দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পূর্বে অনিয়ম সংক্রান্ত বিষয়সমূহ অনুসন্ধান করে কমিশনে প্রতিবেদন দাখিলের জন্য ৩০০ সংসদীয় আসনে বিচার বিভাগীয় কর্মকর্তাদের দিয়ে ‘নির্বাচন অনুসন্ধান কমিটি’ গঠন করা হয়েছে।
আইন মন্ত্রণালয়ের আইন ও বিচার বিভাগ এই ব্যাপারে একটি প্রজ্ঞাপন জারি করেছে।
আইন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সহকারি সচিব সাবিনা ইয়াসমিন স্বাক্ষরিত প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন, দি রিপ্রেজেন্টেশন অফ দ্য পিপলস অর্ডার, ১৯৭২ এর আর্টিকেল ৯১-এ প্রদত্ত ক্ষমতাবলে সুপ্রিম কোর্টের সাথে পরামর্শক্রমে এ সংক্রান্ত জারিকৃত পত্রের পরিপ্রেক্ষিতে আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের আইন ও বিচার বিভাগ বিচার বিভাগীয় কর্মকর্তাদের সমন্বয়ে এই কমিটি গঠন করেছে।
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষ্যে নির্বাচনী অপরাধ, নির্বাচনী আচরণ বিধি, অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠানের প্রস্তুতি বা পরিচালনায় বাধাগ্রস্ত বা ব্যাহত করে- এমন নির্বাচনপূর্ব অনিয়ম সংক্রান্ত বিষয়সমূহ অনুসন্ধান পূর্বক কমিশনের নিকট প্রতিবেদন দাখিলের লক্ষ্যে বিচার বিভাগীয় কর্মকর্তাদের সমন্বয়ে ৩০০ ‘নির্বাচন অনুসন্ধান কমিটি’ করা হয়েছে।
প্রজ্ঞাপনে দেখা যায়, ৩০০ আসনের প্রতিটি আসনে সেই জেলার সহকারী জজ, সিনিয়র সহকারী জজ, যুগ্ম জেলা ও দায়রা জজদের দায়িত্ব দিয়ে এ অনুসন্ধান কমিটি গঠন করা হয়।
গত ২৩ নভেম্বর জারি করা এই প্রজ্ঞাপনটি আইন মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইটে রয়েছে।
গত ১ নভেম্বর প্রধান নির্বাচন কমিশনারসহ নির্বাচন কমিশনের সদস্যরা প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসানের সঙ্গে দেখা করে নির্বাচন পূর্ব অনিয়মের ঘটনা অনুসন্ধানের জন্য বিচার বিভাগীয় কর্মকর্তাদের সহযোগিতা চান।
সেই বৈঠকের পরপরই প্রধান নির্বাচন কমিশনার জানিয়েছিলেন, আসন্ন জাতীয় সংসদের সাধারণ নির্বাচনে বিচারকরা ইলেক্টরাল ইনকোয়ারি কমিটির দায়িত্ব পালন করেন। এটা এবার বন্ধের সময় হবে। সিভিল কোর্ট ভ্যাকেশনের সময় হবে। সিভিল ভ্যাকেশনের কারণে যেন ওই দায়িত্বটা বন্ধ না থাকে। যদি বন্ধ থাকে তাহলে আমাদের ওই কাজটা পিছিয়ে যাবে। এটা জানিয়ে রেখেছি। যাতে ওই সময় ডিসেম্বর মাসে উনারা দায়িত্ব পালন করেন। আর জানুয়ারি মাসে আগের মতো দায়িত্ব পালন করবেন।
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: