সড়ক রংক্ষণাবেক্ষণে আলাদা তহবিল গঠনের নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর

সময় ট্রিবিউন | ৩১ অক্টোবর ২০২৩, ২২:০৬

সড়ক রংক্ষণাবেক্ষণে আলাদা তহবিল গঠনের নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশের সড়ক ও মহাসড়ক রক্ষণাবেক্ষণের জন্য সংশ্লিষ্টদের একটি বিশেষ তহবিল গঠনের নির্দেশ দিয়েছেন। তিনি বলেছেন, ‘গত ১৫ বছরে আমরা সারাদেশে প্রচুর সড়ক-মহাসড়ক নির্মাণ করেছি। প্রাকৃতির কারণে এগুলো ভাঙ্গছে। এগুলোকে চলাচল উপযোগী রাখতে রক্ষণাবেক্ষণ করা জরুরি। তাই, এর ব্যয় সংস্থানের জন্য একটি বিশেষ তবিল গঠন করতে হবে।’

মঙ্গলবার রাজধানীর শেরেবাংলানগর এনইসি সভাকক্ষে অনুষ্ঠিত জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় তিনি এ কথা বলেন। প্রধানমন্ত্রী একনেক সভায় সভাপতিত্ব করেন।

সভাশেষে পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান ও পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী ড. শামসুল আলম সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন। এসময় পরিকল্পনা সচিব সত্যজিত কর্মকারসহ পরিকল্পনা কমিশনের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।

এম এ মান্নান বলেন, দেশের সড়ক-মহাসড়ক রক্ষণাবেক্ষণের জন্য প্রধানন্ত্রী একটি বিশেষ তহবিল গঠনের নির্দেশ দিয়েছেন। এই তহবিল গঠনের জন্য সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয় একটি ফ্রেমওয়ার্ক তৈরি করবে বলে পরিকল্পনামন্ত্রী জানান। 

পরিকল্পনামন্ত্রী আরও জানান, প্রধানমন্ত্রী বিদেশী ঋণ বা অনুদানপুষ্ট প্রকল্পসমূহ দ্রুত গ্রহণ করে বাস্তবায়নের নির্দেশ প্রদান করেছেন। প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, এর ফলে দেশবাসী যেমন উপকৃত হবে, পাশাপাশি বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ পরিস্থিতি সমৃদ্ধ হবে। এছাড়া চলমান প্রকল্পসমূহের কাজ দ্রুত শেষ করার নির্দেশ দেন প্রধানমন্ত্রী।


সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের উত্তরে এম এ মান্নান বলেন, আগামী নির্বাচনকে সামনে রেখে একনেক সভায় কোন প্রকল্প অনুমোদন দেওয়া হয়নি। আজ একনেকে অনুমোদিত সকল প্রকল্প দেশের সার্বিক উন্নয়ন কেন্দ্রিক।


তিনি জানান, প্রধানমন্ত্রী একনেক সভায় তাঁর বক্তব্যে বলেছেন, গত ১৫ বছরে পুঙ্খানুপুঙ্খ পরীক্ষা বা পর্যালোচনা ব্যতিরেখে কোন প্রকল্প একনেক অনুমোদন করেনি। এমনকি প্রকল্প অনুমোদনের ক্ষেত্রে কোন তাড়াহুড়া করা হয়নি।


অপর এক প্রশ্নের উত্তরে এম এ মান্নান বলেন, ‘আমরা মানুষের কল্যাণে কাজ করেছি। জনগণের ওপর আমাদের ভরসা আছে। তাই, আশা করি জনগণের ভোটে নির্বাচিত হয়ে আবারও ক্ষমতায় আসবো।’


আগামী নির্বাচনকে কেন্দ্র করে রাজনৈতিক কর্মসূচির কারণে অর্থনৈতিক পরিস্থিতির অবনতি হওয়ার শঙ্কা আছে কিনা এমন প্রশ্নের উত্তরে সরকারের জ্যেষ্ঠ এই মন্ত্রী বলেন, ‘গত ২৮ তারিখ থেকে শুরু করে বিরোধীদের জ্বালাওপোড়াও কর্মসূচি খেটে খাওয়া মানুষের জীবনযাত্রায় আঘাত এনেছে।’ তবে যারা জ্বালাওপোড়াও কর্মসূচি দিচ্ছে, তাদেরকে এই প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করার পরামর্শ দেন তিনি।


তিনি বলেন, রাজনীতির নামে যা চলছে, তা গ্রহণযোগ্য নয়। যখন দেশে ইতিবাচক পরিবর্তন হচ্ছে, সেখানে বিনাশী কাজ পরিত্যাগ করা উচিত।


ফিলিস্তিনির নিরীহ মানুষের ওপর ইসরায়েলের বর্বর হামলার প্রতিবাদ করায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে একনেক সভায় ধন্যবাদ জানানো হয়। পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী ফিলিস্তিনি জনগণের উপর ইসরায়েলের হামলার প্রতিবাদ জানিয়ে জাতীয় সংসদে ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে কথা বলেছেন। এমনকি তিনি ব্যক্তিগতভাবে এর প্রতিবাদ জানিয়েছেন। তাই প্রধানমন্ত্রীকে একনেকের পক্ষ থেকে ধন্যবাদ জানানো হয়।

মঙ্গলবার একনেক সভায় মোট ৩৭টি প্রকল্পের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এ বিষয়ে পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী ড. শামসুল আলম জানান, ‘প্রায় ২ মাস পর আজ একনেক সভা হয়েছে। যেখানে ৭ থেকে ৮টি সভা হওয়ার কথা ছিল। তাই স্বাভাবিকভাবে অন্য একনেক সভার তুলনায় আজ বেশিসংখ্যক প্রকল্প অনুমোদন পেয়েছে।’

একনেক সভায় পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের বাস্তবায়ন, পরিবীক্ষণ ও মূল্যায়ন বিভাগের (আইএমইডি) গত ১৫ বছরের কার্যক্রমের উপর একটি বইয়ের মোড়ক উন্মোচন করেন প্রধানমন্ত্রী।



আপনার মূল্যবান মতামত দিন: