আসছে ১৭ মে আওয়ামী লীগ সভাপতি এবং বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস। এই দিবসকে ঘিরে দর্শক চাহিদা মেটাতে আরো একবার টেলিভিশন পর্দায় ফিরে এলো ডকুড্রামা 'হাসিনা: এ ডটারস টেল'। সারা দেশে সিনেমা হলে এবং টেলিভিশনে দারুণ জনপ্রিয়তা পাওয়া এবং আন্তর্জাতিক বেশ কিছু চলচ্চিত্র উৎসবে প্রশংসিত 'হাসিনা: এ ডটারস টেল' ডকুড্রামাটি সোমবার (১৭মে) প্রচারিত হবে বাংলাদেশ টেলিভিশন ও বিটিভি ওয়ার্ল্ড সহ বেশ কিছু বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেলে।
'হাসিনা: এ ডটারস টেল' বাংলাদেশ টেলিভিশনে (বিটিভি) এবং বিটিভি ওয়ার্ল্ডে প্রচারিত হবে ১৭ মে দুপুর ৩টা ৩০ মিনিটে। একই দিনে বেসরকারি বিভিন্ন চ্যানেলে সম্প্রচার করা হবে 'হাসিনা: এ ডটারস টেল'।
স্টার সিনেপ্লেক্সে ১৫ নভেম্বর প্রিমিয়ার শো'র মাধ্যমে যাত্রা শুরু করে 'হাসিনা: এ ডটারস টেল'। দর্শকদের জন্য স্টার সিনেপ্লেক্স, ব্লকবাস্টার সিনেমাস, মধুমিতা সিনেমা হল এবং সিলভার স্ক্রিনে প্রদর্শনী শুরু হওয়ার পর থেকে পরবর্তী দুই সপ্তাহে বক্স অফিসে সবচাইতে সফল ছিলো ডকুড্রামাটি। দর্শক চাহিদার কথা মাথায় রেখে পরবর্তীতে সারা দেশের জেলা ও বিভাগীয় পর্যায়ের আরো ৩৫টি সিনেমা হলে প্রদর্শন করা হয় 'হাসিনা: এ ডটারস টেল' ডকুড্রামা। সব মিলিয়ে দারুণ ভাবে ব্যবসা সফল এটি। পরবর্তীতে দর্শক চাহিদার কথা বিবেচনায় এনে ডকুড্রামাটি টেলিভিশন চ্যানেলেও সম্প্রচার করা হয়। সেখানেই দর্শক জনপ্রিয়তা পায় 'হাসিনা: এ ডটারস টেল'।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নিজের মুখ থেকে তার বিদেশ জীবন, দেশে ফিরে আসার কথা শোনা যায় এই চলচ্চিত্র। স্বদেশ প্রত্যাবর্তনের কথাও এখানে বর্ণনা করা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নয়, বরং এই ডকুড্রামার মূল উপজীব্য বিষয় ছিলো জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা।
'হাসিনা: এ ডটারস টেল' চলচ্চিত্রটি প্রযোজনা করেছে সেন্টার ফর রিসার্চ অ্যান্ড ইনফরমেশন। প্রযোজক হচ্ছেন- রাদওয়ান মুজিব সিদ্দিক ও নসরুল হামিদ বিপু। পরিচালনা করেছেন অ্যাপল বক্স ফিল্মসের পিপলু খান।
প্রধানমন্ত্রীর ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে কৌতূহল আছে সবার। তিনি বঙ্গবন্ধুর কন্যা। কিন্তু ১৯৭৫ সালের পর কিভাবে তিনি বেঁচে ছিলেন তার ইতিহাস অনেকের কাছেই অজানা। আর সে কারণেই সারা দেশে এই ডকুড্রামা সারা ফেলেছে। দেশে ও বিদেশে এখনো ডকুড্রামাটির চাহিদা রয়েছে বলে জানান এর পরিবেশক গাউসুল আজম শাওন।
ডকুড্রামাটির পরিচালক পিপলু খান বলেন, 'ডকুড্রামায় একজন শেখ হাসিনার রান্না ঘর থেকে শুরু করে সরকারপ্রধানের দায়িত্ব পালন, বেঁচে থাকার সংগ্রামসহ ব্যক্তিগত, পারিবারিক, রাজনৈতিক জীবনের নানা দিক ফুটে উঠেছে।'
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে তার ছোট বোন শেখ রেহানার জীবনের কথাও উঠে এসেছে এতে। এই ডকুড্রামার মধ্য দিয়ে একটি সত্যনিষ্ঠ জীবনপ্রবাহকে পর্দায় হাজির করতে চেয়েছি।
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: