সড়ক বন্ধ নিয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনা হয়নি: মার্কিন দূতাবাস

নিজস্ব প্রতিবেদক | ২৩ অক্টোবর ২০২৩, ১৩:০০

সংগৃহীত ছবি

আগামী ২৮ অক্টোবর রাজধানীতে বিএনপির মহাসমাবেশ ঘিরে সরকার ঢাকায় প্রবেশের রাস্তাঘাট বন্ধ করে দেবে কি না, এ বিষয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের সঙ্গে কোনো আলোচনা হয়নি ঢাকার যুক্তরাষ্ট্র রাষ্ট্রদূত পিটার ডি হাসের। রবিবার রাতে গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানায় ঢাকার মার্কিন দূতাবাস।

বিবৃতিতে ঢাকার মার্কিন দূতাবাসের মুখপাত্র গণমাধ্যমকে জানান, রবিবারে ঢাকার যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাসের সঙ্গে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর বৈঠকে বিএনপির আগামী ২৮ অক্টোবর সড়ক বন্ধ করা নিয়ে কোনো আলোচনা হয়নি। রাজনৈতিক প্রক্রিয়ায় শান্তিপূর্ণ সমাবেশ এবং হস্তক্ষেপমুক্ত অংশগ্রহণের গুরুত্বের কথা তুলে ধরেছেন রাষ্ট্রদূত পিটার হাস।

এদিকে রবিবার দুপুরে সচিবালয় মার্কিন রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে বৈঠকের পর স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী গণমাধ্যমকে বলেন, আগামী ২৮ অক্টোবর রাজধানীতে বিএনপির মহাসমাবেশ ঘিরে সরকার ঢাকায় প্রবেশের রাস্তাঘাট বন্ধ করে দেবে কি না, তা জানতে চেয়েছেন বাংলাদেশে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাস।

তিনি বলেন, বৈঠকে পিটার হাস জানতে চেয়েছেন বিএনপি যে একটি বিরাট কর্মসূচি দিয়েছে সেখানে অনেক লোক নিয়ে আসবে, তোমরা রাস্তাঘাট বন্ধ করে দেবে কি না, কিংবা তোমরা অন্য কিছু করবা কি না।

মন্ত্রী বলেন, আমরা বলেছি ওই ধরনের কোনো প্রোগ্রাম আমাদের নেই। আমরা মনে করি, তারা যে রাজনৈতিক এজেন্ডা দিয়েছে, তারা তা শান্তিপূর্ণভাবে করবে। কর্মসূচি যদি তারা শান্তিপূর্ণভাবে পালন করে, তবে আমাদের কিছু বলার নেই। তারপরও আমরা অনুরোধ করব ঢাকা শহর এমনিতেই একটি যানজটপূর্ণ শহর। এখানে ২ কোটির বেশি মানুষ বসবাস করে, এমনি কী ঢাকার রাস্তাঘাট মানুষে পূর্ণ থাকে। সেখানে যদি ১০ লাখ মানুষ বা এর চেয়ে বেশি লোক ঢোকে তারা যেটা বলেছেন, তাহলে তো একটা মিসম্যাচ হয়ে যাবে, কমিউনিকেশন, এটা-সেটা। সেগুলো যেন তারা না করে, সেটার জন্য আমরা রিকোয়েস্ট করব।

আসাদুজ্জামান খান বলেন, তিনি (রাষ্ট্রদূত) জানতে চেয়েছিলেন যে আসা-যাওয়া তোমরা বন্ধ করবে কিনা। আমি বলেছি আসা-যাওয়া বন্ধ আমরা কেন করব? ঢাকা আসা তো সবারই প্রয়োজন, একটা রোগীর ঢাকা আসা প্রয়োজন, বিদেশে যেতে হলে ঢাকায় আসা প্রয়োজন- সবকিছু তো ঢাকা কেন্দ্রিক। কাজেই আসা-যাওয়া বন্ধ করার কোনো প্রশ্নই আসে না। তারা (বিএনপির নেতাকর্মী) আসবে তারা যাবে, সেখানে আমরা কোনো বাধা দেব না কিংবা আমরা সেটার কোনো চিন্তাও করছি না। আমরা শুধু এটুকুই বলব, তারা যেন কোনো ভায়োলেন্স (সহিংসতায়) লিপ্ত না হয়, চলাচলের জায়গাটি তারা যেন সচল রাখে। এটুকুই আমাদের রিকোয়েস্ট (অনুরোধ), সেটা আমরা তাকে (রাষ্ট্রদূতকে) জানিয়েও দিয়েছি।



আপনার মূল্যবান মতামত দিন: