পদ্মায় ডুবে যাওয়া সেই মাইক্রোচালকের মরদেহ উদ্ধার

সময় ট্রিবিউন | ১৩ মে ২০২১, ২১:২৫

বৃহস্পতিবার রাজবাড়ীর দৌলতদিয়া ফেরিঘাটের পন্টুনের তার ছিঁড়ে মাইক্রোবাসসহ পদ্মা নদীতে পড়ে নিখোঁজের দুইদিন পর চালক মো. মারুফ হোসেনের (৪৪) মরদেহ উদ্ধার করেছে নৌ পুলিশ -ছবি: সংগৃহীত

রাজবাড়ী প্রতিনিধি:

রাজবাড়ীর দৌলতদিয়া ফেরিঘাটের পন্টুনের তার ছিঁড়ে মাইক্রোবাসসহ পদ্মা নদীতে পড়ে নিখোঁজের দুইদিন পর চালক মো. মারুফ হোসেনের (৪৪) মরদেহ উদ্ধার করেছে নৌ পুলিশ।

বৃহস্পতিবার (১৩ মে) সকালে গোয়ালন্দ উপজেলার দৌলতদিয়া ইউনিয়নের পদ্মা নদীর ৭ নম্বর ফেরিঘাট এলাকা থেকে তার মরদেহটি উদ্ধার করা হয়।

পুলিশ জানায়, পদ্মা নদীর ৭ নম্বর ফেরিঘাট এলাকায় একটি মরদেহ দেখতে পান স্থানীয়রা। খবর পেয়ে দৌলতদিয়া নৌ পুলিশ মরদেহটি উদ্ধার করে। পরে দৌলতদিয়ায় অপেক্ষমান নিহতের দুই ভাই ও স্বজনদের খবর দেন নৌ পুলিশের পরিদর্শক মো. মুন্নাফ আলী। তারা মরদেহটি শনাক্ত করেন।

চালক মারুফ হোসেনের বাড়ি সিলেট হলেও তিনি ঢাকার রামপুরায় থাকতেন। তিনি তিন কন্যাসন্তানের বাবা ছিলেন।

মাইক্রোবাসের মালিকের শ্যালক সোমবার (১০ মে) বিদেশ থেকে দেশে আসেন। তাকে চুয়াডাঙ্গায় গ্রামের বাড়ি পৌঁছে দিতে রাতে মারুফকে মাইক্রোবাসসহ পাঠান। সেখানে পৌঁছে দিয়ে মঙ্গলবার (১১ মে) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে দৌলতদিয়া ঘাট দিয়ে ঢাকায় ফেরার সময় দুর্ঘটনা ঘটে।

মঙ্গলবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে দৌলতদিয়া ৫ নম্বর ফেরিঘাটের পন্টুনের ওপর সাদা রঙের ঢাকা মেট্রো চ-১৪-২৬০৮ (নোহা) মাইক্রোবাসটি ফেরির জন্য দাঁড়িয়েছিল। হঠাৎ ঝড় শুরু হলে পন্টুনের তার ছিঁড়ে মাইক্রোবাসটি নদীতে পড়ে যায়। তাৎক্ষণিক খবর পেয়ে উদ্ধার অভিযান শুরু করে রাজবাড়ী ফায়ার সার্ভিস ও পাটুরিয়ার ডুবুরি দল।



আপনার মূল্যবান মতামত দিন: