শিশু সন্তানের সামনে বাবাকে হত্যা, আসামি মানিক ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহত

নিজস্ব প্রতিবেদক | ২১ মে ২০২১, ২৩:০৯

র‌্যাবের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে নিহত মানিক। ফাইল ছবি

লক্ষ্মীপুর-১ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য (এমপি) মো. আউয়ালের নির্দেশে রাজধানীর পল্লবী এলাকায় সন্তানের সামনে সাহিনুদ্দীন নামে একজনকে কুপিয়ে খুনের ঘটনার আসামি মানিক ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহত হয়েছেন।

বৃহস্পতিবার (২১ মে) দিনগত রাতে পল্লবীর ইস্টার্ন হাউজিং এলাকায় র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব-৪) সদস্যদের সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ মানিক নিহত হন।


র‌্যাব-৪ এর অধিনায়ক (সিও) অতিরিক্ত ডিআইজি মো. মোজাম্মেল হক বলেন, একটি সন্ত্রাসী গ্রুপ ইস্টার্ন হাউজিং এলাকায় অবস্থান নিয়েছে, এমন তথ্যের ভিত্তিতে আমাদের টহল টিম সেখানে যায়। এরপর র‌্যাব সদস্যদের লক্ষ্য করে আচমকা গুলি ছুড়তে থাকে তারা। আত্মরক্ষার্থে র‌্যাব সদস্যরাও পাল্টা গুলি চালালে অস্ত্রধারী সন্ত্রাসীরা পিছু হটে। তখন ঘটনাস্থল থেকে একজনকে গুরুতর আহত অবস্থায় উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। ঘটনাস্থল থেকে একটি বিদেশি অস্ত্র ও গুলি উদ্ধার করা হয়েছে।

জানা গেছে, নিহতের নাম মানিক। সাহিনুদ্দীনকে কুপিয়ে হত্যার ঘটনায় জড়িত কয়েকজনের মধ্যে তিনি অন্যতম।

এর আগে গত বৃহস্পতিবার (২১ মে) ভোরে ভৈরবে অভিযান চালিয়ে হত্যাকাণ্ডের নির্দেশদাতা ও পরিকল্পনাকারী আউয়ালকে গ্রেফতার করে র‌্যাব। একইসঙ্গে চাঁদপুর ও পটুয়াখালীতে পৃথক অভিযান চালিয়ে মো. হাসান ও জহিরুল ইসলাম বাবু নামে আরও দু’জনকে গ্রেফতার করা হয়।

এছাড়া মামলার অন্যতম আসামি সুমন বেপারী ও রকি তালুকদারকে গ্রেফতার করে মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)।

খুনের নির্দেশদাতা হিসেবে সাবেক এমপি আউয়ালকে গ্রেফতারের পর র‌্যাব জানায়, মূলত জমি সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে হত্যাকাণ্ডটি সংঘটিত হয়। ঘটনার চার থেকে পাঁচ দিন আগে দুপুর বেলা আউয়ালের কলাবাগান অফিসে তাহের ও সুমন হত্যাকাণ্ডের চূড়ান্ত পরিকল্পনা করে। মাঠ পর্যায়ে হত্যাকাণ্ড বাস্তবায়নের জন্য সুমনকে দায়িত্ব দেওয়া হয়। সুমনের নেতৃত্বে প্রায় ১০ থেকে ১২ জন সক্রিয়ভাবে কিলিং মিশনে অংশগ্রহণ করে। এছাড়া সহযোগী হিসেবে আরও বেশ কয়েকজন যুক্ত ছিলেন।

ঘটনার দিন ১৬ মে বিকেলে পরিকল্পনা অনুযায়ী তারা ঘটনাস্থলে জড়ো হন। তারপর ভিকটিম সাহিন সন্তানসহ ঘটনাস্থলে এলে সুমন, মনির, মানিক, হাসান, ইকবাল ও মুরাদসহ ১০ থেকে ১২ জন এলোপাথাড়িভাবে ধারালো অস্ত্র দিয়ে পর্যায়ক্রমে সাহিনকে আঘাত করে তার মৃত্যু নিশ্চিত করেন। হত্যাকাণ্ডের পর সুমন আউয়ালকে মোবাইলে ফোন করে জানান ‘স্যার ফিনিশ’ এবং তাদের আরও অল্প কিছুক্ষণ কথা হয়। পরে জড়িতরা দেশের বিভিন্ন স্থানে গা ঢাকা দেন।



আপনার মূল্যবান মতামত দিন: