বিদেশি কূটনীতিকদের নিরাপত্তা নিয়ে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বিবৃতি

সময় ট্রিবিউন ডেস্ক | ১৭ মে ২০২৩, ০০:০১

সংগৃহীত

ডিপ্লোম্যাটিক সিকিউরিটি বা বাংলাদেশে বিদেশি কূটনীতিকদের বাড়তি নিরাপত্তা সংক্রান্ত বিষয়টি নিয়ে একটি বিবৃতি দিয়েছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।

গতকাল সোমবার (১৫ মে) রাত ১০টার দিকে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টির ব্যাখ্যা দেয়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ডিপ্লোম্যাটিক সিকিউরিটি বা বাংলাদেশস্থ বিদেশি কূটনীতিকদের নিরাপত্তা প্রদান নিয়ে কিছু গণমাধ্যমে বিভ্রান্তিকর তথ্য আমাদের নজরে এসেছে। উল্লেখ্য যে, প্রতিটি দূতাবাসেই পুলিশ বাহিনীর সদস্যরা নিরাপত্তা বিধান অব্যাহত রেখেছেন এবং রাষ্ট্রদূতদের পুলিশ প্রদত্ত গানম্যান নিয়োজিত আছেন। এই কারণে নিরাপত্তা প্রত্যাহার সম্পর্কিত এই বিভ্রান্তকর খবরটি সঠিক নয়।

বিজ্ঞপ্তিতে আরো বলা হয়, বাংলাদেশ বিদেশি কূটনীতিকদের নিরাপত্তা বিধানের জন্য আন্তর্জাতিক আইন এবং প্রচলিত রীতির প্রতি শ্রদ্ধাশীল। সাধারণত বাংলাদেশ পুলিশ বিদেশি কূটনীতিকদের নিরাপত্তার গুরু দায়িত্বটি সবসময় পালন করে থাকে। কিন্তু দেশে কয়েক বছর আগের একটি ঘটনার পরবর্তী সময় থেকে কয়েকজন বিদেশি কূটনীতিককে অলিখিতভাবে গাড়িসহ মূলত নিয়মিত ট্রাফিক মুভমেন্টের সহায়তার জন্য বাড়তি কিছু লোকবল দেওয়া হয়েছিল।

এতে আরও বলা হয়, বর্তমানে বাংলাদেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক ও নিয়ন্ত্রণাধীন আছে। তাই তাদের বাড়তি নিরাপত্তা প্রদানের কোনো আবশ্যকতা নাই। পাশাপাশি বাংলাদেশ পুলিশ বাহিনীর কার্যপরিধি বৃদ্ধির জন্য এই বাড়তি সুবিধাটি এখন অব্যাহত রাখা যাচ্ছে না।

বিজ্ঞপ্তিতে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূতদের কি ধরনের সুবিধা প্রধান করা হয় তা উল্লেখ করে বলা হয়, এখানে স্মরণ করা যেতে পারে যে, পৃথিবীর কোনো দেশেই বাংলাদেশের কোনো রাষ্ট্রদূতকে বাড়তি নিরাপত্তা ও চলাচলের ক্ষেত্রে ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণের জন্য কোনো সুবিধা প্রদান করা হয় না। আরও উল্লেখ করা যায় যে, সাম্প্রতিক সময়ে বেশকিছু দূতাবাস থেকে একই ধরনের সুবিধার জন্য অনুরোধ করার একটি প্রবণতা আমরা লক্ষ্য করছি। এ লক্ষ্যে তাদের সকলের সুবিধার জন্য স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বাংলাদেশ আনসার বাহিনীতে একটি চৌকস দল তৈরি করেছে। বিদেশি কূটনীতিকরা তাদের খরচে এ সুবিধাটি গ্রহণ করতে পারবেন।

এতে আরও বলা হয়, কোনো দূতাবাস আনসার সদস্যদের এই সুবিধা অব্যাহত রাখতে চাইলে বা বাড়তি সুবিধা নিতে চাইলে আমাদের লিখিতভাবে জানালে আমরা সেই ব্যবস্থাটি গ্রহণ করব। খুব শিগগিরই সরকারের এই সিদ্ধান্ত বাংলাদেশের সকল বিদেশি দূতাবাসকে জানিয়ে দেওয়া হবে।

এসটি/এসকে 



আপনার মূল্যবান মতামত দিন: