রোজার প্রথম সপ্তাহে চিনির দাম কেজিতে ৫ টাকা কমবে বলে জানিয়েছেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি। চিনির শুল্ক ছাড় দেওয়ার কারণে কেজিতে ৪ টাকার মতো ছাড় পাওয়া যাবে প্রেক্ষিতে চিনির দাম কমানোর অনুরোধে একমত পোষণ করেছে বলে জানান মন্ত্রী।
আজ রোববার (১৯ মার্চ) সচিবালয়ে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে সরকারের দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণ সংক্রান্ত টাস্কফোর্সের সভা শেষে সাংবাদিকদের তিনি এই কথা বলেন।
এসময় চিনির শুল্ক ছাড় দেওয়ার কারণে কেজিতে ৪ টাকার মতো ছাড় পাওয়া যাবে উল্লেখ করে বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, আমরা ব্যবসায়ীদের চিনির দাম কেজিতে ৫ টাকা কমানোর অনুরোধ করছি। তারা আমাদের সঙ্গে একমত হয়েছেন। রোজার প্রথম সপ্তাহেই চিনির দাম কেজিতে ৫ টাকা কমবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
সভায় ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন এফবিসিসিআই, প্রধানমন্ত্রীর দপ্তর, স্বরাষ্ট্র, স্থানীয় সরকার, অর্থ, কৃষি, খাদ্য, সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়, বাংলাদেশ ব্যাংক, জাতীয় রাজস্ব বোর্ড, নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ, জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের উচ্চপর্যায়ের কর্মকর্তারা অংশ নেন।
আসন্ন রমজান মাসে নিত্যপণ্যের দাম কোনোভাবেই বাড়বে না বলে আশ্বস্ত করেছেন বাণিজ্যমন্ত্রী। এছাড়া ফেডারেশন অব বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (এফবিসিসিআই) এবং ব্যবসায়ী নেতারাও এ বিষয়ে কথা দিয়েছেন বলে জানান মন্ত্রী।
মন্ত্রী বলেন, রমজানে জিনিসপত্রের দাম সহনীয় রাখতে সরকার নানাভাবে চেষ্টা করছে। দাম বৃদ্ধি নিয়ে ভয় পাওয়ার কোনও কারণ নেই। সরকারের কাছে যে মজুত আছে, তাতে কোনোভাবেই দাম বাড়বে না। যদি কেউ সুযোগ নেয় (দাম বাড়ায়), তাহলে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।রমজানে তেল, চিনি এবং ছোলাসহ যা প্রয়োজন তার দেড় গুণ এখন মজুত আছে। তাই দাম বাড়ার কোনও কারণ নেই বলে আস্বস্থ করেন তিনি।
এছাড়াও দেশে প্রচুর ভোজ্যতেলের মজুত রয়েছে উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, ভয়ের কোনো কারণ নেই। তবে মুরগির দাম এখন বাড়তির দিকে উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, এটা যাতে করে রমজান মাসে সহনীয় থাকে, সেজন্য মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়কে অনুরোধ করা হয়েছে। এটা আর বাড়বে না। এফবিসিসিআই এবং ব্যবসায়ী নেতারাও কথা দিয়েছেন জিনিসপত্রের দাম আর বাড়বে না।
সারা দেশ থেকে রাজধানীতে পণ্য আনার সময় পথে চাঁদাবাজি বন্ধ করতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলেও জানান টিপু মুনশি। এদিকে রমজানে ১ কোটি দরিদ্র পরিবারকে মাসে একবারের পরিবর্তে দুই বার কম দামে টিসিবির পণ্য দেওয়া হবে বলে সুখবর দেওয়া হয়েছে।
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: