প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘বিএনপি-জামায়াত জোট মানুষের জন্য কাজ করে না। একজন তো এতিমের টাকা আত্মসাৎ করে সাজাপ্রাপ্ত। আরেকজন ২০০৭ সালে মুচলেকা দিয়ে বলেছিল আর কোনোদিন রাজনীতি করবে না। এখন লন্ডনে বসে বসে যত টাকা দুর্নীতি ও চুরি করেছিল, সেই টাকা খরচ করে আর আগুন জ্বালিয়ে মানুষ মারে।’
সোমবার (১৩ নভেম্বর) খুলনা সার্কিট হাউস মাঠে আওয়ামী লীগ আয়োজিত জনসভায় এ কথা বলেন তিনি।
শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমার চাওয়া পাওয়ার কিছু নেই। দেশের মানুষ যদি ভালো থাকে সেটাই আমার পাওয়া। বাংলাদেশের জনগণই আমার পরিবার। জনগণকে পরিবার হিসেবে আমি আপন করে নিয়েছি। তাই তাদের কল্যাণের জন্য আমি কাজ করে যাচ্ছি।’
জনগণের উদ্দেশে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আপনারা বারবার আমাদের ভোট দিয়েছেন। ভোট দিয়ে আপনাদের সেবার করার সুযোগ দিয়েছেন। আমি আপনাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাই। আর সেই সুযোগটা দিয়েছেন বলেই আজ বাংলাদেশ উন্নয়নের রোল মডেল। বদলে যাওয়া বাংলাদেশ।’
আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা বলেন, ‘বিএনপি-জামায়াত জানে তারা ২০০৮ সালের নির্বাচনে মাত্র ৩০টা সিট পেয়েছে। তারা জানে তাদের নেতা নেই। মুণ্ডুহীন একটা দল। একটা পলাতক আসামি আরেকটা কারাগারে। সেই দল এদেশে নির্বাচন হতে দিতে চায় না। একটা অসামাজিক পরিস্থিতি সৃষ্টি করতে চায়।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, তারা ২০১৩ সালেও একই কাজ শুরু করেছিল। হাজার হাজার অফিস-আদালত, গাড়ি পুড়িয়েছিল তখন। কিন্তু তারা নির্বাচন ঠেকাতে পারেনি, জনগণ প্রতিরোধ করেছিল। আজও আপনাদের কাছে আমার আহ্বান, সন্ত্রাসী বিএনপি-জামায়াতকে প্রতিহত করুন।
শেখ হাসিনা বলেন, আমরা ইতোমধ্যে ঘোষণা দিয়েছি, যারা আগুন দিতে যাবে ধরিয়ে দিতে পারলে ২০ হাজার টাকা পুরস্কার দেওয়া হবে। যারা এভাবে আগুন দিয়ে মানুষ মারে তাদের কখনো ছাড় দেওয়া হবে না।
সরকারপ্রধান বলেন, ফিলিস্তিনের গাজায় ইসরায়েলের ইহুদিরা হাসপাতালেও হামলা চালিয়েছে। বিএনপির লোকেরা বোধহয় ইসরায়েলিদের কাছ থেকে শিক্ষা নিয়েছে। ওরা বাংলাদেশের ধ্বংস চায়। ওদের চরিত্র কোনো দিন পাল্টাবে না।
খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানের সমালোচনা করে আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, একজন তো এতিমের টাকা আত্মসাৎ করে সাজাপ্রাপ্ত। আরেকজন ২০০৭ সালে মুচলেকা দিয়ে বলেছিল আর কোনোদিন রাজনীতি করবে না। এখন লন্ডনে বসে বসে যত টাকা দুর্নীতি ও চুরি করেছিল, সেই টাকা খরচ করে আর আগুন জ্বালিয়ে মানুষ মারে।
গার্মেন্ট শ্রমিকদের আন্দোলনের যৌক্তিকতা নিয়ে প্রশ্ন তুলে প্রধানমন্ত্রী বলেন, যারা এই আন্দোলন করছে, তাদের কাছে আমরা প্রশ্ন- আমি প্রথমবার ক্ষমতায় এসে দেখি গার্মেন্টস শ্রমিকদের সর্বনিম্ন মজুরি ৮০০ টাকা, আমি করেছিলাম ১৬০০ টাকা। খালেদা ক্ষমতায় এসে এক পয়সাও বাড়ায়নি। পরের বার সরকারে এসে প্রথমে করলাম, ৩২০০, দ্বিতীয় দফায় ৫৩০০, তৃতীয় দফায় ৮২০০ আর এবার করলাম ১২৫০০ টাকা।
শেখ হাসিনা বলেন, হ্যাঁ, দ্রব্যমূল্য বেড়েছে, মানুষের কষ্ট হচ্ছে। মূল্যস্ফীতি বেড়েছে বলে সরকারি চাকুরেদের জন্য ৫ পার্সেন্ট, আর গার্মেন্টস শ্রমিকদের বাড়িয়েছি ৫৬ পার্সেন্ট। কিন্তু তা সত্ত্বেও গার্মেন্টস শিল্পে এই ধ্বংস কেন, কারা করছে এসব, তাদের খুঁজে বের করা দরকার।
শেখ হাসিনা বলেন, আমার চাওয়া-পাওয়ার কিছু নেই। দেশের মানুষ যদি ভালো থাকে সেটাই আমার পাওয়া। বাংলাদেশের জনগণই আমার পরিবার। জনগণকে পরিবার হিসেবে আমি আপন করে নিয়েছি। তাই তাদের কল্যাণের জন্য আমি কাজ করে যাচ্ছি।
জনগণের উদ্দেশে তিনি বলেন, আপনারা বারবার আমাদের ভোট দিয়েছেন। ভোট দিয়ে আপনাদের সেবার করার সুযোগ দিয়েছেন। আমি আপনাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাই। আর সেই সুযোগটা দিয়েছেন বলেই আজ বাংলাদেশ উন্নয়নের রোল মডেল। বদলে যাওয়া বাংলাদেশ।
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: