বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতিমন্ডলীর সদস্য ও রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন বলেছেন, ২০১৯ সালে রাজশাহীর উন্নয়নে প্রায় ২৭০০ কোটি টাকার উন্নয়ন প্রকল্প বরাদ্দ দেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। প্রকল্পের মধ্যে ১২০০ কোটি টাকার উন্নয়ন কাজ বাস্তবায়ন করা সম্ভব হয়েছে। আরো ১৫০০ কোটি টাকা বরাদ্দ রয়েছে। আগামীতে নির্বাচিত হলে আরো ৩ থেকে ৪ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ নিয়ে আসতে চাই। আগামীতে সব মিলে প্রায় ৫ হাজার কোটি টাকার উন্নয়ন কাজ করতে চাই।
শনিবার দুপুরে রাজশাহী মেডিকেল কলেজের ডা. কাইছার রহমান চৌধুরী মিলনায়তনে রাজশাহী মহানগর মেস মালিক সমিতির সঙ্গে মতবিনিময় সভায় এসব কথা বলেন তিনি।
সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে রাসিক মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন বলেন, রাজশাহীর উন্নয়নে কোন কাজটা আগে করা জরুরি, কোন কাজে নাগরিকদের সুযোগ-সুবিধা বেশি নিশ্চি হবে। এসব আমার সব জানা আছে। আগামীতে সুযোগ পেলে আরো পরিকল্পিতভাবে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে উন্নয়ন কাজ বাস্তবায়ন করতে চাই।
রাসিক মেয়র আরো বলেন, বড় প্রকল্পটি অনুমোদনের পরপরই সারাদেশে করোনার প্রকোপ দেখা যায়। তখন করোনা মোকাবেলার কাজে নিয়োজিত হই। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর সহযোগিতায় করোনাকালীন সময়ে দফায় দফায় খাদ্য, নগদ অর্থ, বিনামূল্যে অক্সিজেন সেবা সহ বিভিন্ন সেবা প্রদান করেছি।
রাজশাহীকে শিক্ষা নগরী রূপে গড়তে তুলার কথা উলেখ করে রাসিক মেয়র খায়রুজ্জামান লিটন বলেন, রাজশাহী মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের কাজ চলছে। আগামীতে রাজশাহীতে কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় করতে চাই। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে কৃষি অনুষদ আছে। সেখানে কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় গড়ে তোলা হবে।
শিল্পায়ন ও কর্মসংস্থানের বিষয়ে রাসিক মেয়র বলেন, এবার লক্ষ্য রাজশাহীতে শিল্পায়ন ও কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি করা। রাজশাহীতে নৌবন্দর স্থাপন ও নৌরুট চালুর প্রচেষ্টা অব্যাহত রয়েছে। প্রথম পর্যায়ে ভারতের মুর্শিদাবাদের ধূলিয়ান থেকে গোড়াগাড়ীর সুলতানগঞ্জ পর্যন্ত নৌরুট চালু হবে। এরপর রাজশাহী হয়ে আরিচা হয়ে ঢাকা পর্যন্ত নৌরুট চালু করতে চাই। এটি চালু হলে ব্যবসা-বাণিজ্য ও অথনীতি গতিশীল হবে। এছাড়া রাজশাহী থেকে কলকাতা পর্যন্ত সরাসরি ট্রেন ও বাস চালু করা হবে। আমি নির্বাচিত হলে দায়িত্ব তিন মাসের মধ্যে ট্রেন ও বাস চালু করা সম্ভব হবে। বিসিক-২ উন্নয়ন কাজ চলমান রয়েছে। প্লট বরাদ্দ দেয়া হচ্ছে। নারী উদ্যোক্তাদের এখানে অগ্রাধিকার দেয়া হবে। শহরের আয়তন বৃদ্ধির কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে। শহরের আয়তন বৃদ্ধির পর স¤প্রসারিত এলাকায় প্রশস্ত রাস্তা, ড্রেন, স্কুল ও কলেজ প্রতিষ্ঠাসহ নাগরিক সুযোগ-সুবিধা বাড়ানো হবে।
রাজশাহী মহানগর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মদ আলী কামালের সভাপতিত্বে সভায় বক্তব্য দেন কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের সদস্য বেগম আখতার জাহান, রাজশাহী মহানগর আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আহসানুল হক পিন্টু, রাজশাহী মহানগর মেস মালিক সমিতির সভাপতি মোঃ এনায়েতুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক এএসএম ওমর শরীফ রাজিব, যুগ্ম সম্পাদক কায়সান আহমেদ প্রমুখ। সঞ্চালনা করেন মহানগর মেস মালিক সমিতির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহমুদ হাসান রাজিব।
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: