কৃষিখাতে ৪৫ হাজার কোটি টাকার বেশি বিনিয়োগ হয়েছে : কৃষিমন্ত্রী

মো. সাইফুল ইসলাম | ১৭ অক্টোবর ২০২৩, ২২:০০

কৃষিখাতে ৪৫ হাজার কোটি টাকার বেশি বিনিয়োগ হয়েছে : কৃষিমন্ত্রী

কৃষিখাতে ৪৫ হাজার কোটি টাকার বেশি বিনিয়োগ হয়েছে বলে জানিয়েছেন কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক। মঙ্গলবার (১৭ অক্টোবর) সকালে ইতালির রোমে জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থার (এফএও) বিশ্ব খাদ্য ফোরামের ‘বিনিয়োগ সম্মেলনের’ উদ্বোধন অনুষ্ঠানের পরবর্তী সেশনে এ কথা জানান মন্ত্রী।

তিনি বলেন, বাংলাদেশের কৃষি নীতি ২০১৮ বাস্তবায়ন চলছে। (এসময় থেকে) ২০২৩ সালের জুলাই পর্যন্ত কৃষিখাতে ৪৫ হাজার কোটি টাকারও (৪.৪ বিলিয়ন ডলার) বেশি বিনিয়োগ হয়েছে। এরমধ্যে সরকারি বিনিয়োগ ৩০ হাজার ২০০ কোটি টাকা (৩.২ বিলিয়ন ডলার)। বাকিটা উন্নয়ন সহযোগী সংস্থার। এছাড়া সম্প্রতি বিশ্বব্যাংক ও ইফাদ পার্টনার প্রকল্পে ৫ হাজার ৭৬০ কোটি টাকা বিনিয়োগ করেছে। তারপরও এ মুহূর্তে কৃষিখাতে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে প্রায় ১০ হাজার কোটি টাকার বিনিয়োগ প্রয়োজন।

বাংলাদেশের কৃষিখাতে বিনিয়োগ করতে উন্নত দেশ, আন্তর্জাতিক ব্যাংক, দাতা সংস্থা ও বেসরকারি উদ্যোক্তাদের এগিয়ে আসার আহ্বান জানান মন্ত্রী।

তিনি বলেন, বাংলাদেশের বিনিয়োগ পরিকল্পনায় ছয়টি খাতকে অগ্রাধিকার দেওয়া হয়েছে। এগুলো হলো- কোল্ড স্টোরেজ স্থাপন ও সংগ্রহোত্তর ব্যবস্থাপনা, কৃষি প্রক্রিয়াজাতকরণ ও বিপণন, ক্লাইমেট স্মার্ট এগ্রিকালচার, সেচ ও পানি ব্যবস্থাপনা, দক্ষ মানবসম্পদ তৈরি ও চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের প্রযুক্তি ব্যবহার। এসব খাতে আগামী কয়েক বছরের মধ্যে ২০ হাজার কোটি টাকা বিনিয়োগ প্রয়োজন বলে জানান কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক।

তিনি বলেন, দেশে পেঁয়াজ, আম ও টমেটোসহ শাক-সবজি সংরক্ষণে এখনো তেমন প্রযুক্তি নেই, কোল্ড স্টোরেজ নেই। এছাড়া এসব পণ্য সংগ্রহোত্তর পর্যায়ে ২৫-৪০ শতাংশ নষ্ট হয়ে যায়। এজন্য দ্রুত ২০০ টন ধারণ ক্ষমতাসম্পন্ন এক হাজার ১০০টি মাল্টিপারফাজ কোল্ড স্টোরেজ স্থাপনে প্রায় ৫ হাজার কোটি টাকা বিনিয়োগ প্রয়োজন।

কৃষিখাতের রূপান্তরে বিনিয়োগ বাড়াতে কাজ করছে এফএও। এজন্য এফএও ১৭-২০ অক্টোবর পর্যন্ত চার দিনব্যাপী ‘বিনিয়োগ সম্মেলনের’ আয়োজন করে।

এ সম্মেলনে বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তের ৩২টি দেশ অংশগ্রহণ করেছে। যাদের কৃষিখাতে বিদেশি বিনিয়োগের বেশি প্রয়োজন। এছাড়া বিশ্বব্যাংক, আরব ব্যাংক, আন্তঃআমেরিকান উন্নয়ন ব্যাংক, এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক, ল্যাটিন আমেরিকা উন্নয়ন ব্যাংকসহ বিভিন্ন আন্তর্জাতিক ব্যাংক, দাতা সংস্থা ও বেসরকারি উদ্যোক্তা প্রতিনিধিরা অংশগ্রহণ করছে।



আপনার মূল্যবান মতামত দিন: