আওয়ামী লীগের এবারের নির্বাচনী ইশতেহারে সবচেয়ে কর্মসংস্থানের বিষয়টি বেশি গুরুত্ব পাবে বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমন্ডলীর সদস্য ও ইশতেহার প্রণয়ন কমিটির আহ্বায়ক ড. আব্দুর রাজ্জাক।
রোববার বঙ্গবন্ধু এভিনিউস্থ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে দলটির নির্বাচনী ইশতেহার প্রণয়ন কমিটির সঙ্গে পেশাজীবীদের মতবিনিময় সভায় তিনি এ কথা জানান।
আব্দুর রাজ্জাক বলেন, প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে আওয়ামী লীগ গণমানুষের দল। আওয়ামী লীগ সবসময় গঠনতন্ত্র, লক্ষ্য, উদ্দেশ্য ও আদর্শের ভিত্তিতে পরিচালিত হয়েছে। আওয়ামী লীগ কখনো চোরাগলির পথে বা অসাংবিধানিক পথে ক্ষমতায় আসেনি। গণতান্ত্রিক চর্চা করেছে এবং গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ চেতনাকে ধারণ করে আওয়ামী লীগ পরিচালিত হয়েছে। যেসব নির্বাচনে আওয়ামী লীগ অংশগ্রহণ করেছে সেসব নির্বাচনে আওয়ামী লীগ সবসময় জনগণের আশা-আকাঙ্খা তুলে ধরে নির্বাচনী ইশতেহার ঘোষণা করেছে।
আওয়ামী লীগের সভাপতিমন্ডলীর সদস্য বলেন, ২০১৮ সালের নির্বাচনি ইশতেহারের নাম আমরা দিয়েছিলাম ‘সমৃদ্ধির অগ্রযাত্রায় বাংলাদেশ’। সেই ইশতেহারে আমরা যা যা বলেছিলাম; তা আমরা করার চেষ্টা করেছি। বৈশ্বিক নানা সমস্যার মধ্যে বাংলাদেশ ভালো অবস্থানে থেকেছে। আমাদের দেশজ উৎপাদন (জিডিপি) ৭/৮ গুণ বৃদ্ধি পেয়েছে। মাথাপিছু আয় বেড়েছে। গত ১৫ বছরে বাংলাদেশে সবজি উৎপাদন বেড়েছে বহু গুণ। বিদ্যুৎ উৎপাদনও বেড়েছে।
আওয়ামী লীগ মানবতাকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়েছে জানিয়ে আব্দুর রাজ্জাক বলেন, সব ধর্ম বর্ণ গোত্রকে সমান অধিকার দিয়েছে আওয়ামী লীগ। এই দেশের উন্নয়ন অগ্রযাত্রার জন্য মানুষ আওয়ামী লীগে ভোট দেবে।
রাজ্জাক বলেন, প্রতিষ্ঠার পর থেকে অর্থনৈতিক, সামাজিক, সাংস্কৃতিক, রাজনৈতিক বিভিন্ন ক্ষেত্রে আওয়ামী লীগের যত সাফল্য দল সেগুলো তুলে ধরছে। তার আলোকে আগামী দিনে আওয়ামী লীগ কী করবে, কী তার লক্ষ্য, উদ্দেশ্য, জাতির কী কী আশা আকাঙ্খা প্রত্যাশা পূরণ করবে, কর্মসূচি বাস্তবায়নের কৌশল কী হবে সেগুলো নির্বাচনী ইশতেহার সুস্পষ্টভাবে তুলে ধরা হয়েছে।
সভায় দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের ইশতেহারে কী কী বিষয় অন্তর্ভুক্ত থাকতে পারে- এ বিষয়ে মূল্যবান মতামত উপস্থাপন করেন বিভিন্ন পেশাজীবী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: