দেশের মানুষের উন্নয়নে আওয়ামী লীগ সরকার কাজ করে জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, জাতি আওয়ামী লীগ সরকারের কাছে যা চায় তা পাবে।
রাজধানীবাসীর দীর্ঘদিনের বহুল প্রতীক্ষিত মেট্রোরেলের আগারগাঁও থেকে মতিঝিল অংশের উদ্বোধন করে নিজের অনুভূতি ব্যক্ত করতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, মানুষের কাছে আমার একটাই চাওয়া, সবাই যেন স্বাধীন দেশের আত্মমর্যাদা নিয়ে চলে। সন্ত্রাস, অগ্নিসন্ত্রাসী ও দুর্বৃত্তপরায়ণদের প্রত্যাখ্যান করে।
স্বপ্নের মেট্রোরেলে বসে সংবাদমাধ্যমে অনুভূতি ব্যক্ত করেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, এতটুকু বলতে পারি, পথ হারায়নি বাংলাদেশ। আমরা একের পর এক বড় বড় স্বপ্ন পূরণ করছি। একটা উন্নত দেশ যা যা পেয়েছে, আমাদের দেশের মানুষও সবই পাবে। আমরা জাতিকে শিক্ষা দীক্ষা জ্ঞান-বিজ্ঞানে উন্নত জাতি হিসেবে গড়ে তুলতে চাই। এখন আমাদের স্বপ্ন স্মার্ট বাংলাদেশ। স্মার্ট জনগোষ্ঠী, স্মার্ট সরকার, স্মার্ট ইকোনমি ও স্মার্ট সোসাইটি। এটাই আমার বড় আকাঙ্ক্ষা। বাংলাদেশ কারও কাছে হাত পেতে চলবে না। নিজের পায়ে দাঁড়াবে, বিজয়ী জাতি হিসেবে সারা বিশ্বে মাথা উঁচু করে চলবো।
শনিবার (৪ নভেম্বর) দুপুর আড়াইটায় আগারগাঁও স্টেশনের উদ্বোধনস্থলে আসেন প্রধানমন্ত্রী। সেখানে প্রথমে ট্রেনের স্বয়ংক্রিয় টিকিট (অস্থায়ী পাস-কার্ড) নেন। এরপর কার্ড পাঞ্চ করে প্রধানমন্ত্রী ট্রেনের লাউঞ্জে প্রবেশ করেন। সেখানে উদ্বোধনী ফলক উন্মোচন করেন। পতাকা নেড়ে ট্রেন চলার সংকেত দেন। পরে ট্রেনে চড়ে প্রধানমন্ত্রী ও তার সফরসঙ্গীদের নিয়ে আগারগাঁও থেকে মতিঝিলের উদ্দেশ্যে রওয়ানা হন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমার বাবা বাঙালি জাতির একটা উন্নত সমৃদ্ধ জীবন দেবেন বলেই এ দেশকে স্বাধীন করেছেন। আমার একটাই প্রত্যয়, আমি বাবার স্বপ্ন বাস্তবায়ন করবো। আমার আমিত্ব বলে কিছু নেই আমি আমাকে উৎসর্গ করেছি, এদেশের মানুষের কল্যাণে। মানুষ যখন শান্তি পাবে, তখন আমার বাবাও শান্তি পাবে, তিনি খুশি হবেন, তিনি নিশ্চয় সেটা দেখছেন।
শেখ হাসিনা বলেন, আমি খুবই আনন্দিত। যারা এ কাজে সম্পৃক্ত ছিলেন তাদের ধন্যবাদ জানাই। জাপান সরকারকেও ধন্যবাদ জানাই। তারাও এই কাজে সম্পৃক্ত ছিল। এটি উন্নত প্রযুক্তির ও পরিবেশবান্ধব। ফলে সময় বাঁচবে, যানজট কমবে।
মেট্রোরেল থেকে নেমে মতিঝিল স্টেশনে আরেকটি উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন প্রধানমন্ত্রী। এরপর বিকেলে আরামবাগে আওয়ামী লীগের ঢাকা বিভাগীয় জনসভায় যোগ দেবেন তিনি।
এসময় প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সড়ক ও পরিবহমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, সালমান এফ রহমান, সেনাপ্রধান এস এম শফিউদ্দিন আহমেদ, শেখ হেলাল এমপি, মুখ্যসচিব তোফাজ্জাল হোসেন মিয়া, মন্ত্রিপরিষদ সচিব মাহবুব হোসেন, সড়ক ও মহাসড়ক বিভাগের সচিব এবিএম আমিনুল্লাহ নুরী, ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেডের (ডিএমটিসিএল) ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. এম এন এ সিদ্দিকসহ সরকারের পদস্থ কর্মকর্তা ও বিদেশি সংস্থার প্রতিনিধিরা ছিলেন।
একদিন পর রোববার (৫ নভেম্বর) থেকে মেট্রোরেলে চড়ে যাওয়া যাবে মতিঝিল স্টেশন পর্যন্ত। অর্থাৎ উদ্বোধনের পরদিনই আগারগাঁও-মতিঝিল অংশটি যাত্রীদের জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া হবে। ওইদিন থেকে উত্তরা উত্তর স্টেশন থেকে মতিঝিল পর্যন্ত চলবে স্বপ্নের এ উড়াল ট্রেন।
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: