আবারও বেড়েছে গরম; কারণ জানাল আবহাওয়া অধিদপ্তর

সময় ট্রিবিউন | ৮ মে ২০২৩, ২৩:৩৪

ছবিঃ সংগৃহীত

দেশের অধিকাংশ এখন মৃদু থেকে মাঝারি মানের তাপপ্রবাহ বইছে। তাপমাত্রাও বেড়েছে গত কয়েকদিনের চেয়ে। আবহাওয়া অধিদপ্তর বলছে, আরও দুই দিন এমন গরম চলতে থাকতে পারে। তবে স্বস্তির খবর হচ্ছে, এমন গরমের মধ্যেই আবার বঙ্গোপসাগরে দেখা দিয়েছে লঘুচাপ। এটি নিম্নচাপে পরিণত হতে পারে বলেও জানিয়েছে আবহাওয়া অফিস।

আবহাওয়া অধিদপ্তর আজ সোমবার সকাল নয়টায় আগামী ২৪ ঘণ্টার আবহাওয়ার পূর্বাভাস দিয়েছে। সেখানে বলা হয়েছে, রাজশাহী, খুলনা, বরিশাল বিভাগসহ ঢাকা, টাঙ্গাইল, ফরিদপুর, গোপালগঞ্জ, মানিকগঞ্জ, নারায়ণগঞ্জ, ময়মনসিংহ, রংপুর, দিনাজপুর, নীলফামারী, কুড়িগ্রাম, মৌলভীবাজার, চট্টগ্রাম, রাঙামাটি, চাঁদপুর, কুমিল্লা, ফেনী, নোয়াখালী ও বান্দরবান জেলার ওপর দিয়ে মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে এবং তা অব্যাহত থাকতে পারে ও বিস্তার লাভ করতে পারে।

রাজশাহী, খুলনা ও বরিশাল বিভাগে মোট জেলার সংখ্যা ২৪। এর পাশাপাশি ১৯ জেলায় তাপপ্রবাহ বইছে। সব মিলিয়ে তাপপ্রবাহ চলা জেলার সংখ্যা ৪৩।

আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ সারা দেশের আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে। সারা দেশে দিন এবং রাতের তাপমাত্রা সামান্য বাড়তে পারে।

আবহাওয়ার বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, দক্ষিণ-পূর্ব বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন দক্ষিণ আন্দামান সাগর এলাকায় একটি লঘুচাপ সৃষ্টি হয়েছে। এটি ঘনীভূত হতে পারে। পশ্চিমা লঘুচাপের বর্ধিতাংশ পশ্চিমবঙ্গ এবং তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থান করছে।


গরম বাড়ার ব্যাপারে আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ এ কে এম নামজুল হক আজ বলেন, তিনটি কারণে তাপমাত্রা বাড়ছে। এক, এপ্রিল ও মে মাস দেশের উষ্ণ মাস। গত এপ্রিল মাসে স্বাভাবিকের চেয়ে কম বৃষ্টি হয়েছে, যার জন্য এখন গরম বেশি।

গরম হওয়ার দ্বিতীয় কারণ হলো কম বৃষ্টি হওয়া। মে মাসের শুরুতে দেশের বিভিন্ন স্থানে কিছু কিছু বৃষ্টি হলেও গত দুই দিন বৃষ্টি একেবারেই কম। আর এ কারণে গরম বাড়ছে।

গরম বেড়ে যাওয়ার তৃতীয় কারণ হিসেবে নাজমুল হক সাগরে সৃষ্ট লঘুচাপের কথা বলেন। তাঁর মতে, এখন সাগর থেকে হাওয়া আসছে না; বরং ভূপৃষ্ঠের হাওয়া সাগরের দিকে ছুটছে। আর এ কারণে গরম বেশি।

এভাবে গরম বাড়তে থাকলেও এপ্রিল মাসে যেভাবে ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের ওপর গেছে, তেমন না হওয়ার সম্ভাবনা বেশি বলে মনে করেন আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ মো. বজলুর রশীদ।



আপনার মূল্যবান মতামত দিন: