তথ্যমন্ত্রী

"সরকারের বিরুদ্ধে বিএনপির পতনযাত্রা যমুনা কিংবা বুড়িগঙ্গা নদীতে গিয়ে ডুবে যাবে"

নিজস্ব প্রতিবেদক | ২১ অক্টোবর ২০২৩, ২১:৪২

সরকারের বিরুদ্ধে বিএনপির পতনযাত্রা যমুনা কিংবা বুড়িগঙ্গা নদীতে গিয়ে ডুবে যাবে : তথ্যমন্ত্রী

গত বছরের ১০ ডিসেম্বর বিএনপি নয়াপল্টন থেকে সরকারের পতনযাত্রা শুরু করতে গিয়ে সেটি গোলাপবাগের গরুর হাটে গিয়ে মারা পড়েছিল মন্তব্য করে তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, এবারও সরকারের বিরুদ্ধে পতনযাত্রা শুরু করতে গিয়ে বিএনপি নিজেদের পতনযাত্রা শুরু করবে এবং যমুনা কিংবা বুড়িগঙ্গা নদীতে গিয়ে ডুবে যাবে।

শনিবার (২১ অক্টোবর) দুপুরে বন্দরনগরী চট্টগ্রামের শিল্পকলা একাডেমি অডিটোরিয়ামে চট্টগ্রাম উত্তর জেলা বঙ্গবন্ধু শিশু-কিশোর মেলা আয়োজিত সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতার পুরস্কার বিতরণ ও কৃতী শিক্ষার্থী সম্বর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় সমসাময়িক প্রসঙ্গে মন্ত্রী এ কথা বলেন।

ড. হাছান মাহমুদ বলেন, 'আগামী ২৮ তারিখ নাকি বিএনপি সরকারের পতনযাত্রা শুরু করবে, গত বছরের ১০ ডিসেম্বর নয়াপল্টন অফিসের সামনে থেকেও সরকারের পতনযাত্রা শুরু করতে চেয়েছিল, সেটি গোলাপবাগের গরুর হাটে গিয়ে মারা পড়েছিল। এবারও সরকারের বিরুদ্ধে পতনযাত্রা শুরু করতে গিয়ে বিএনপি নিজেদের পতনযাত্রা শুরু করবে এবং যমুনা কিংবা বুড়িগঙ্গা নদীতে গিয়ে ডুবে যাবে।

তিনি বলেন, 'এবারও সরকারের বিরুদ্ধে পতনযাত্রা শুরু করতে গিয়ে বিএনপি নিজেদের পতনযাত্রা শুরু করবে এবং যমুনা কিংবা বুড়িগঙ্গা নদীতে গিয়ে ডুবে যাবে। আর চট্টগ্রামে করলে কর্ণফুলী নদী কিংবা বঙ্গোপসাগরে ডুবিয়ে দেয়া হবে। আসলে ২৮ তারিখে বিএনপি একটা বড় পিকনিক করতে চায়। আমরা পিকনিক থেকে ওদেরকে বুড়িগঙ্গায় নৌকা বাইচে পাঠিয়ে দেব ইনশাল্লাহ।'

তথ্যমন্ত্রী বলেন, 'আওয়ামী লীগ জনতা ও রাজপথের দল। আওয়ামী লীগের জন্মই হয়েছে দুঃশাসনের বিরুদ্ধে লড়াই সংগ্রাম করার জন্য। ২১ বছর বুকে পাথর বেঁধে বিরোধী দলে থেকে স্বৈরশাসনের বিরুদ্ধে আমরা লড়াই করেছি। আমরা জানি রাজপথে কাকে কিভাবে মোকাবেলা করতে হয়।'

'যারা বোরকা পড়ে হাইকোর্টে জামিন নিতে হাজির হন, কারো ভেলকিতে গর্তে ঢুকে যান, সমাবেশে গিয়ে পিকনিক করে, তারা কতটুকু আন্দোলন করবে আমরা জানি' মন্তব্য করেন তিনি।

ড. হাছান মাহমুদ বলেন, 'দেশটা যখন এগিয়ে যাচ্ছে তখন দেশের ওপর শকুনের দৃষ্টি পড়েছে। আর সেই শকুনের সহযোগী হয়ে দাঁড়িয়েছে রাজনীতির কাকেরা। এই শকুন আর রাজনীতির কাকদের হাত থেকে দেশটাকে রক্ষা করতে হবে।'

তিনি বলেন, 'জিয়াউর রহমান ক্ষমতার উচ্ছিষ্ট বিলিয়ে বিএনপি গঠনের সময় বিভিন্ন দলের নেতারা কাকের মতো সেই উচ্ছিষ্ট গ্রহণ করার জন্য জড়ো হয়েছিলেন। তারা রাজনীতির কাক। বিদেশি শকুনের দৃষ্টি যখন দেশের ওপর পড়েছে তখন রাজনীতির কাকেরা তাদের সহযোগী হয়ে দাঁড়িয়েছে। তারা বিদেশিদের দিকেই তাকিয়ে থাকে।'

ফিলিস্তিন ইস্যুতে আবারও বিএনপির কঠোর সমালোচনা করেন সম্প্রচারমন্ত্রী। হাছান বলেন, 'ফিলিস্তিনে শিশুহত্যা, হাসপাতালে বোমা হামলায় আটশ’ মানুষ হত্যা, গীর্জায় হামলা করে ১৮ জনকে হত্যা, এভাবে প্রতিদিন মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধের প্রতিবাদে সমগ্র বিশ্ব যখন মুখর, তখন 'শকুন'রা নাখোশ হতে পারে সেই ভাবনায় বিএনপি কোনো কথা বলে না। 'শকুন'রা দেশের সমস্ত সম্পদ লুট করে নিলেও বিএনপি নিশ্চুপই থাকবে। তারা আবার দেশ পরিচালনার স্বপ্ন দেখে। এদের হাতে দেশটাকে তুলে দেয়া যাবে না। এদের হাত থেকে দেশকে রক্ষা করতে হবে।'

শিশু-কিশোরদেরকে উন্নত মানবিক রাষ্ট্রের ধারণা দিয়ে মন্ত্রী হাছান বলেন, 'বঙ্গবন্ধু শিশুদেরকে অত্যন্ত পছন্দ করতেন। শিশু শেখ রাসেল ছিল মেধাবী ও মানবিক। বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার বক্তব্য-আলোচনায় আপনারা সেটা শুনেছেন। আমরা উন্নত রাষ্ট্র চাই, একইসাথে চাই মানবিক রাষ্ট্র গঠন করতে। রাস্তায় দামি গাড়ি চলবে আর রাস্তার পাশে কোনো অসহায় মানুষের প্রতি কেউ ফিরেও তাকাবে না -এমন রাষ্ট্র আমরা চাই না।'

বঙ্গবন্ধু শিশু কিশোর মেলা চট্টগ্রাম উত্তর জেলা শাখার সভাপতি জাবেদ জাহাঙ্গীর টুটুলের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে উদ্বোধনী বক্তব্য রাখেন জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান এটিএম পেয়ারুল ইসলাম। প্রধান আলোচক ছিলেন সংগঠনের কেন্দ্রীয় সভাপতি মিয়া মনসফ।

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন বঙ্গবন্ধু শিশু-কিশোর মেলা কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক শেখ মনিরুজ্জামান লিটন, সহ সভাপতি ইঞ্জিনিয়ার গোলাম নওশের আলী, চট্টগ্রাম উত্তর জেলার উপদেষ্টা মোহাম্মদ আকতার হোসেন খান, সাদাত আনোয়ার সাদী, পৃষ্ঠপোষক হেলাল মোহাম্মদ নূরী, লায়ন আবদুল মান্নান, মোহাম্মদ বেলাল হোসেন, চট্টগ্রাম জেলা পরিষদের সদস্য আ ম ম দিলশাদ, চট্টগ্রাম উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মহিউদ্দিন বাবুল প্রমুখ।



আপনার মূল্যবান মতামত দিন: