্যোগ নেয়।
    কিন্তু তাদের এই চক্রান্তের বিরুদ্ধে সচেতন দেশবাসী ঐক্যবদ্ধভাবে রুখে দাঁড়ায়। জনগণের আন্দোলনের মুখে তারা ৯ম সংসদ নির্বাচন দিতে বাধ্য হয়। তবে নির্বাচন সংস্কারের যে দাবি আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে মহাজোট উপস্থাপন করেছিল সেগুলি থেকে তারা কিছু বিষয় কার্যকর করে- যেমন: ছবিসহ ভোটার তালিকা প্রণয়ন, ১ কোটি ২৩ লাখ ভূয়া ভোটার লিস্ট বাতিল, এবং স্বচ্ছ ব্যালট বাক্স ব্যবহার।
    ২০০৮ সালের ২৯ ডিসেম্বরের সাধারণ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন মহাজোট নিরঙ্কুশ বিজয় অর্জন করে। আওয়ামী লীগ এককভাবে ২৩৩টি আসনে বিজয়ী হয়। আর বিএনপি এককভাবে মাত্র ৩০টি আসনে জয়ী হয়। বাকি আসনগুলি উভয় জোটের শরিকেরা পায়।
প্রিয় দেশবাসী,
    ২০০৮ সালের নির্বাচনি ইশতেহারে আমরা রূপকল্প-২০২১-এর ঘোষণা দিয়েছিলাম। দিন বদলের সনদ হিসেবে আওয়ামী লীগের নির্বাচনী ইশতেহার ঘোষণা করি। এরপর শত বাধা-বিপত্তি অতিক্রম করে ২০১৪ ও ২০১৮ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জয়লাভ করে আমরা সফলভাবে রাষ্ট্র পরিচালনা করে আসছি। 
    গত ১৫ বছরে বাংলাদেশের রূপান্তর ঘটেছে। আজকের বাংলাদেশ দারিদ্র্যক্লিষ্ট, অর্থনৈতিকভাবে ভঙ্গুর বাংলাদেশ নয়। আমি দ্ব্যর্থহীনভাবে বলতে পারি, আজকের বাংলাদেশ বদলে যাওয়া বাংলাদেশ। সম্ভাবনার হাতছানি দেওয়া দুর্বার গতিতে এগিয়ে চলা দুরন্ত বাংলাদেশ। ছোটখাট অভিঘাত আজ আমাদের অগ্রযাত্রাকে বাধাগ্রস্ত করতে পারবে না। করোনা মহামারিসহ নানা অভিঘাত মোকাবিলা করে সেই প্রমাণ আমরা রেখেছি।
    করোনা মহামারির মধ্যেই আমরা ২০২০ সালে জাতির পিতার জন্মশতবার্ষিকী এবং ২০২১ সালে স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপন করেছি। এ সময়ই জাতিসংঘ বাংলাদেশকে উন্নয়নশীল দেশ হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে।
    বিএনপি-জামাত জোট সরকারের শেষ বছর ২০০৬ সালে বিভিন্ন আর্থ-সামাজিক সূচকে বাংলাদেশ কোথায় ছিল আর আজ বাংলাদেশ কোথায় অবস্থান করছে তার সংক্ষিপ্ত একটি তুলনামূলক চিত্র আমি আপনাদের সামনে তুলে ধরতে চাই:

অর্থনীতি
ক্রম    খাত    ২০০৬ বিএনপি-জামাত জোট             ২০২৩ বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ             মন্তব্য
১    প্রবৃদ্ধি    ৫.৪০ শতাংশ    ৭.২৫ শতাংশ    
২    মাথাপিছু আয় (নমিনাল)    ৫৪৩ মার্কিন ডলার     ২ হাজার ৭৯৩ মার্কিন ডলার    ৫ গুণ বৃদ্ধি
৩    মাথাপিছু আয় (পিপিপি)    ১ হাজার ৭২৪ মার্কিন ডলার  ৮ হাজার ৭৭৯ মার্কিন ডলার    ৫ গুণ বৃদ্ধি
৪    বাজেটের আকার    ৬১ হাজার কোটি টাকা    ৭ লক্ষ ৬১ হাজার  ৭৮৫ কোটি টাকা    ১২ গুণ বৃদ্ধি
৫    জিডিপি’র আকার    ৪ লক্ষ ১৫ হাজার ৭২ কোটি টাকা    ৫০.৩১ লক্ষ কোটি টাকা    ১২ গুণ বৃদ্ধি
৬    বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি    ২১ হাজার ৫ শত কোটি টাকা    ২ লক্ষ ৭৪ হাজার ৬৭৪ কোটি টাকা    ১৩ গুণ বৃদ্ধি
৭    রপ্তানি  আয়    ১০.০৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার    ৫২.৯৭ বিলিয়ন মার্কিন ডলার    ৫ গুণ বৃদ্ধি
৮    বার্ষিক রেমিটেন্স আয়    ৪.৮ বিলিয়ন মার্কিন ডলার    ২৪.০৩ বিলিয়ন মার্কিন ডলার
    ৬ গুণ বৃদ্ধি
৯    আমদানি ব্যয়    ১৪.৭ বিলিয়ন মার্কিন ডলার    ৮২ বিলিয়ন মার্কিন ডলার    প্রায় ৬ গুণ বৃদ্ধি
১০    বিনিয়োগ (জিডিপি’র হারে)    ২২.৭৮ শতাংশ    ৩২.০৫ শতাংশ    প্রায় দেড় গুণ বৃদ্ধি
১১    বার্ষিক রাজস্ব আয়    ৩৭ হাজার ৮৭০ কোটি টাকা    ৫ লক্ষ কোটি টাকা    ২০২৩-২৪ অর্থবছরের লক্ষ্যমাত্রা।                

মানুষের জীবনমান উন্নয়ন
ক্রম    খাত    ২০০৬ বিএনপি-জামাত জোট    ২০২৩ বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ    মন্তব্য
১    দারিদ্র্যের হার    ৪১.৫১ শতাংশ    ১৮.৭ শতাংশ    অর্ধেক কমেছে
২    অতি দারিদ্র্যের হার    ২৫.১ শতাংশ    ৫.৬ শতাংশ    প্রায় ৫ গুণ কমে এসেছে।
৩    মানুষের গড় আয়ু    ৫৯ বছর    ৭২.৮ বছর    
৪    নিরাপদ খাবার পানি    ৫৫ শতাংশ    ৯৮.৮ শতাংশ    ২ গুণ বৃদ্ধি
৫    সেনিটারি ল্যাট্রিন    ৪৩.২৮ শতাংশ    ৯৭.৩২ শতাংশ    ২ গুণের বেশি বৃদ্ধি
৬    শিশু মৃত্যুর হার 
(প্রতি হাজারে)    ৮৪ জন    ২১ জন    ৪ গুণ কমেছে
৭    মাতৃমৃত্যু হার    
(প্রতি লাখে)    ৩৭০ জন    ১৬১ জন    প্রায় আড়াই গুণ কমেছে।

বিদ্যুৎ
ক্রম    খাত    ২০০৬ বিএনপি-জামাত জোট    ২০২৩ বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ    মন্তব্য
১    বিদ্যুৎ উৎপাদন সক্ষমতা    ৩ হাজার ৭৮২ মেগাওয়াট    ২৮ হাজার ৫৬২ মেগাওয়াট    ৮ গুণ বৃদ্ধি
২    বিদ্যুৎ সুবিধাভোগীর হার    মোট জন সংখ্যার ২৮ শতাংশ    মোট জনসংখ্যার ১০০ শতাংশ    প্রায় ৪ গুণ বৃদ্ধি
স্বাস্থ্য 
ক্রম    খাত    ২০০৬ বিএনপি-জামাত জোট    ২০২৩ বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ    মন্তব্য
১    সরকারি হাসপাতালের শয্যা সংখ্যা    ৩৩ হাজার ৫৭৯    ৭১ হাজার    ২ গুণ বৃদ্ধি
২    সরকারি ডাক্তারের সংখ্যা    ৯ হাজার ৩৩৮
জন    ৩০ হাজার ১৭৩ জন    ৩ গুণ বৃদ্ধি



আপনার মূল্যবান মতামত দিন: