মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলার বৃহস্পতিবার এক নিয়মিত প্রেস ব্রিফিংয়ে সাংবাদিকদের বলেছেন, ‘আমরা বিশ্বাস করি, শান্তি, সমৃদ্ধি এবং নিরাপত্তার অগ্রগতির জন্য সবচেয়ে স্থায়ী উপায় হচ্ছে গণতন্ত্র। এ কারণেই আমরা এই ঘোষণা দিয়েছি, উভয় দেশের সম্পর্ক এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য আমরা বাংলাদেশ সরকারের সঙ্গে কাজ করার জন্য উন্মুখ হয়ে আছি।’
এসময় সাংবাদিকদের আরও এক প্রশ্নের জবাবে ম্যাথিউ মিলার বলেন, বাংলাদেশের আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ চায় যুক্তরাষ্ট্র। আর এ জন্যই নতুন ভিসানীতি আরোপ করেছে দেশটি।
যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের কোন বিরোধী দলকে আসন্ন নির্বাচনে অংশ নেওয়ার আহ্বান জানাবে কিনা- এ বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে ম্যাথিউ মিলার সুস্পষ্ট উত্তর না দিয়ে বলেন, বাংলাদেশে কোন রাজনৈতিক দল ক্ষমতায় আসবে সেটি নিয়ে আমরা কথা বলতে চাই না। আমরা চাই অবাধ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন। আর এ জন্যই নতুন ভিসানীতি ঘোষণা করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, এর আগে বাংলাদেশে অবাধ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ জাতীয় নির্বাচনের স্বার্থে এক নতুন ভিসানীতির কথা ঘোষণা করে যুক্তরাষ্ট্র। মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিংকেন গত বুধবার টুইটে এ ঘোষণা দেন।
এই নীতির আওতায় যে কোন বাংলাদেশি ব্যক্তি যদি দেশে গণতান্ত্রিক নির্বাচনের প্রক্রিয়া ব্যাহত করার জন্য দায়ী হন বা এরকম চেষ্টা করেছেন বলে প্রতীয়মান হয়, তবে যুক্তরাষ্ট্র তাকে ভিসা দেওয়ার ওপর বিধিনিষেধ আরোপ করতে পারবে।
মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের এক বিবৃতিতে জানানো হয়, বর্তমান এবং সাবেক বাংলাদেশি কর্মকর্তা, সরকার-সমর্থক ও বিরোধী রাজনৈতিক দলের সদস্যরা, আইনপ্রয়োগকারী সংস্থা, বিচারবিভাগ ও নিরাপত্তা সংস্থাগুলোর সদস্যরাও এর আওতায় পড়বেন।
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: